প্রসঙ্গ : ইজতেহাদ ইজমা ও কিয়াস

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মুহাম্মদ আবুল বাশার : আলোচনার পূর্বে পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত সম্মানিত পাঠকদের খেদমতে উল্লেখ করা হলো।“হে ঈমানদারগণ! নির্দেশ মান্য করো আল্লাহর এবং নির্দেশ মান্য করো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের এবং তাদেরই যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত, অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতভেদ ঘটে তবে সেটাকে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের সম্মুখে (দিকে) রুজু করো যদি আল্লাহ ও কিয়ামতের ওপর ঈমান রাখো, এটা উত্তম এবং এর পরিণাম সবচেয়ে উত্তম।” (সূরা : নিসা ৫৯)“এবং যখন তাঁদের নিকট প্রশান্তি অথবা শঙ্কা (ভয়) এর কোনো বার্তা আসতো তখন তারা সেটা প্রচার করে বেড়াতো, আর যদি সেক্ষেত্রে (তাঁরা) সেটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এবং নিজেদের ক্ষমতাসম্পন্ন লোকদের গোচরে আনত তবে নিশ্চয় তাঁদের নিকট থেকে সেটার বাস্তবতা জানতে পারত, যারা পরবর্তী (প্রজন্মে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য) প্রচেষ্টা চালায় (ইজতেহাদ করে) এবং যদি তোমাদের উপর আল্লাহের অনুগ্রহ এবং দয়া না হতো তবে অবশ্যই তোমরা শয়তানের অনুসরণ আরম্ভ করতে কিন্তু অল্পসংখ্যক লোক (ব্যতীত)।” (সূরা নিসা : ৮৩)“এবং আমি আপনার পূর্বে (কোনো নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রেরণ করিনি কিন্তু পুরুষগণকে (ব্যতীত) যাদের প্রতি আমি অহী করতাম, সুতরাং হে লোকেরা জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে।” (সূরা নাহল : ৪৩)ব্যাপক অর্থে কিয়াস ইজতিহাদ ও ইজমার কয়েকখানা আয়াতে কারিমা পেশ করা হলো যাতে সমস্ত উম্মত শামিল। আর বর্ণিত রয়েছে : “আমার সৃষ্টদের মধ্যে একদল লোক এমন রয়েছে যারা ন্যায়ভাবে পথ দেখায় এবং সে অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে।” (সূরা আ’রাফ : ১৮১)“এবং যে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম মান্য করে, তবে সে তাদের সঙ্গ লাভ করবে যাদের উপরে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন নবীগণ, সত্যনিষ্ঠগণ, শহীদ ও সৎ কর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণÑ এরা কতই উত্তম সঙ্গী।” (সূরা আন নিসা : ৬৯)“এভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মতরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষী স্বরূপ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ হবে, তুমি এতদিন যে কিবলার অনুসরণ করেছিলে তাকে এজন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরে যায়? আল্লাহ যাদেরকে হিদায়েত দান করেছেন তারা ব্যতীত অন্যের নিকট এটা নিশ্চয় কঠিন এবং আল্লাহ মানুষের প্রতি দয়াদ্র, করুণাময়। (সূরা বাকারা : ১৪৩)“তোমরা শ্রেষ্ঠতম উম্মত যাদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে মানবজাতির মধ্যে তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অসৎ কাজ করা থেকে নিষেধ কর আল্লাহকে বিশ্বাস রাখো, যদি কিতাবীগণ্য (সম্প্রদায়) ঈমান আনত তবে এটা তাদের জন্য কল্যাণকর ছিল তাদের মধ্যে বিশ্বাসী আছে কিন্তু অধিকাংশ সত্যত্যাগী।” (সূরা আলে ইমরান : ১১০)“আর যে ব্যক্তি তার নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং বিশ্বাসীদের পথ ভিন্ন অন্য পথ অনুসরণ করে তবে সে যেদিকে ফিরে যায় সেদিকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব আর তা কত মন্দ আবাসস্থল।” (সূরা আন নিসা : ১১৫)“এবং সবার মধ্যে অগ্রগামী প্রথম মুহাজির ও আনসার এবং যারা সৎকর্মের সাথে তাদের অনুসারী হয়েছে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত যেগুলোর নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত তারা সদা সর্বদা সেখানে অবস্থান করবে, এটাই হচ্ছে মহা সাফল্য।” (সূরা তাওবা : ১০০)নবুয়ত ও ইজতিহাদ : তাফাক্কুর ও ইজতিহাদ আম্বিয়াও মুরসালীন আলাইহিসসালাতু ওয়াসাল্লামগণের সুন্নাত। যখন কোনো নতুন ঘটনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে উপস্থিত হতো এবং কোনো অহী নাযিল না হতো তখন বিগত নাযিলকৃত অহীর মূলগুলোর আলোকে তার ফায়সালা করতেন প্রয়োজন বোধে সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুগণের সাথে পরামর্শ করতেন। এই প্রকারের হুকুম আমল করাও উম্মতের জন্য সুন্নাত। এটা ভুল থেকে পাক কেননা আম্বিয়া ও মুরসালীন আলাইহিসসালাতু ওয়া-সাল্লামগণ মাছুম, পথভ্রষ্টতা ও গোমরাহী থেকে পাক ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নির্দোষ। এজন্য রিসালত ও দ্বীনের বিষয়গুলোতে তাদের রায় ভুল হতে পারে না। কেননা, দুনিয়াতে তাদের প্রেরণের উদ্দেশ্যে হিদায়েতের আলো জারি করা গোমরাহী নয়। এজন্য যদি কোনো সময়ে এ রুপ কোন পর্যায় এসে পড়ে, আল্লাহ তাআ’লার মাসলিহাতের মোয়াফিক না হয় তখনই আল্লাহ তাআ’লা সাবধান করে অহীর মাধ্যমে স্বীয় মরযী জানিয়ে দেন। আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন আলাইহিসসালাতু ওয়াসাল্লামগণের ইজতিহাদ মুজতাহিদগণের ইজতিহাদের মতো নয়। মুজতাহিদগণ আল-কুরআনের বিশেষ আয়াত ও হাদীস (নস) হতে কিয়াস ইজতিহাদ করে হুকুম-আহকাম বের করেন কিন্তু আম্বিয়া ও মুরসালীন আলাইহিসসালাতু ওয়াসাল্লাম গণের ইজতিহাদ অহীয়ে গায়রে মতলু।আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ৭৯নং আয়াতে কারীমায় ইরশাদ ফরমান, “কোনো মানুষের পক্ষে এমনটি হতে পারে না যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, প্রজ্ঞা ও নবুওয়াত দান করেন অতঃপর সে লোকদেরকে বলে তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার বান্দা হয়ে যাও, বরং সে বলবে, আল্লাহওয়ালা হও, যেহেতু তোমরা কিতাব (কুরআন) শিক্ষা দাও এবং যেহেতু তোমরা অধ্যয়ন কর।”আল্লাহ তায়া’লা সূরা আলে ইমরানের ৩১নং আয়াতে আরও বলেন, “(হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলুন, যদি আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেনÑ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। নবী আলাইহিসসালাতু ওয়াসাল্লামগণ মাসুম হওয়া ও অন্যান্য পবিত্র বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা সত্ত্বেও ইসলামের সুমহান শিক্ষা এই, নবী-রাসূলগণ আল্লাহ তা’আলার মাখলুক মনোনীত বান্দা এবং মানুষ। তাফরিত ও ইফরিতের সুযোগ এখানে নেই। আম্বিয়া মুরসালীন আলাইহিসসালাতু ওয়াসাল্লামগণ মালাইকাত নন (তবে হাকিকতে মালাইকাতের শান ও মর্যাদার বহু ঊর্ধে)। মানবের নবীরূপে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত। আল্লাহ তায়া’লা গায়েবী ইজাযত ও মদদে সাইয়্যেদুল মুরসালীন রাহমাতুল্লীল আলামীন হযরত আহম্মেদ মুজতবা মুহাম্মেদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাক্বিকতে আম্বিয়া ও হাক্বিকতে ইলাহীর আসল হাকিকত ইসলামের মাধ্যমে পেশ করে গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্ববাসী জীন, ইনসানকে তাওহীদের আলোকে চির আলোকিত করে দুনিয়া-আখিরাতের নাজাত ও মুক্তির পথের বন্ধ দুয়ার খুলে দিয়েছেন (আলহামদুলিল্লাহ)। আল কুরআনে আনুমানিক ৬০০ (ছয়শত)-এর মতো বৈজ্ঞানিক আয়াত আছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য জাতির ইসলামী বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ অতি গোপনে মুসলমানদের অজ্ঞাতসারে নিজ নিজ ভাষায় আল কুরআনের তাফসির করে আসমানে উড়ছে আর আমরা মুসলিম জাতি জমিনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফাসাদ সৃষ্টি করছি। বিগত ১০০০ (এক হাজার) বছর পূর্বে মুসলমানগণ রাতে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করত এবং দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং জ্ঞান গবেষণা করত। ইতিহাস সাক্ষী অন্যান্য জাতি জ্ঞান গবেষণায় ছিল পশ্চাৎপদ এবং অনৈক্যে নিমজ্জিত আর মুসলিম জাতি জ্ঞান গবেষণায় ছিল সর্বোচ্চ শিখরে। বিগত কয়েকশ’ বছর যাবত বিশ্বের অন্যান্য জাতিসমূহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। যা ছিল মুসলিম মিল্লাতের হারানো মানিক। আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সত্য যেখানেই খুঁজে পাও তা ইসলাম ধর্মের হারানো মানিক।” এবার কিয়াস ইজতেহাদ ও ইজমা প্রসঙ্গের মূল কথায় ফিরে আসি, আল কুরআন সংকলন সংরক্ষণ ও প্রচার-প্রসার হয়েছে উজতিহাদ এবং ইজমার মাধ্যমে। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী তার লিখিত তাফসীরে কবিরে “উলূল আমরে মিনকুম” বলতে ওলামায়ে হক্বকে সাব্যস্ত করেছেন কিন্তু ব্যাপক ও প্রকৃত অর্থে আদেল মুসলিম শাসক ও (বাদশাহ) এতে শামিল হবেন। মুজতাহিদ (গবেষকের) বিশেষ ফজীলত : হযরত আমর ইবনে আস রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, কোন বিচারক (হাকিম) ইজতিহাদ (গবেষণা) করে সিদ্ধান্তে উপনীত হলে তার জন্য দ্বিগুণ পুরস্কার রয়েছে। পক্ষান্তরে কোন বিচারক গবেষণা (ইজতিহাদ) করে ভুল সিদ্ধান্তে পৌছলেও তার জন্য একটি পুরস্কার রয়েছে। (বোখারী শরীফ)হযরত হাফস ইবনে ওমর রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, হিমসের কতিপয় অধিবাসী মুয়ায ইবনে জাবাল রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহুর সঙ্গী-সাথীদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াযকে যখন ইয়ামেনের শাসনকর্তা নিয়োগ করে পাঠানোর ইচ্ছা করেন তখন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার কাছে যখন কোনো মোকাদ্দমা পেশ করা হবে তখন কিরূপে তার সমাধা করবে? তিনি (মুয়ায ইবনে জাবাল রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, আমি আল্লাহর কিতাব অনুসারে সমাধা করব। অতঃপর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞাস করেন যদি আল্লাহ’র কিতাবের কোনো সমাধান না পাও? তখন মুয়ায রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের সুন্নাত অনুযায়ী সমাধা করব। তিনি আবার জিজ্ঞাস করেন, যদি তুমি রাসূলের সুন্নাত এবং আল্লাহর কিতাবের কোনো সমাধান যদি না পাও? তখন মুয়ায রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, এমতাবস্থায় আমি চিন্তাভাবনার মাধ্যমে ইজতিহাদ করব এবং এ ব্যাপারে কোনোরূপ শৈথিল্য করব না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াযের বুকে হাত মেরে বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দূতকে এরূপ তাওফিক দিয়েছেন, যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তুষ্ট হয়েছেন। (আবূদাউদ শরীফ)(ক) কিছু সংখ্যক আসহাবে কেরাম রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু আজমাঈনগণ নফল সালাতের সিজদার হালতে ইজতিহাদ করতেন। ইজতিহাদ করে সমস্যার সমাধান করতেন। ঐসব উলুল আযম আসহাবে কেরাম রাদি-আল্লাহু তাআলা আনহু আজমাঈনগণের মধ্যে হযরত আবুবকর সিদ্দীক রাদি-আল্লাহু তাআলা আনহু, হযরত ওমর ফারুক রাদি-আল্লাহু তাআলা আনহু, হযরত উসমান গনি জিন্নুরাঈন রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত আলী রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু, হযরত হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহু মশহুর ছিলেন। (খ) আন্তর্জাতিক ফোরাম ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ) যদি স্বাধীনও শক্তিশালী হতো তাহলে কিয়াস, ইজতিহাদ ও ইজমা আন্তর্জাতিক মর্যাদা অবশ্যই পেত।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment