প্রশ্ন ঃ আমি ২০০৩ সালের রমজান মাসে ওমরা করেছিলাম। সেখানে আমি বিতর নামায জামাতে পড়া বেশি ফজীলত মনে করে শাফেঈ ইমামের পেছনে জামাতে পড়েছি। কিন্তু গত এপ্রিল-মে ২০০৬ তরজুমানের আমার এক প্রশ্নের উত্তরে জানতে পারলাম “মসজিদের ইমাম যদি হানাফী না হয়ে অন্য মাযহাবের অনুসারী হয়, যারা বিতরের নামাযে দু’রাকআতের পর সালাম ফিরিয়ে পুনরায় তৃতীয় রাকআত আদায় করে, তাদের পেছনে হানাফী মুকতাদির বিতর নামায জামাতে আদায় করা শুদ্ধ হবে না।” সুতরাং এখন আমার প্রশ্ন তিন বৎসর আগের আমার বিতর নামাযগুলাে কৃাজা দিতে হবে কি? আর কিভাবে ক্বাজা দিব? দয়া করে জানাবেন।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

📌মুহাম্মদ খােরশেদুল আলম
নাইয়া, দিব্বা, ফুজিরা, ইউ এ ই।

উত্তর ঃ ওই নামাযগুলাে যেহেতু আদায় হয়নি, সেহেতু যত ওয়াক্তের বিতর নামায অনাদায়ী রয়েছে, তা হিসাব করে কৃাজার নিয়্যত করে কাজা দিবে। সূর্যোদয়কাল, সূর্য মাঝ আকাশে স্থিরকালে এবং অস্তকাল -নিষিদ্ধ এ তিন ওয়াক্ত ছাড়া সময়-সুযােগ মত যেকোন সময় কৃাজা পড়া যায়। অধিক কৃাজা নামায আদায়ে সহজতার জন্য প্রত্যেক রুকু ও সাজদার তাসবীহ একবার করে পড়বে আর দুআ-ই কুনূত’-এর স্থলে শুধু একবার বা তিনবার ‘রব্বিগফিরলী’ বলবে। এভাবে অনাদায়ী সকল বিতর নামায অবশ্য আদায় করার চেষ্টা করবে।
[আহকামে শরীয়ত, কৃত: আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলায়হি।]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment