📌প্রশ্নকর্তাঃ হাফেয নাযীর আহমদ
| সওদাগর ঘােনা, চকরিয়া, কক্সবাজার
🖋উত্তর ঃ জামাআতে উপস্থিত লােকদেরমধ্যে নামাযের বিধি-বিধান জানা বিশুদ্ধ কোরআন পাঠে সক্ষম ও সহীহ আকীদাহ সম্পন্ন লােক বিদ্যমান থাকলে, তখন অন্ধের ইমামত মাকরূহে তানযীহি। যদি জামাআতে ওই অন্ধ ব্যক্তির চেয়ে নামাযের। বিধি-বিধান জানা, বিশুদ্ধ কোরআন শরীফ পাঠে কেউ সক্ষম না থাকে, আর ওই অন্ধ হাফেয বা ইমামের আকীদাহও শুদ্ধ হয়, তবে ওই অন্ধের ইমামতই উত্তম। যদি জামাআতে উপস্থিত লােকদের মধ্যে পবিত্র কোরআন বিশুদ্ধভাবে পাঠকারী কোন বাতিল আক্বীদাধারী বা প্রকাশ্যে পাপ কাজ করে, এমন ব্যক্তি (ফাসিকৃ-ই মুমিন) থাকে আর অন্ধ ব্যক্তি যদি ওই সব দোষ থেকে পবিত্র হন, তবে ওই অন্ধের ইমামত করা আবশ্যক। আর ওই অন্ধ ব্যক্তি কোরআন শরীফ বিশুদ্ধভাবে পাঠ করতে সক্ষম এবং নামাযের বিধি-বিধান সম্পর্কেও ওয়াকিফহাল, কিন্তু ওহাবী-দেওবন্দী, শিয়া-আহলে হাদীস, লা-মাযহাবী ইত্যাদি বাতিল আক্বীদায় বিশ্বাসী হয়, তবে ওই অন্ধ ইমাম-খতীব-হাফেযের পেছনে কোন অবস্থায় কোন মুসলমানের ইকৃতিদা করা জায়েয হবে না। হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,
তােমরা তাদের সাথে নামায পড়ােনা। -(মুসলিম) বিশ্ববিখ্যাত ফিক্হগ্রন্থ ‘গুনিয়াহ’তে উল্লেখ আছে
অর্থাৎ বিদআতী (যার আকীদাহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত পরিপন্থি) তাকে ইমাম বানানাে মাকরূহে তাহরীমাহ। কেননা আকীদাগত ফাসিক আমলগত ফাসিকের চেয়ে মারাত্মক অপরাধী। সুতরাং প্রশ্নোল্লিখিত অন্ধ হাফেয যেহেতু আকীদাগত ওহাবী তথা নবীবিদ্বেষী, সেহেতু তার পেছনে নামায আদায় করা নাজায়েয ও গুনাহ।
-(গুনিয়াহ ও ফতােয়া-ই রেজভিয়া ইত্যাদি।)





Users Today : 790
Users Yesterday : 1502
This Month : 10042
This Year : 149519
Total Users : 265382
Views Today : 3095
Total views : 3215208