প্রশ্নোত্তর: শয়তানের ফিতনা/বিভ্রান্ত হতে বাঁচার দো’আ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

প্রশ্ন: শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সর্বদা বিভ্রান্ত করে। শয়তানের ফিতনা/বিভ্রান্ত হতে বাঁচার কোন দো’আ থাকলে তা জানিয়ে উপকৃত ও ধন্য করবেন।

উত্তর: ফিতনা যুগে যুগে ছিল থাকবে। তবে ধরনের পরিবর্তন হতে পারে মাত্র। শয়তান মানুষকে সব সময় বিভ্রান্ত করার জন্য মানব জাতির পেছনে সদা-সর্বদা লেগে আছে। আর শয়তানের অনিষ্ঠের দিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
من شرّ الوسوس الخناس الذى يوسوس فى صدورِ الناس من الجنة والناس-
অর্থাৎ- শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে (আশ্রয় চাই) যে (শয়তান) মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। অর্থাৎ- যে মানুষের অন্তর সমূহে কু-প্ররোচনা ঢালে জ্বিন শয়তান ও মানুষ শয়তান হতে আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই।
[সূরা নাস: আয়াত – ৪-৬] তাছাড়া শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। যে কারণে সদা-সর্বদা বিভিন্ন ফিতনা ফ্যাসাদ ছড়াতে থাকে বহুরূপে নানান ভাবে। শয়তানের বিভ্রান্তকারী ফিতনা হতে বাচাঁর জন্য দরূদ শরীফ ও ইস্তিগফার বেশি বেশি পাঠ করা উচিত। শয়তানের ফিতনা হতে বেচে থাকার জন্য নিন্মোক্ত দো’আটি পাঠ করা অত্যন্ত উপকারী। যেটি মহানবীর আমল হতে পাওয়া যায়।
اللهمَّ رَبِّ النّبى محمّدٍ اغفِرلى ذَنْبِى وأذهِبْ غَيْظَ قَلْبِىْ واجرنى مِنْ مُضِلَّاتِ الفِتَنِ مَا أحيتْتَنَا-
অর্থাৎ- হে আল্লাহ্! নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিপালক। আমাকে আমার গুনাহকে ক্ষমা করে দাও। আর আমার অন্তর থেকে রাগকে বের করে দাও। যতদিন তুমি আমাকে জীবিত রাখ ফিতনা-ফ্যাসাদের বিভ্রান্তি থেকে আমাকে বাচিয়ে রাখ। [মুসনাদে আহমদ: বর্ণনায় হযরত উম্মে সালমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা পৃষ্ঠা ৪৪৮] তাছাড়া শয়তানের ফিতনা ও প্ররোচনা হতে বেচে থাকার জন্য রাতে ঘুমানোর পূর্বে ‘সূরা ফলক্ব’ এবং ‘সূরা নাস’ পড়ে বুকে দম করলে বড়ই উপকার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য কামিল সহীহ আক্বিদা ও বিশুদ্ধ আমল সম্পন্ন আশেকে রাসূল হক্কানী আলেম ও প্রকৃত পীরের হাতে খালিস নিয়তে তওবা করলে ও মুরিদ হলে শয়তানের ধোকা ও বিভ্রান্ত হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
[ফতোয়ায়ে আফ্রিকা কৃত: আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা ফাজেলে বেরলভী রাহ. ও তাফসিরে নুরুল ইরফান কৃত: হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী রাহ. ইত্যাদি]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment