_—-কৃত—–_______
হাফেজ ইমরান আহমেদ
🌷ইসলামিক প্রশ্নোত্তর গ্রুপ🌷
জবাবঃ হাদিসের সংজ্ঞা ও পরিচয়ঃ হাদিস আরবী শব্দ । এর আভিধানিক অর্থ ‘নতুন’ কথা’ খবর’। এটি ক্বাদীম’ (পুরাতন)-এর বিপরীত অর্থবোধক শব্দ ।
১/আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন মাজীদের অনেক স্হানে কুরআন কে হাদিস বলেচেন ।
২/ রাসুল (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর কিতাবই হল উত্তম হাদিস।
৩/ মুহাদ্দিস গণের পরিভাষায় ‘হাদিস’ বলতে বুঝায় বিশ্ব নবি (ﷺ)’র যাবতীয় কথা, কাজ, অনুমোদন, সমর্থন এবং তার অবস্তার বিবরণকে । আল্লামা জা’ফর আহমদ উসমানী (রাঃ) বলেনঃযা’ কিছু রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে বর্ণিত আছে, তার সমুদয়কে হাদিস বলা হয়, ।
৪/ডক্টর মাহমুদ তাহ্হান বলেনঃ রাসুলের নামে কথিত কথা, কাজ অনুমোদন ও গুণ -বৈশিষ্ট্যকে হাদিস বলা হয়, ।
৫/ আল্লামা তীবি, হাফেজ ইবনু হাজর আসক্বালানী,নবাব সিদ্দিক হাসান খান ও ইমাম সাখাবী প্রমুখ বলেনঃ ‘হাদিসের অর্থ ব্যাপক । রাসুলুল্লাহর কথা, কাজ ও অনুমোদনকে যেমন হাদীস বলা হয়, তেমনি ছাহাবী, তাবী ও তবে তাবেঈদের কথা কাজ ও অনুমোদনকে ও হাদিস বলা হয়,
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত বিবরণে নবি করিম (ﷺ), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও তবে তাবেঈদের কথা, কাজ ও সমর্থন যদি ও মোটামুটি ভাবে হাদীস নামে অভিহিত,তথাপি শরীয়তী মর্যাদার দৃষ্টিতে এসবের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে । তাই হাদিস শাস্ত্রে প্রত্যেকটির জন্য স্বতন্ত্র পরিভাষায় নির্ধারণ করা হয়েচে । যথাঃ নবি করিম (ﷺ) মের কথা, কাজ ও সামর্থন কে বলা হয় হাদিস ‘.।ছাহাবিদের কথা, কাজ ও সামর্থনকে বলা হয় ‘আছার’ এবং তাবেঈ ও তবে তাবেঈগণের কথা, কাজ ও সমর্থনকে বলা হয় ”ফাতাওয়া’।
🌱🌱🌱সংগ্রহ তথ্য🌱🌱🌱
বুলুগুল মারাম মিন
আদিল্লাতিল আহকাম