উত্তরঃ মাশাআল্লাহ সুন্দর প্রশ্ন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে। অবশ্যই আল্লাহ পাক সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। জানতে হবে উসীলা অর্থ কি? (এর মানে হল মাধ্যম গ্রহণ করা)। যেমন আমার উসীলায় (মাধ্যমে) আপনি জবাব পাচ্ছেন।
● তিনিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ যিনি হযরত আদম-হাওয়া (আ.) কে সরাসরি উসীলা (বা মাধ্যম) ছাড়া (মা-বাবা ছাড়া) দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।
● তিনিই আবার মা-বাবার উসীলায় আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আর কিয়ামত পর্যন্ত মানব সম্প্রদায়কে মা-বাবার উসীলায় পাঠাবেন।
➡️ সুতরাং উসীলা ছাড়া আপনার জন্মও হয় নি।
● তিনিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ যিনি হযরত মূসা (আ.) এর সম্প্রদায়কে আসমান থেকে খাদ্য প্রেরণ করেছিলেন।
● আবার মানুষের অর্থ-শ্রমের উসীলায় দুনিয়াতে খাবারের আবাদ করেছেন। খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষক-জমিন-ফ্যাক্টরী উসীলা। আল্লাহ পাক তকদীর অনুযায়ী বন্টন করেছেন রিজিক। (মূলত তিনিই সবকিছুর প্রকৃত দাতা, সকল দাতার দাতা। স্রষ্টা দাতার সাথে সৃষ্ট দাতার কোন তুলনা হয় না।)
➡️ সুতরাং উসীলা ছাড়া আপনার জন্য আসমান থেকে খাদ্যও আসে না।
● আপনার বাঁচার জন্য খাবার-অক্সিজেন উসীলা।
● আপনার চলার জন্য পা উসীলা।
● খাবার মুখে তোলে দেয়ার জন্য হাত উসীলা।
● দেখার জন্য চোখ (দৃষ্টিশক্তি) উসীলা।
● শোনার জন্য কান (শ্রবণশক্তি) উসীলা।
● চিন্তাশক্তির জন্য মস্তিষ্ক উসীলা।
● লালন পালন, ভরণ-পোষণের জন্য বাবা-মা উসীলা।
● দেহ আবৃত করার জন্য কাপড় উসীলা।
● গরম থেকে বাঁচার জন্য ফ্যান উসীলা।
● শীত থেকে বাঁচার জন্য কম্বল উসীলা।
➡️ সুতরাং, উসীলা ছাড়া আপনার বাঁচা impossible
● রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উসীলায় আমরা দ্বীন ইসলাম পেয়েছি।
● জিব্রাইল (আ.) এর উসীলায় কুরআন নাজিল হয়েছে।
● কুরআন-হাদিসের উসীলায় জীবন বিধান পেয়েছি।
● ওলী-আউলিয়ার উসীলায় এদেশে দ্বীনের দাওয়াত পেয়েছি।
➡️ সুতরাং, উসীলা ছাড়া আপনি মুসলমানও হন নি।
এক কথা আপনার আপাদমস্তক জুড়ে উসীলায় শৃঙ্খলে আবদ্ধ আছেন। কারণ দয়াময় আল্লাহ উসীলার মাধ্যমে আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাও যদি বলেন আমি উসীলা মানি না তবে আপনাকে আমার আর কিছু বলার নেই। যেসব মোল্লাদের কথায় বেহুদা লাফালাফি করছেন ইমান নিয়ে মনে হয় না মরতে পারবেন। কারণ এটা কতটা হাস্যকর যদি কেউ বলে আমি জানি আমি শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি কিন্তু অক্সিজেন বলতে কিছু আছে বলে আমি মানি না। এসব ABCD জ্ঞান যাদের নেই তারা এসে তর্ক করে উসীলা শিরক। আরে ভাই উসীলা শিরক হলে পৃথিবীতে কোন মুসলমান খুঁজে পাবেন না।
➡️ লক্ষ্য করুণ দুটি আয়াতঃ আপনি কি কুরআনের আয়াত দুটিকে মুখোমুখি সাংঘর্ষিক করে তুলবেন নাকি বলবেন দুইটাই মানি।
● “আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (সূরা ফাতিহা)
● “তোমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভে উসীলা অন্বেষণ কর। (সূরা মায়েদা ৩৫)
● বিস্তারিত আয়াত দেখুনঃ
5:35 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُوا فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
উচ্চারণঃ ইয়া “আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুত্ তাক্বুল্লা-হা অব্তাগূও ইলাইহিল্ 🕋অসীলাতা🕋 অজ্বা-হিদূ ফী সাবীলিহী লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্।
অনুবাদ : হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তার নৈকট্য লাভের জন্য উসীলা তালাশ কর, আর তাঁর রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও। (সূরা মায়েদা ৫.৩৫)
➡️ আল-কুরআনের একটি শব্দ (অসীলাতা) অস্বীকার করার ক্ষমতা/ স্পর্ধা কোন মুমিন মুসলমানের থাকতে পারে না।
চোখ থাকলে দেখে আর মন থাকলে বুঝে, হেদায়েত থাকলে ইমান নসীব হয়। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমিন