সুরা-ফাতিহা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বীল আ’লামীন। আররাহমানির রাহীম। মা-লিকী ইয়াউমিদ্দ্বীন। ইয়্যাকা-না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতায়ীন। ইহদিনাস-সিরাতাল মুসতাক্বীম। সিরাত্বাল লাযিনা আন-আ’মতা আ’লাইহিম।গাইরিল মাগদুবি আ’লাইহিম। ওয়ালাদ্দুয়াল্লীন। আমীন
অর্থ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।যিনি বিচার দিনের মালিক।আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সুরা-ফীল
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আলাম তারা কাইফা আ’লা রাব্বুকা বি-আসহাবিল ফীল। আলাম ইয়াজ-আ’ল কাইদাহুম ফি তাদলীল। ওয়া-আরসালা আলাইহিম তাইরান আবাবীল। তারমিহিম বিহিজা রাতিম্মিন সিজ্জিল। ফাযাআ’লাহুম কাআ’সফিম মা’কূল।
অর্থঃ
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী, যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
সুরা-কুরাইশ
لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
লি ইলাফি ক্বুরাইশ; ঈলা ফিহিম রিহ লাতাশশিতা ইওয়াসসাইফ। ফাল ইয়া’বুদু রাব্বা হাযাল বাইত। আল্লাযি আত আ’মাহুম মিন যু’ঈ। ওয়া আমারাহুম মিন খাউফ।
অর্থঃ
কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
সুরা-মাঊন
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُون
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আরা-আইতাল্লাযি ইউ কায্যাবু বিদ্দ্বীন। ফাযালিকাল লাযি ইয়াদুউ’ঊল ইয়াতীম। ওয়ালা ইয়াহুদ্দু আ’লা ত্বামিল মিসকীন। ফাইয়াও লুল্লাল-মুসাল্লীন। আল্লাযিনাহুম আ’ন সালাতিহিম সাহুন। আল্লাযিনা হুম ইউরা উন। ওয়া ইয়ামনাউ’নাল মা’ঊন।
অর্থঃ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয় এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না। অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সুরা-কাউসার
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ইন্না আ’ত্বাইনা কাল কাউসার। ফাসাল্লিলি রাব্বাকা ওয়ানহার। ইন্না শা’নিয়াকা হুয়াল আবতার।
অর্থঃ
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
সুরা-কাফিরুন
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন। লা আ’বুদু মা তা’বুদ। ওয়ালা আনতুম আ’বিদুনা মা আ’বূদ। ওয়ালা আনা আ’বিদুম্মা আবাত্তুম। ওয়ালা আনতুম আ’বিদুনা মা আ’বুদ। লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন।
অর্থঃ
বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সুরা-নাসর
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ইজাযা আনাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ। ওয়ারা আইতান্নাসা ইয়াদখুলুনা ফি-দ্বীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহ। ইন্নাহু কা’না তাওয়্যাবা।
অর্থঃ
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সুরা-লাহাব
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাবিউ ওয়াতাব্ব। মা আগনা আ’নহুমালুহু ওয়ামা কাসাব। সাইয়াসলা নারান যাতালাহাব। ওয়ামরা আতুহু হাম্মা লাতাল হাতাব। ফি যিদিহা হাবলুম্মিম মাসাদ।
অর্থঃ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
সুরা-ইখলাস
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
اللَّهُ الصَّمَد
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুসসামাদ। লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
অর্থঃ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা-ফালাক্ব
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ক্বুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররিমা খালাক্ব। ওয়ামিন শাররি গাসিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়ামিন শাররিন নাফফাসাতি ফিল ও’ক্বাদ। ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থঃ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সুরা-নাস
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
مَلِكِ النَّاسِ
إِلَٰهِ النَّاسِ
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ক্বুল আউযুবি রাব্বিন্নাস। মালিকিন্নাস। ইলাহিন্নাস। মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযি ওয়াসইউসু ফিসুদুরিন্নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস।
অর্থঃ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা’বুদের তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।