الباب الاوّل
فى بيان الفرائض
وهى خمسة عشر : بعضها خار جية وبعضها داخلية .
امّا الخارجية فثمانية – الوقت اى هو شرط عند الاكثرين كما فى المستصفٰى ولهذا ليس الطهارة شرطًا لها- حتى لو كبرالمحدث فغمس جاز كما بنا الفرض عى تحريمة الفرض والنفل وعكسه والقضاء على الاوّل كما فى الكفاية.
وفى جامع الرموز ايضًا امافى التحريمة ففيها روايتان والاصحُّ انها شرط واختار الطحاوى وغيره رواية الركنية وهذا قول الامام محمد هذا قول الاكثر.
وطهارة البدن انما وجب لانّ الصلوٰة مناجاة مع الرّبّ وجبت ان يكون المصلّى على احسن الهيئة واكملها- والثوب والمكان وسترالعورة واستقبال القبلة اى استقبال جهة الكعبة فى الاصحّ لااستقبال عينها كما هوقول البعض- وهذا لغير اهل مكّة – امّا فى اهل مكّة فاستقبال عينها فى قولهم جميعا وفى تحقيق الاستقبال الى الجهة التأويل كثيرة والاقرب الى الصواب قولان.
الاوّل ان ينظر مغرب الصيف فى طول ايامه مغرب الشتاء فى قصر ايامه لان الثلثين الى جانب اليمين والثلث فى الايسر والقبلة عند ذالك ولولم يجهد هكذا ويصلّى من بين المغربين يجوز واذا واقع التوجّه خارجًا منها لايجوز بالاتفاق.
والثانى ان يجعل ثبات النفس احضر اى على اذقه اليمين ويميل الى يساره قليلًا فتلك القبلة وهذا احسن الوجهين – وعند اشتباه هذه الاعلام بافعاله – والكلام التحرّى- والتحرّى، بذل المجهود الى قدروسعته وطاقته لايجوز- ولو تحرّى كما هو حقه او صلّى ثم ظهر لانه اخطأ لايعيدُ كيف ماكان .
فالحاصل القبلة على ثلاثة اوجـهٍ – عين الكعبة وهى لاهل مكّة. وجهتها وهى لغيرها والتحرّى لاهل الاشتباه (كما فى حاشية الكيد انى) النية اى هذه الشرطية تشير الى وجوب حضور القلب عند التحريمة فلواشتغل لفكر مسئلة فى اثناء الاركان فلاتجب الاعادة- قال العقالؒ لم ينقص اجره وقيل : يلزمه فى كلها ولايؤاخذ بالسّهولانه يعفوعنه لكنّه لم يستحق ثوابا كما فى النية – وتكبيرة الاولٰى اى وهذا على قول ابى حنيفة رحمه الله وابى يوسفؒ وعند محمدؒوشافعىؒ من الاحكام الداخلية وثمرة الاختلاف تظهر فيما اذا قهقه عند التحريمة فعلىٰ قول ابى حنيفةؒ وابى يوسفؒ ينقض الوضوء لانهادا خلة الصلوٰة عنده .
وامّا الداخلية فسبعة- القيام والقرأة والركوع والسجود اى دليل فريضة السجود مرتين فى كل ركعةٍ, واسجُدُ واقترِبْ، – ذكر فى بعض التفاسير المراد من قوله غير سجدة المذكورة لقوله واسجدُ- اى اسجد سجدةً والمراد من اِقترب السّجدة الثانية اى اقترب الى الله تعالىٰ بسجدة اخرى- والقعدة الاخيرة – والترتيب فيما تحدث شرعيةً فى كل ركعة او فى جميع الصلوٰة والخروج بفعل المصلىّ .
এগুলো পনর প্রকার; এর কিছু বাহ্যিক কিছু আভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক আট প্রকার। ওয়াক্ত, যা অধিকাংশের মতে শর্ত যেমন- মোস্তছফায় বর্ণিত, কারণ ওয়াক্তের জন্যে তাহারত শর্ত নয়; এমন কি অযুবিহীন ব্যক্তি তাকবীর বলার পর ডুব দিলে তা বৈধ হবে। কেউ ফরয নামাযের তাকবীরে তাহরিমার ওপর অন্য ফরয বা নফলের ভিত্তি করলে বা এর বিপরীত করলে এবং প্রথম অবস্থার ওপর কজা নামাযের ভিত্তি করলে জায়েয হবে কেফায়ায় এরূপ বর্ণিত রয়েছে। জামেউর রমুজেও দু’টি রেওয়ায়ত বিদ্যমান; বিশুদ্ধ মত হল উহা শর্ত। ইমাম তাহাবী ও অন্যান্যরা রুকুনের রেওয়ায়ত গ্রহণ করেছেন। ইহা ইমাম মোহাম্মদ (র.) এর অভিমত এবং প্রথমটি অর্থাৎ শর্ত ও অধিকাংশ ইমামদের অভিমত।
শরীর পাক: শরীর পাক হওয়া ওয়াজিব; কেননা নামায হল প্রভুর সাথে কানাকানি করা। অতএব নামায অতি সুন্দর ও পরিপূর্ণ অবস্থায় হওয়া ওয়াজিব।
কাপড় পাক, জায়গা পাক, গোপনাঙ্গ ঢাকা ও কিবলামুখী হওয়া অর্থাৎ বিশুদ্ধমতে কিবলার দিকে মুখ করাকে বুঝায় সরাসরি কাবা শরীফ নয় যেমন কিছু লোকের অভিমত। ইহা মক্কাবাসী ছাড়া অন্যান্যদের জন্যে তবে মক্কাবাসীদের জন্যে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরাসরি কাবা শরীফই কিবলা। কাবার দিক নির্ণয়ে অনেক মতামত রয়েছে; বিশুদ্ধ মতামত দুটি।
প্রথম গ্রীষ্মকালীন বড় দিন ও শীতকালীন ছোট দিনের অস্তস্থলের প্রতি দৃষ্টি রেখে কিবলার দিক নির্ণয় করতে হয়। কেননা দুই তৃতীয়াংশ ডান দিক ও এক তৃতীয়াংশ বাম দিকই কিবলার দিক। এভাবে চেষ্টা না করে উভয় কিবলার মাঝামাঝি মুখ করে নামায আদায় করলে বৈধ হবে। উভয় অস্তস্থলের বাহিরের দিকে হয়ে নামায আদায় করলে সর্বজনের ঐক্যমতে নামায হবে না।
দ্বিতীয়ত আত্মবিশ্বাস অনুপাতে উহার ডান ও বাম দিকে একটু ধাবিত হয়ে কিবলা নির্ণয় করা; এটাই উত্তমপন্থা। এ সকল নিদর্শনাবলী সন্দেহজনক হওয়া অবস্থায় গবেষণা করে কিবলা নির্ণয় করতে হবে।
চিন্তাভাবনার আলোচনা: চিন্তাভাবনার অর্থ শক্তি ও সামর্থ অনুপাতে চেষ্টা করা; ইহা ব্যতীত নামায জায়েয হবে না। যথাসম্ভব চিন্তাভাবনা করে নামায আদায় করার পর সে জানতে পারল কিবলা ভুল হয়েছে, পুনরায় পড়তে হবে না। মূল মক্তব্য কিবলা তিন প্রকার; আইনে কাবা (সরাসরি কাবা) মক্কাবাসীদের জন্যে, কাবার দিক, মক্কাবাসী ব্যতীত অন্যান্যদের জন্যে ও সন্দেহকারীদের জন্যে চিন্তাভাবনা করে কিবলা নির্ধারণ এভাবে কিদানীর হাশীয়াতে বর্ণিত।
নিয়ত করা: নিয়ত ইহাও শর্ত। তাহরিমার সময় ইহা অন্তরের একনিষ্ঠতার দিকে ইঙ্গিত বহন করে। যদি কেউ নামাযে আরকান আদায়রত অবস্থায় কোন মাসয়ালা নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত হয়ে যায় তাকে পুনরায় উক্ত নামায আদায় করতে হবে না। হযরত আক্কাল (رحمة الله) বলেন, তার বিনিময় হ্রাস করা হবে না। কেউ কেউ বলেন, এসব বিষয় তার নামায পুনরায় পড়া আবশ্যক হবে। ভুলের কারণে তাকে তিরস্কার করা যাবে না, কেননা উক্ত বিষয়ে সে ক্ষমাকৃত। তবে সে কল্যাণের অধিকারী হবে না যেমন- নিয়তের ব্যাপারে।
তাকবীরে উলা: তাকবীরে উলা ইহা ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফের মতে বাহ্যিক বিধানের অন্তর্ভূক্ত এবং শর্ত ইমাম মোহাম্মদ ও শাফেয়ী (رحمة الله) এর মতে ইহা আভ্যন্তরীণ বিধানের অন্তর্ভূক্ত। মতানৈক্যের ফলাফল সে সময়ে স্পষ্ট হবে যখন কেউ তাকবীরে তাহরিমার সময় অট্টহাসি দেয় তখন ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফ (رحمة الله) এর মতে অযু নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা ইহা তাঁর মতে নামাযের অন্তর্ভূক্ত বিধান।
আভ্যন্তরীণ ফরায়েজ: আভ্যন্তরীণ ফরায়েজ সাতটি। কিয়াম, ক্বিরাত, রুকু, সিজদা; প্রত্যেক রাকাতে সিজদা দু’টি হওয়ার দলীল واسجد واقترب উলেখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় কোন কোন তাফসীরের কিতাবে বর্ণনা করা হয়েছে, واسجد দ্বারা প্রথম সিজদা ও واقترب দ্বারা দ্বিতীয় সিজদা উদ্দেশ্য অর্থাৎ দ্বিতীয় সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন কর।
শেষ বৈঠক ও প্রত্যেক রাকাতে বা সম্পূর্ণ নামাযে করণীয় কার্যাবলী সম্পাদনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং নামাযী স্বীয় কাজের মাধ্যমে নামায হতে বের হওয়া।