ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম এর অনুসারীরা প্রশ্ন করল, হে ঈসা আলাইহি সালাম! আমরা যেভাবে মাটিতে হাঁটি আপনি সেভাবে পানিতে হাঁটেন। কিন্তু আমরা কেন এটা করতে অক্ষম? তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করলেন– তোমাদের নিকট দিরহাম ও দীনারের গুরুত্ব কেমন? তারা বলল- অনেক বেশি।
তিনি বললেন– আমার নিকট দিরহাম ও দীনার আর মাটির স্তুপ সমান মর্যাদা রাখে। -ইহইয়াউল উলুম।
‘গাণী’ – এটা আল্লাহ তায়ালার গুণ। তিনি সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। সবাই তার মুখাপেক্ষী। তিনিই প্রকৃত ঐশ্বর্যশালী।
আর যেটা বান্দার গুণ এটা আসলে ঐশ্বর্য নয়, এটা ফকিরি। ইমাম গাজ্জালী আলাইহির রাহমা ফকিরের ৬ টি স্তর বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে যারা সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে তাদেরকে– ঐশ্বর্যশীল বলা হয়। বান্দা তখন দুনিয়া থেকে অমুখাপেক্ষী হয়ে যায়। তার নিকট ধন-সম্পদের কোনো মূল্যই থাকে না। সম্পদ পাওয়া না-পাওয়া তার নিকট তখন সমান। আর তারাই প্রকৃতপক্ষে ঐশ্বর্যশালী।
ঐশ্বর্যশালী হওয়ার উপায় কি? হাদীসে পাকে এসেছে– যে প্রকৃত অর্থে ঐশ্বর্যশীল হতে চায়, তার উচিত হবে নিজের নিকট থাকা সম্পদের পরিবর্তে আল্লাহ তায়ালার কুদরতের ভান্ডারের ওপর ভরসা রাখা।
আর এটাই হৃদয়ের প্রাচুর্যতা অর্জনের মাধ্যম। এর দ্বারা সব পরিস্থিতিতে বান্দা তার প্রতিপালকের ওপর ভরসা করে। হোক সেটা সুখ কিংবা দুঃখ। সর্বাবস্থায় তার হৃদয় থাকে প্রশান্ত। দুনিয়ার নিকট সে মুখাপেক্ষী হয় না। আর হৃদয়ের এই প্রাচুর্যতাই– প্রকৃত দৌলত। তারাই প্রকৃত ধনী যাদের হৃদয় ঐশ্বর্যশীল।