হযরত ফারুক আযম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
“একদা নবীজীﷺ আমাদের মাঝে এক জায়গায় দন্ডায়মান হয়ে সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেন।তাঁর আলোচনা এতটুকু হলো যে, বেহেশতবাসীরা তাদের অবস্থানে প্রবেশ করল আর জাহান্নামীরা তাদের আপনস্থানে। এ বর্ণনা যারা পেরেছেন সংরক্ষণণ করেছেন।আর যারা পারেন নি তারা ভুলে গেছেন।”
★ইমাম বোখারী,আস সহীহঃ৪/১০৬ পৃঃ ,হাদিসঃ ৩১৯২
★মুসলিম,আস সহীহঃ কিতাবুল ফিতানঃ২/৩৯০পৃ
★মিশকাতঃ ৩/১৫৮৮পৃঃ,হাদিসঃ ৫৬৯৯
উপরোক্ত সহীহ বোখারীর হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দীন মাহমুদ আইনী(রহঃ) লিখেন-
“এ হাদিস দ্বারা বুঝা গেল, একই মজলিসে বা অবস্থানে রাসুলﷺ সৃষ্টিকুলের আদ্যোপান্ত যাবতীয় অবস্থার খবর দিয়েছিলেন।আর এক মজলিসে সমস্থ কিছু বর্ণনা করা তাঁর একটি মুজেযা ছিল। তিনি পারবেন না কেন!তাকে স্বল্পভাষায় অধিক অর্থ দ্বারা ভূষিত করা হয়েছে।”
★আল্লাম আইনী, উমদাতুল ক্বারীঃ১৫/১১০ পৃঃ ।

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ বলেন,
“নবী করীম ﷺ সৃষ্টির শুরু থেকে একটি একটি করে জান্নাত ও জাহান্নামে অবস্থান করা পর্যন্ত বিস্তারিত বিষয় আমাদেরকে অবহিত করেছেন এবং এ বিষয়টি তাঁর একটি বড় মুজিযা ছিল”।
★ইবনে হাজর আসকালানী, ফতহুল বারী শরহে বোখারীঃ৬/৩৬৭ পৃঃ ।
উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লাম মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ বলেন,
“”এই হাদিস দ্বারা জানা যায় করীমﷺ একই অবস্থানে থেকে সমস্থ মাখলুকাতের সৃষ্টির শুরু, জীবন যাপন এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত হওয়া বা পরকাল ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেছিলেন এবং এ বিষয়টি নবী করীম ﷺ এর একটি বড় মুজিযার অন্তর্ভূক্ত।”
★মোল্লা আলী ক্বারী ,মেরকাত শরহে মিশকাতঃ ১১/৪ পৃঃ ।
দারুল উলূম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী কাশেম নানুতবী স্বীয় গ্রন্থ ‘তাহযীরুন-নাস’ এ ধরনের একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, নবীজী ﷺ ইরশাদ করেছেন-
“আমি সর্ব প্রাথমিকের এবং সর্বশেষ জ্ঞানে জ্ঞাত।’
★ইমাম ইবনে রযব হাম্বলী, তাফসীরে ইবনে রযব হাম্বলীঃ ২/৫৫৫ পৃঃ






Users Today : 121
Users Yesterday : 317
This Month : 28673
This Year : 168150
Total Users : 284013
Views Today : 2288
Total views : 3347975