পীর-মুর্শিদ – কোর’আনের ভাষ্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সূরা বাকারা। কোর’আনের শুরু। ‘বাকারা’ মানে গাভী। শেষ সূরা ‘নাস’। ‘নাস’ মানে মানুষ।

কিছু বুঝলেন?

আচ্ছা বলছি। কোর’আন যদি কেউ জানতে শুরু করে, এবং যথার্থ ভাবে সমাপ্ত করে; তবে সে গাভী (পশু) অবস্থা থেকে মনুষ্য রূপে উত্তীর্ণ হবে। সহজ কথায়, পশু থেকে মানুষ হবে।

‘সূরা ফাতেহা’ এক্কেবারে প্রথমে। এবং এটি খণ্ডের (পারা) অন্তর্ভূক্ত নয়। বিষয়টি পিটি ক্লাসে শপথ করার মত। যাতে ব্যক্ত হয়, বিদ্যালয়ে আসার উদ্দেশ্য- সৎ ও সজ্জন মানুষ হবার প্রত্যয়।

সিরাতাল্লাজিনা… ‘চলাও সে পথে, যে পথে তোমার প্রিয়জন গেছে চলি’ – এই ‘প্রিয়জন’ কারা? তাঁদের অনুসরণের কথা কেন স্মরণ করানো হয়? তাও একেবারেই প্রথমে!

এখানে থেকে আনুগত্যের (তাকলীদ) প্রমাণ মিলে। ভালো করে ভাবুন, আল্লাহর কাছে চাওয়া হচ্ছে ‘তাকলীদ’ করার শক্তি। তাকলীদ আল্লাহ’কে করতে বলে নি। কারণ আল্লাহ হচ্ছেন উপাস্য, ডেস্টিনেশন, লক্ষ্য। কাউকে অনুসরণ করেই তাঁর কাছে পৌঁছাতে হবে।

এখন প্রশ্ন, এই প্রিয়জন কে বা কারা? সহজ উত্তর, রাসুল-অতুল সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম। খোদার একক প্রেমাস্পদ।

কিন্তু তাঁকে কি ভাবে অনুসরণ করব ? বলবেন, কোর’আন-হাদিস দ্বারা।

কিন্তু স্মরণ করিয়ে দেই ‘প্রিয়জন’ কে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ‘প্রিয়বস্তু’কে নয়। ‘ধারণা’-কেও নয়।

তাই বলে কোর’আন-হাদিস মানব না ?

জ্বী, অবশ্যই এবং অবশ্যই মানবেন। কিন্তু নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোর’আন হাদিস ঠিক কতটা বুঝেন। সবজান্তা সমশের নিশ্চই আপনি নন।

হাতুড়ে ডাক্তার নিশ্চই নিউরো সার্জারী করে না! কুয়োয় থেকে নিশ্চই চাঁদের দৈর্ঘ্য মাপা যায় না!

তবে উপায়? উপায় অবশ্যই আছে। যাঁরা জানেন, তাঁদের অনুসরণ করুণ।

এজন্যই মুসলিমরা তাকলীদ করে। অনুসরণ করে। যেমন হানাফিরা ইমামে আ’যম রা. কে অনুসরণ করে।

অতএব, কোর’আনের অনন্তরাজ্যে প্রবেশের আগেই একজন গাইড লাগবে। আপনি যাঁর আনুগত্য করবেন।

এ কথা আমি বলছি না। বলছে স্বয়ং কোর’আন।

আর এ গাইডকেই আমরা বলি মুর্শিদ, পীর।

আর গাইড (তাকলীদ) না থাকলে নাস হতে হবে না। বাকারা হয়েই থাকবেন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments