পীর-মুরিদী বা বড়দের সাথে সম্পৃক্ত থাকা।
ইলম ও যিকরের পাবন্দি নিজের বড়দের সাথে সম্পর্ক রেখে এবং তাদের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে হওয়া অতীব জরুরী।
হাযরাতে আম্বিয়ায়ে ক্বিরাম আলাইহিমুস সালামের ইলম ও যিকর ছিল আল্লাহ তাআলার নির্দেশনা অনুযায়ী আর সাহাবা কেরাম ইলম ও যিকর নিতেন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে। হজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পুরা নেগরানী (তদারকি) করতেন। এভাবে প্রতি যুগের মানুষ নিজের বড়দের নিকট থেকে ইলম ও যিকর গ্রহণ করেছেন এবং তাদের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। এভাবে আজও আমরা আমাদের বড়দের তত্ত্বাবধানের মুখাপেক্ষী। অন্যথায় শয়তানের জালে ফেঁসে যাওয়ার বড় আশংকা আছে।
এ বিষয়ের এক মূলনীতি এই যে, স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী না হওয়া চাই; বরং নিজেদেরকে ঐ সকল বড়দের পরামর্শের অধীন রাখা চায়, যাদের উপর দ্বীনের বিষয়ে ঐ সকল পূর্বসূরী আস্থা প্রকাশ করেছেন, আল্লাহর সাথে যাঁদের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত ও সর্বজনস্বীকৃত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর সাহাবায়ে কেরামের সাধারণ নীতি এ-ই ছিল যে, তারা ঐ-ব্যক্তিত্বদের উপরই বেশি ভরসা করতেন, যাদের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ আস্থা রেখেছেন। এঁদের পর ঐ সব ব্যক্তিবর্গই অধিক আস্থাযোগ্য গণ্য হয়েছেন যাদের উপর হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আস্থা রেখেছেন।
উল্লেখ্য সকল সাহাবায়ে ক্বিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম নক্ষত্রতুল্য, পরবর্তী কেউই তাঁদের সমকক্ষ কখনই হতে পারে না।
দ্বীনের বিষয়ে নির্ভর করার জন্য খুব সতর্ক নির্বাচন জরুরি। অন্যথায় বড় রকমের গোমরাহীর আশঙ্কা আছে।
আরও উল্লেখ্য যে, বাতীল ৭২টি গোমরাহ ফির্কার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ উপনিবেশকালে একটি ফির্কায় সৃষ্টি হয়েছে যাদের মূল উপজীব্য হচ্ছে সত্যের সাথে মিথ্যা মিশ্রিত করে আর মনগড়া ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত উপস্থাপনাকেই ইসলামী দ্বীন বলে প্রচার প্রসার করা।
যাদের তারবীয়াত হচ্ছে উলামায়ে আহলুস সুন্নাহের আমলে মুতাওয়ারেসা বা ধারাবাহিক দ্বীন চর্চা তথা সীরাতুল মুস্তাকিমের বিপরীত কর্মপন্থা অবলম্বণ করা।