পিতা-মাতার ওফাতের পরে সন্তানের কর্তব্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নবম শতাব্দির মুজাদ্দিদ, হাফেযুল হাদিস, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) সংকলন করেন- وَأَخْرَج اِبْنِ النَجَّار فِي تَارِيْخه عَنْ أَبِي بَكْر الصِّديق قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اَللهِ صَلَّى اَلله عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ زَارَ قَبْر وَالِديْهِ أَو أَحَدِهُمَا فِي كُلِّ جُمُعَة فَقَرَأَ عِنْدَهَا (يس) غَفَرَ اَلله لَهُ بِعَدَد كُل حَرْف مِنْهَا -‘‘ইমাম ইবনে নাজ্জার (رحمة الله) তার ‘তারিখে মাদিনা’ গ্রন্থে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুম‘আর দিন তার পিতা-মাতার অথবা তাদের যে কোন একজনেরও কবর যিয়ারত করবে এবং তার কবরের নিকটে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে

তাহলে তার প্রত্যেক হরফের পরিমান গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’ ইমাম সুয়ূতি, তাফসিরে আদ-দুররুল মানসূর, ৭/৪০ পৃ, ইমাম আইনি, উমদাতুল ক্বারী, ৩/১১৮ পৃ., এ হাদিসটির আরও দুটি যঈফ সূত্র রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ ১ম খণ্ড দেখুন।

আক্বিদা

এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল যে জিবিত সন্তানরা মৃত পিতা-মাতার জন্য কোরআন তিলাওয়াত অথবা কোন নেক কাজ ঈসালে সাওয়াব হিসেবে পাঠালে পৌঁছে।  এ প্রসঙ্গে আল্লামা মানাভী (رحمة الله) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন- وَفِيه أَن الْمَيِّت تَنْفَعهُ الْقِرَاءَة عِنْده وَكَذَا الدُّعَاء وَالصَّدَقَة -‘‘এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, মায়্যিতের কবরের নিকট কিরাত পড়লে তার উপকার হয় এবং যেমনিভাবে দোয়া সাদকা করলে হয়।’’ আল্লামা মানাভী, তাইসির, ২/৪২০ পৃ.}

বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি (رحمة الله) লিখেন- فَذهب أَبُو حنيفَة وَأحمد، رَضِي الله تَعَالَى عَنْهُمَا، إِلَى وُصُول ثَوَاب قِرَاءَة الْقُرْآن إِلَى الْمَيِّت -‘‘ইমাম আবু হানিফা (رضي الله عنه) এবং ইমাম আহমদ (رضي الله عنه) এ মত পোষণ করেছেন যে কোরআনের তিলাওয়াতের সাওয়াব মৃত্যু ব্যক্তির কাছে পৌঁছে।’’ আল্লামা আইনী, উমদাতুল ক্বারী, ৩/১১৮ পৃ.} এ হাদিস থেকে ঈসালে সাওয়াব এবং নির্দিষ্ট দিনে কবর যিয়ারতের প্রমাণ পাওয়া গেল।

━━━━━━━━━━━━━━━━
তথ্যসূত্রঃ শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment