পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত |ফজরের নামাজের ফজিলত

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত

নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ গুলোর মধ্যে একটি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ, এছাড়া এই নামাজের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ।

নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০ উপকারিতা বর্ণনা করা হলো —

আল্লাহর হেফাজতে পৌছে যাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে সে মহান আল্লাহর হেফাজতে থাকে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৯)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ : বিখ্যাত তাবিয়ি আবু বকর ইবনে উমরাহ তার পিতা রুয়াইবা থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত আদায় করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। ‘ (মুসলিম, হাদিস : ১৩২২)

কেয়ামতের দিন পূর্ণ আলোর সুসংবাদ: বিখ্যাত সাহাবী আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- যারা রাতের আধারে মসজিদে যায় তাদের কেয়ামতের দিন পূর্ণ আলো বা নুরের সুসংবাদ দাও। . (ইবনে মাজাহ, হাদীসঃ ৭৮১)

অর্ধেক দিনের ইবাদতের সওয়াব: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জামাতে এশার সালাত আদায় করে, সে যেন অর্ধেক রাতে (নফল) নামায পড়ল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।”  (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)

মুনাফিকের তালিকা থেকে মুক্তি : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে কঠিন আর কোনো নামাজ নেই। তারা যদি এ দু’টি নামাযের ফযীলত জানতেন, তবে হামাগুড়ি দিয়েও তারা সেখানে উপস্থিত হতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)

ফজরের নামাজ দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে উত্তম : রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাতের সুন্নত দুনিয়া ও এর মধ্যবর্তী সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৫৭৩)

ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ : ফেরেশতারা ভোরবেলা পালা করে। আর এ সময় বান্দা যা কিছু করে, ফেরেশতারা তা আল্লাহর দরবারে পেশ করে। একটি হাদিসে আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ফেরেশতারা দলে দলে আসে; কেউ দিনে, কেউ রাতে। আসর ও ফজরের নামাজের সময় উভয় দল একত্রিত হয়।

অতঃপর তোমাদের মধ্যে যারা রাত্রি যাপন করে তারা উঠে যায়। অতঃপর তাদের রব তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এলে? তবে তিনি তাদের সম্পর্কে সবচেয়ে সচেতন। তারা উত্তর দিল, “আমরা তাদের নামায পড়া অবস্থায় রেখে এসেছিলাম এবং যখন আমরা তাদের কাছে গেলাম তখনও তারা সালাত আদায় করছিল।”  (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫)

কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাক্ষাৎ : জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি (পূর্ণিমার) রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি যেভাবে চাঁদ দেখবে, সেভাবে তোমার প্রভুকে দেখতে পাবে। তাকে দেখার জন্য তোমাদের কোন ভিড়ের মুখোমুখি হবেন না। তাই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে নামাজ আদায় করতে পারলে তা আদায় কর।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৩৯)

ফজর আদায়ে উত্তম দিনযাপন : ফজর নামাজ আদায়ের জাগতিক উপকারের কথা আল্লাহর রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এভাবে বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে শয়তান তার গলায় তিনটি গিঁট বেঁধে দেয়। প্রতিটা গিঁটে চেপে বলছে, তোমার সামনে অনেক রাত আছে, তাই শুয়ে পড়।

অতঃপর যখন সে জেগে ওঠে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন সে একটি গিঁট খুলে দেয়, যখন সে অজু করে তখন আরেকটি গিঁট খুলে যায়, তারপর যখন সে সালাত আদায় করে তখন আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় প্রফুল্ল মন আর আনন্দে। নইলে ময়লা কালি আর অলসতায় সকালে ঘুম থেকে উঠে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)

মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ আদায়ে যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন।

নামাজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ইমানের পরে নামাজের তালিম দেওয়া হয়েছে । রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সঠিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, আল্লাহ তাকে পাঁচটি সওয়াব বা নেয়ামত বা পুরষ্কার দান করবেন।

(1) অভাব অপসারণ করবেন

(২) কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করবেন

(৩) তার আমল নামা ডান হাতে দেওয়া হবে

(4) সে বিজলীর মত পুলসিরাত পার হবে

(5) বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments