★ আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে “রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) বলেন,
“আমি মে’রাজের রাতে হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম এর নিকট আসলাম (হাদ্দার এর এক বর্ণনা মতে) লাল টিলার পাশ দিয়ে আমার গমন হলো (তখন আমি দেখলাম যে,) হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম নিজ কবরে দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত ছিলেন।”
Reference:–
1. SAHIH MUSLIM (Book 30, Hadith 5858)
2. SAHIH MUSLIM (Book 30, Hadith 5859)
3. NASEEI : AS-SUNAN AL KUBRA, Book : As Salah
Ch: Zikr Salat NABI ALLAH MOSA Bil-Laiyl Vol:2
Hadith nO : 1330
4. SUNAN NASEEI (Vol 2, P- 237, Hadith no: 1630)
5. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1631)
6. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1632)
7. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1633)
8. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1634)
9. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1635)
10. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1636)
11. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1637)
12. SUNAN NASEEI (Vol. 2, Book 10, Hadith 1638)
13. Muslim, Sahih (#2375)
14. Ahmad in his Musnad, 3/148 : 12234
15. Ahmad in his Musnad 3/248 : 12532
16. ibn Hibban in his Sahih (#49)
17. al-Albani, Silsilah Ahadith al-Sahihah (#2627)
18. নাসাঈ: আস্ সুনান, কিতাবু কিয়ামিল লাইয়লি ওয়া তাত্বাওউয়িন নাহারি, ৩/২১৫, হাদিস: ১৬৩২
★ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বয়ান করেন যে, আমি হুজুর নবী আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনলামঃ
“সে সময় তিঁনি হযরত ইউসূফ (আলায়হিস সালাতু ওয়াস্সালাম)’র গুণাবলী বয়ান করতে ছিলেন। যখন হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে (মে’রাজের রাতে) তৃতীয় আসমানে দেখলেন, হুযূর পুরনূর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যাঁর অাকৃতি চৌদ্দ তারিখের চাঁদের ন্যায় ছিল। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিব্রাইল! ইনি কে? তিনি আরজ করলেন, ইনি আপনার ভাই হযরত ইউসূফ (আলায়হিস সালাতু ওয়াস্সালাম)।”
______এ হাদিসকে ইমাম হাকেম এবং ইবনে কুতায়বাহ্ বর্ণনা করেছেন।
[সূএঃ ক) হাকেমঃ আল মুসতাদরাক, ২য় খন্ড, পৃ. ৬২৩; এবং
খ) ইবনে কুতায়বাহঃ তাবীলু মুখতালিফিল হাদিস, ১ম খন্ড, পৃ. ৪২১]
★ হযরত আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত আছে যে, হুজুর নবী আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মোবারক ফরমানঃ
“আমি ‘হাজরে আসওয়াদ’- এর নিকট দাড়ানো ছিলাম, এই সময় কুরাইশগণ আমাকে আমার মে’রাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুরু করিল। তারা আমাকে বায়তুল মুকাদ্দাসের এমন সব বস্তুর কথা জিজ্ঞেস করতে লাগিল, যা আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য করে দেখি নাই। যার ফলে খুবই চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিলাম।
হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে বায়তুল মুকাদ্দাসকে উঠিয়ে নিয়ে প্রকৃত দৃশ্যটি তুলিয়া ধরিলেন। আমি তাহা দেখে দেখে কুরাইশদের প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগিলাম।
এরপর আমি নবীদের এক জামাতেও নিজেকে উপস্থিত দেখিলাম। আমি দেখলাম হযরত মূসা (আলায়হিস সালাম) দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত ছিলেন। তিনি শানুয়াহ গোত্রের লোকদের ন্যায় দীর্ঘাকৃতি বিশিষ্ট। তার কেশরাজি ছিল কুঞ্চিত।
ঈসা ইবনে মরিয়ম (আলায়হিস সালাম) -কেও দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত দেখিলাম। উ’রওয়া ইবনে মাসউদ ছাক্বাফী তাঁর সাদৃশ্য ছিলেন।
হযরত ইবরাহীম (আলায়হিস সালাম) -কেও নামাযে দাড়ানো দেখিলাম। তাঁর চেহারা তোমাদের সঙ্গীরই (অর্থাৎ- হুযূর মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সাথেই অধিক) সাদৃশ্যপূর্ণ।
অতঃপর নামাযের সময় হল। আমি সকল নবী আলায়হিমুস সালামগণের ইমামতী করলাম।
যখন নামায থেকে অবসর হলাম একজন প্রবক্তা আমাকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইনি মালিক, জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক, তাঁকে সালাম দিন, আমি তাঁর অভিমুখী হলাম তখন তিঁনি (আমার) পূর্বেই আমাকে সালাম করলেন।”
______ ইহাকে ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।
[সূএঃ ক) মুসলিম: আস্ সহীহ, কিতাবুল ঈমান , ১/১৫৬ হাদিস: ১৭৮; এবং
খ) নাসাঈ: আস্ সুনানুল কুবরা, ৬/৪৫৫; হাদীসঃ ১১৪৮০]
★ হযরত আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত আছে যে, হুজুর নবী আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মোবারক ফরমানঃ
“মি’রাজের রাত্রে হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। হাদিস বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন যে, হযরত (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর গুণ এরুপে বর্ণনা করলেন যে, তিঁনি হালকা-পাতলা, দীর্ঘকায় এলোমেলো চুলবিশিষ্ট। তিঁনি শানুয়াহ গোত্রের লোক সাদৃশ্য।
হযরত (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন, হযরত ঈসা (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথেও আমার সাক্ষাৎ হলো, তখন হুযূর নবী আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ভূষণের বর্ণনা দিলেন যে, তিঁনি মধ্যম কায়বিশিষ্ট লাল বর্ণওয়ালা যেমন এখনই হাম্মাম থেকে (গোসল সেরে) বের হয়েছেন।
এবং আমি হযরত ইব্রাহিম (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং আমি তাঁর সকল আওলাদের মধ্যে সবচেয়ে অধিক তাঁর সাদৃশ্যপূর্ণ হই।
—— এ হাদিস মুত্তাফাকুন আলায়হি।
[সূএঃ ক) বুখারীঃ আস্ সহীহ, কিতাবুল আম্বিয়া, খন্ড-৩, পৃ. ১২৬৯, হাদিস: ৩২৫৪;
খ) মুসলিমঃ আস্ সহীহ, কিতাবুল ঈমান, খন্ড-১, পৃ. ১৫৪, হাদিস: ১৬৮]
★ হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বয়ান করেন যে, হুযূর নবী আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ ফরমানঃ
“(মি’রাজ এর রাত্রি) আল্লাহ্ তা’আলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করলেন, তখন আমি ঐ (নামায) গুলোকে নিয়ে ফিরে আসি। এ পর্যন্ত যে আমি মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর পাশ দিয়ে চললাম তখন তিঁনি জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্ তা’আলা আপনার উম্মতের জন্য আপনার উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, আল্লাহ্ তা’আলা ৫০ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।
তিঁনি বললেন, আপনি রবের দিকে ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মত ইহা আদায়ের শক্তি রাখে না। তখন তিঁনি আমাকে ফিরায়ে দিলেন। (আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে) আল্লাহ্ তা’আলা উহার একভাগ কমিয়ে দিলেন। আমি হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর নিকট ফিরে আসলাম এবং বললাম যে, আল্লাহ্ তা’আলা একভাগ কমিয়ে দিয়েছেন। তিঁনি বললেন, আপনার রবের নিকট পুনরায় গমন করুন, কেননা আপনার উম্মতের মধ্যে ইহা আদায়ের শক্তিও নেই। তারপর আমি ফিরে গেলাম তখন আল্লাহ্ তা’আলা আরও একভাগ কমিয়ে দিলেন। আমি তাঁর নিকট এলাম। তিঁনি আবারও বললেন, আপনার রবের নিকট যান, কেননা আপনার উম্মতের মধ্যে ইহা আদায়ের শক্তিও নেই।
আমি ফিরে গেলাম তখন (আল্লাহ্ তা’আলা) বললেন, এই (হল যে) পাঁচ (নামায) কিন্তু (পূণ্যের হিসেবে) পঞ্চাশ (এর বরাবর), আমার নিকট নির্দেশাবলী পরিবর্তন হয় না। আমি হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর নিকট আসলাম তখন তিঁনি বললেন, আপনার রবের নিকট যান (আরও বেশী করে কমিয়ে দেয়ার আবেদন করুন)! আমি বললাম, এখন আমার রবের নিকট আমার লজ্জাবোধ হচ্ছে।
অতঃপর (জিব্রাইল আলায়হিস্ সালাম) আমাকে নিয়ে চললেন, শেষ পর্যন্ত ‘সিদরাতুল মুনতাহা’র উপর পৌঁছলেন, যাকে বিভিন্ন রঙে আবৃত করে রেখেছে, জানিনা উহা কি? অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করা হলো যেখানে মুক্তার হারসমূহ রয়েছে এবং উহার মাটি যেন মেশক (এর ন্যায় সুগন্ধিযুক্ত)। — এ হাদিস মুত্তাফাকুন আলায়হি।
[সূএঃ ক) বুখারীঃ আস্ সহীহ, কিতাবুয সালাত, খন্ড-১, পৃ.১৩৬, হাদিস: ৩৪২
এবং কিতাবুল আম্বিয়া, খন্ড-০৩, পৃ. ১২১৭, হাদিস: ৩১৬৪;
খ) মুসলিমঃ আস্ সহীহ, কিতাবুল ঈমান, খন্ড-১, পৃ. ১৪৮, হাদিস: ১৬৩]