পবিত্র হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) : (রোজা ও বংশবৃত্তান্ত সংক্রান্ত হাদিস)
🖋কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
হাদিস :
হযরত আবু কাতাদা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
– أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، وَالْحَجَّاجُ، قَالَا: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صَوْمُ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ ؟ قَالَ: ” فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ الْقُرْآنُ ” أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي الصَّحِي
অর্থঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে সোমবারে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিঁনি ইরশাদ করেন-
“সোমবারে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং সোমবারই আমার প্রতি ওহী নাজিল করা হয়েছে।”
★মোসান্নাফে আবদ্ আল-রাযযাক, ৪র্থ খণ্ড, ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৮৬৫
★সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬০৬; ২৬০৩ হাদীসেও বিদ্যমান।
★মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড-৫ম, পৃ-২৮৭ হা.নং২১৫০৮,
★সুনানে আবি দাউদ, ৭ম খণ্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৪২৮
★মিশকাত পৃঃ১৭৯,
★বায়হাকীঃ সুনানে বায়হাকী, খন্ড ১ম, পৃ-৭২,
★ইমাম বায়হাকী কৃত সুনানে কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, ৩০০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৮১৮২ ও ৮২৫৯
★ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানীঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:
͏★ইমাম মোল্লা আলী কারীঃ মিরকাত শরহে মিশকাত, খন্ড-৪র্থ, পৃ-২৯১,
★আসাদ আল-গাবা ফী মা’আরফাতেস্ সাহাবা, ১ম খণ্ড, ২১-২২ পৃষ্ঠা; ১৯৮৭ সালে লাহোর, পাকিস্তানে প্রকাশিত
ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বংশ-বৃত্তান্ত আলোচনার প্রমাণঃ
হাদিস :
৩৫৫৭ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ مِنْ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা,
– ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) এর আওলাদ হতে ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) কে নির্বাচন করেছেন।
– ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) হতে কেনানাহকে নির্বাচন করেছেন এবং
– কেনানার বংশ হতে কুরাইশ,
– কুরাইশের বংশ হতে হাশেমকে নির্বাচন করেছেন আর আমাকে হাশেমের আওলাদ হতে নির্বাচন করেছেন।
★মুসলিম শরীফ, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৫৮;
★তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং ৩৬০৫;
★মসনদে আহমদ, হাদীস নং ১৭০২৮;
★মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ১১/৪৭৮, হদীস নং ৩২৩৮৯
হাদিস :
ওয়াসিলা ইবনে আল-আসকা (রাঃ)’ বর্ণনা করেন যে,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ ফরমানঃ “সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়া’লা হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধরদের মাঝে কানানা গোত্রকে বেছে নিয়েছেন;
– কানানা গোত্রের মধ্য হতে কোরাইশ গোত্রকে বেছে নিয়েছেন;
– কুরাইশের মধ্য হতে হাশেম পরিবারকে বেছে নিয়েছেন;
– আর আমাকে হাশেম পরিবারের মধ্য হতে বেছে নিয়েছেন”।
[তিরমিযী শরীফ: কিতাবুল মানাকিব, মহানবী (ﷺ) এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত অধ্যায়, হাদীস নং ৩৬১৭]
হাদিস :
একবার হযরত আব্বাস (রাঃ) মহানবী (ﷺ)-এর দরবারে হাজির হন। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি [হুযূর পাক (ﷺ) সম্পর্কে কারো কাছ থেকে মন্দ] কিছু শুনেছিলেন। অতঃপর নবী করীম (ﷺ) মিম্বরে উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, “আমি কে?” সাহাবা رضي الله عنه বললেন, “আপনি আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ।” তিনি বললেন, “আমি মুহাম্মদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে আব্দিল মোত্তালিব। আল্লাহ তায়া’লা মানুষ সৃষ্টি করে আমাকে তাদের মধ্য হতে প্রেরণ করেছেন;
– অতঃপর তিনি তাদেরকে দুটো দলে বিভক্ত করেছেন এবং আমাকে সেরা দল হতে আবির্ভূত করেছেন।
– অতঃপর তিনি তাদেরকে বিভিন্ন গোত্রে পরিণত করেছেন এবং আমাকে সেরা গোত্রে আবির্ভূত করেছেন;
– আর তিনি তাদেরকে বিভিন্ন পরিবারে পরিণত করে আমাকে সেরা পরিবারে প্রেরণ এবং সেরা বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিভূষিত করেছেন”।
★ তিরমিযী শরীফঃ কিতাবুল মানাকিব (গুণাবলীর বই), মহানবী (ﷺ) এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত অধ্যায়, হাদীস নং ৩৬১৬]
→ আবূ হাসান এই হাদীসকে হাসান বলেছেন।
★ আশরাফ আলী থানভীঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) : অধ্যায় ৪ : নবী প্রেমের দাবী : ৪৩ পৃ, বাড কম্প্রিন্ট & পাব্লিকেশনস