পবিত্র শবে মেরাজ : আল্লাহর রহমতময় দিন
আজ সূর্যাস্তের পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত পবিত্র মেরাজের রাত। মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এ রাত। এ রাতে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) স্বর্গীয় বাহন বোরাকে চেপে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন। দৈনিক পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ ফরজের বিধানও করা হয় এ মহিমান্বিত রাতে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে রাতটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শবে মেরাজের রাতে যা ঘটেছিল তা মুসলমানদের বিশ্বাস করা ইমানি দায়িত্ব। এ রাতেই সপ্তম আসমান পেরিয়ে আরশে আজিমে পেঁৗছে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসেন হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)।
মেরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল আরবি রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে। মহানবী (সাঃ) তখন শুয়েছিলেন উম্মে হানির ঘরে। সেখান থেকে জিব্রাইল (আঃ) তাকে নিয়ে কাবার হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজু করে বোরাকে আরোহণ করেন মহানবী। মক্কা শরিফ থেকে জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে রাসূল (সাঃ) নামাজ আদায় করেন।
সপ্তম আকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মহানবী (সাঃ)। এর আগে আকাশের সাত স্তরে মহানবীকে স্বাগত জানান হজরত আদম (আঃ), হজরত ঈসা (আঃ), হজরত ইয়াহইয়া (আঃ), হজরত ইদ্রিস (আঃ), হজরত হারুন (আঃ), হজরত মুসা (আঃ) এবং হজরত ইব্রাহিম (আঃ)। সপ্তম আকাশে পেঁৗছে জিব্রাইল (আঃ) মহানবীকে জানান, এরপর আর যাওয়ার অনুমতি নেই। বাকি পথ একাই গমন করেন মহানবী। সেখান থেকে নবীজি রফরফ নামে একটি যানে করে আরশে আজিম অভিমুখে রওনা দেন। সত্তর হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে তিনি পেঁৗছান আরশে আজিমে। সেখানে এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে তার কথোপকথন হয়।
পরিশেষে দান করা হয় মহানবীর (সাঃ) উম্মতদের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ, যা হজরত মুসার (আঃ) সুপারিশে আল্লাহর দরবারে বারবার যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নির্ণয় করা হয়; কিন্তু দয়াময় আল্লাহতায়ালা বলে দেন, তোমার উম্মতদের মধ্যে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, তারা পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।
পবিত্র শবে মেরাজ : আল্লাহর রহমতময় দিন
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।