সম্মানীত পাঠকগণ
আমরা ইসলামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবারের আয়োজন করে থাকি এই আশুরা উপলক্ষে আমরা সাধারণ মুসলিমগণ তাদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ভাল খাবারের আযোজন করে থাকি..যেমন আল্লাহর নামে গরু জবাই করে বিরানী পাক করে মানুষকে খাওয়ানো বা বাসায় আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করে ভাল খাবার খাওয়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আজকাল কিছু পাবলিক এটাকে বেদাত বলে চালিয়ে দিচ্ছে আসলে যারা এটাকে বেদাত বলে তারাই মুলত বেদাতের প্রকারভেদ জানে না কারণ বেদাত হলো ২ প্রকার আর মুসলিমদের কোন অনুষ্ঠানে শরীয়ত সম্মত কোন খাবার দাবারের আয়োজন করে মানুষকে খাওয়ানো হলো উত্তম বেদাত যা হাদীস মতে সম্পূর্ণ যায়েয।আমি এখানে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে যে ভাল খাবার খাওয়ানো যে যায়েয বা হাদীস দ্বারা সীকৃত তা তুলে ধরব…
# হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-…ﻣﻦ ﻭﺳﻊ ﻋﻠﻰ ﻋﻴﺎﻟﻪ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﻔﻘﺔ ﻳﻮﻡ ﻋﺎﺷﻮﺭﺍ ﻭﺳﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺳﺎﺋﺮ ﺳﻨﺘﻪ
অর্থ : “যে ব্যক্তি তার পরিবারবর্গকে পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন অর্থাৎ পবিত্র দশই মুহররম শরীফ-এ ভালো খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এক বৎসরের জন্য সচ্ছলতা দান করবেন।”সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ,মা-ছাবাতা বিস্সুন্নাহ।
من وسع على عياله يوم عاشوراء وسع الله عليه سائر السنة. قال# الإمام أحمد : لا يصح هذا الحديث
“যে ব্যক্তি আশুরার দিনে তার পরিবারবর্গের লোকদের জন্য সচ্ছলতার (ভাল খাবার) ব্যবস্থা করবে আল্লাহ সারা বছর তাকে সচ্ছল রাখবেন।-তাবরানী শরীফ
উক্ত হাদীসটি কোন কোন মুফাসসিরে কেরামগণ গ্রহণ করেছেন আবার কেউ কেউ গ্রহণ করেন নি তবে একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় ইমাম ইবনে হাম্বল (র:)নাকি বলেছেন হাদীসটি সহীহ নয় কারণ হলো এই হাদীসের রাবী একজন দুর্বল ছিলো।সম্মানীত পাঠকগণ ইমাম ইবনে হাম্বল (র:)হাদীসটিকে কিন্তু জাল বলেননি কথাটি ভাল করে খেয়াল করুন সহীহ না বললেই হাদীসটির উপর আমল করা যাবে না তা ঠিক না হাদীসটির উপর আমল করা মুস্তাহাব..নিচের লিংকটি দেখুন জয়ীফ হাদীসের উপর আমলা করা মুস্তাহাব।তাই আসূণ আমরা এই দিনে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ি ভাল খাবারের আয়োজন করি । আল্লাহ আমিন।