60 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ مَنْعِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ
162 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ : أَنَّهُ لَـمَّا قَدِمَ مِنْ أَرْضِ الْـحَبَشَةِ سَلَّمَ عَلَىٰ رَسُوْلِ اللهِ ، وَهُوَ يُصَلِّيْ، فَلَـمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ، فَلَـمَّا انْصَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ ، قَالَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ: أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ سَخَطِ نِعْمَةِ اللهِ، قَالَ النَّبِيُّ : «وَمَا ذَاكَ»؟! قَالَ: سَلَّمْتُ عَلَيْكَ، فَلَـمْ تَرُدَّ عَلَيَّ، قَالَ: «إِنَّ فِيْ الصَّلَاةِ لَشُغْلًا»، فَلَـمْ نَرُدَّ السَّلَامَ عَلَى احَدٍ مِنْ يَوْمِئِذٍ.
বাব নং ৭২. ৬০. নামাযে কথা বলা নিষেধ
১৬২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আবু ওয়ায়েল থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি যখন আবিসিনিয়া হতে আগমণ করেন, তখন রাসূল (ﷺ) কে নামাযে রত অবস্থায় সালাম পেশ করেন। তিনি সালামের উত্তর দেন নি। তিনি নামায থেকে অবসর হলে ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন, আমি আল্লাহর নিয়ামত তথা রাসূল (ﷺ) ’র ক্রোধ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। রাসূল (ﷺ) বললেন, আশ্রয় চাওয়ার কারণ কি? ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) আরয করলেন, আমি আপনাকে সালাম দিয়েছি কিন্তু আপনি এর উত্তর দান করেন নি (ফলে আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি) তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন- নিশ্চয়ই নামাযে আল্লাহর প্রতি একাগ্রতা ও বিনয় সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন, এরপর থেকে আমরা নামাযের মধ্যে কারো সালামের জওয়াব দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
ব্যাখ্যা: এই হাদিসের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নামাযের মধ্যে কথা-বার্তা এবং সালামের জওয়াব দেওয়া জায়েয ছিল। ইসলামের অগ্রগতি ও উন্নতির সাথে সাথে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই ইমাম বুখারী ও মুসলিম (رحمة الله) হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইসলামের প্রথম যুগে আমরা নামাযে কথা-বার্তা বলতাম। কিন্তু পবিত্র কুরআনের আয়াত وقوموا لله قانتين (আল্লাহর জন্য নামাযে চুপ হয়ে দাঁড়াও) নাযিল হলে আমাদের উপর নিরব থাকার নির্দেশ হয় এবং আমরা নামাযে কথা বলা বন্ধ করে দেই।
১৬৩ – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يُصَلِّيْ مِنْ اللَّيْلِ، وَأَنَا نَائِمَةٌ إِلَىٰ جَنْبِهِ، وَجَانِبُ الثَّوْبِ وَاقِعٌ عَلَيَّ.
১৬৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে, তিনি আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) রাতে নামায আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশে এমনভাবে শুয়ে থাকতাম, (তাঁর) কাপড়ের একাংশ আমার উপর পড়ে থাকত।