নামাযের মাঝে নারী পুরুষের ভিন্নতা কি কি?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নামাযের মাঝে নারী পুরুষের
ভিন্নতা কি কি?
———–প্রকৃত কথা হচ্ছে হক্ব বাতিলের সংঘাত চিরন্তন -অন্যথায় রাসুল
( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )এর স্বর্ণ যুগে তারকারাজীর ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শবান
সাহাবায়ে-কিরাম, তাবেঈ,তাবে তাবেঈ থেকে শত শত বছরের
গবেষক, বিচক্ষণ ইমামদের সর্ব স্বীকৃত কোরআন ও হাদীসের
আলোকে নারীদের সালাত পদ্ধতিকে ইদানিং জন্ম
নেয়া একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দল কিভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ
করতে পারে ?
নামাযের মাঝে কি পার্থক্য আছে, তা বর্ণনা করার
পূর্বে আমি উল্লেখ করবো শরীয়তের অন্য কোন বিধান এর
মাঝেও কি নারী পুরুষের পার্থক্য আছে? না শুধু নামাযের
মাঝে? যেমন-
১। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপরই হজ্জ ফরয। কিন্তু মহিলাদের জন্য
পথ খরচ ছাড়াও হজ্জের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষের
উপস্থিতি শর্ত। (অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে যার
কাছে পথ খরচ আছে তাকে হজ্ব করার নিদেশ দিয়েছেন-{ ﻭَﻟِﻞِﻩَّ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺣِﺞُّ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻣَﻦِ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺳَﺒِﻴﻠًﺎ { [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : 97 ] সূরা আল
ইমরান-97।
২। ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য মাথা ঢাকা নিষেধ অথচ
মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায়ও মাথা ঢেকে রাখা ফরয।
মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-1668।
৩। ইহরাম খোলার সময় পুরুষ মাথা মুণ্ডাবে; কিন্তু মহিলাদের
মাথা মুণ্ডানো নিষেধ।
৪।হজ্জ পালনের সময় পুরুষ উচ্চ আওয়াজে ‘তালবিয়া’ পাঠ করে;
অথচ মহিলদের জন্য নিম্ন আওয়াজে পড়া জরুরী।
৫। ইমাম ও খতীব পুরুষই হতে পারে। মহিলারা
হতেই পারে না।
৬। আযান শুধু পুরুষই দেয়; মহিলাকে মুয়াজ্জিন বানানো জায়েয
নয়।
৭। ইকামত শুধু পুরুষই দেয়; মহিলা নয়।
৮। পুরুষের জন্য জামাআত সুন্নতে মুয়াক্কাদা; অথচ
মহিলাকে মসজিদ ও জামাআতের পরিবর্তে ঘরের
ভেতরে নামায পড়ার হুকুম করা হয়েছে।
৮। সতরের মাসয়ালায় পুরুষ ও মহিলার মাঝে পার্থক্য রয়েছে।
৯। নামাযে সতর্ক করার মত কোন ঘটনা ঘটলে সতর্ক করার জন্য
কিংবা অবহিত করার জন্য পুরুষকে তাসবীহ পড়ার হুকুম
করা হয়েছে। অথচ মহিলাদের জন্য হুকুম হল ‘তাসফীক’ তথা হাত
দ্বারা শব্দ করে অবহিত করা।
১০। জুমার নামায শুধু পুরুষের উপর ফরয, মহিলার ‍উপর নয়।
১১। মারা যাওয়ার পরও পুরুষের তিন কাপড় আর নারীর পাঁচ
কাপড়।
১২। খলিফা শুধু পুরুষই হতে পারে। মহিলারা
হতেই পারে না।
এই পর্যন্ত এক ডজন মাসায়ালা উল্লেখ করলাম।
মানুষের জন্য নারী পুরুষের মাঝে শরয়ী দিক থেকে পার্থক্য
হতে পারে এ কথা বুঝার জন্য এটাই যথেষ্ট।
এখন দেখুন হাদীস ও আসারের আলোকে নারী পুরুষের
মাঝে নামাযের পার্থক্য।
সতর কেন্দ্রিক, অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব গোপনীয়তার
মাধ্যমে মহিলারা সালাত আদায় করবে।
আল্লাহ তা’লা বলেন
ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ
ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻞَّ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻬُﺈِﻥَﺎَﻣّ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ
ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ
“তোমরা গৃহাভন্তরে অবস্থান করবে-মুর্খতা যুগের অনুরূপ
নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।” (সুরা আল আহযাব-৩৩)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হুজুর ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
এরশাদ করেন “মহিলাদের নিজকক্ষে নামায
পড়া বাড়িতে নামায পড়ার তুলনায় উত্তম, আর নির্জন ও
অভ্যান্তরিন স্থানে নামায পড়া ঘরে নামায পড়া থেকে উত্তম।
‘‘ [হাদীসটি সহীহ, আবু দাউদ ১/৩৮৩- , মুসতাদরাকে হাকেম ১/৩২৮]
হযরত আয়েশা (রাঃ) রাসুল ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
থেকে বর্ণনা করেনঃ-
“ওরনা বা চাদর ব্যতিত মহিলাদের নামায কবুল হবেনা।” [আবু
দাউদ ১/৪২১ তিরমিজী ২/২১৫-মুসতাদরাকে হাকিম ১/৫১]
হাকেম আবু আব্দিল্লাহ নিসাপুরী (রঃ) স্বীয় কিতাব
মুসতাদরাক লিল হাকেমে (৯/২৫১) বলেন মুসলিম (রঃ) এর হাদীস
গ্রহন করার শর্ত অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ । হাকেম (রঃ) এর উক্ত
মতকে ইমাম যাহাবী (রঃ) সমর্থন করেছেন।
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস এ কথার উপর সুস্পষ্ট প্রমান বহন
করে মহিলাদের সব সময় পর্দার আড়ালেই থাকা প্রয়োজন । আর
নামায ইসলামের অন্যতম একটি বিধান সুতরাং তাহা অধিক
পর্দায় হবে ইহাই বিবেকের দাবী।
পুরুষেরা তাকবীরে তাহরীমার সময় কান পর্যন্ত হাত
উঠাতে আর মহিলা হাত উঠাবে বুক বরাবর।
‘‘হযরত ওয়াইল ইবনে হুজুর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
দরবারে হাজির হলাম, তখন তিনি আমাকে (অনেক কথার
সাথে একথাও) বললেন, হে ওয়াইল যখন তুমি নামায
শুরু করবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে। আর মহিলা হাত
উঠাবে বুক বরাবর।’’ আল মুজামুল কাবীর, তাবারানী 22/19,
এই হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণ যোগ্য।
নামাজ-এর রুকন বা পড়ার পদ্ধতিতে মহিলার পুরুষদের পার্থক্য
চার ধরনের দলীলের আলোকে সংক্ষিপ্ত ভাবে পদ্ধতিগত এই
পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
১। হাদীস শরীফের আলোকে।
২। সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য ও কর্মের আলোকে।
৩। তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমত্যের আলোকে।
৪। চার ইমামের ঐক্যমত্যের আলোকে।
হাদীস শরীফের আলোকেঃ
নামাজী মহিলার
সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার
লক্ষে করণীয় কি ? রসুল ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
এপ্রসংগে বলেন: পুরুষদের জন্য
হলো তাসবীহ বলা আর মহিলাদের জন্য হাতে আওয়াজ করা।
(সহীহ বুখারী ১/৪০৩)
ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব (রঃ) বলেন, একবার রাসুল ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
নামাযরত দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন
তাদেরকে ( সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন যখন
সিজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে,
কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়।
(কিতাবুল মারাসিল-ইমাম আবু দাউদ – পৃঃ১১৭)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়েখ শুয়াইব আরনাউত (রঃ) হাদীসটির সুত্র
সম্পর্কে বলেন, বণর্না কারী প্রত্যেক রাবী সর্ব্বোচ্চ
গ্রহনযোগ্য রাবীদের অন্তর্ভুক্ত সুতরাং হাদীসটি “সহীহ”।
( তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭ )
উল্লেখ্যঃ- এই সব হাদীস মহিলা ও পুরুষদের নামায
আদায়ের পদ্ধতিগত পার্থক্য ও ভিন্নতাকে নির্দেশ করে । এমন
আরো অনেক হাদীস রয়েছে । পক্ষান্তরে এগুলোর সাথে বিরোধ
পুর্ন একটি হাদীস ও কোথাও পাওয়া যাবে না,
যাতে বলা রয়েছে যে, পুরুষ ও মহিলার নামাযের
পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই।
সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকেঃ-
হযরত নাফেয় (রহঃ) ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন
ওনাকে রাসুল ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
এর যামানায় মহিলাদের নামায
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন : “প্রথমত তারা চার
পা হয়ে বসত অত পর এক পক্ষ হয়ে বসার জন্য বলা হল।” আসারাট
সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহীহ।
(জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) খঃ ১/৪০০)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
ওনাকে মহিলাদের নামায
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন
“মহিলারা বৈঠকে আংগুল সমুহ মিলিয়ে ও সমবেত ভাবে বসবে।
(এই হাদীসের সমস্ত রাবী সিকাহ- সুতারাং হাদীস সহীহ)
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-খঃ১/২৪২)
তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমতের আলোকেঃ-
হযরত হাসান বসরী ও হযরত কাতাদা (রহঃ) বলেন, মহিলারা যখন
সিজদা করবে তখন তারা যথাসম্ভব জড়োসড়ো হয়ে থাকবে। অঙ্গঁ
প্রত্যঙ্গঁ ফাঁকা রেখে সিজদা দিবে না, যাতে কোমর উচু
হয়ে না থাকে। (সহীহ) (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক খঃ৩/১৩৭-
ইবনে আবী শাইবা ১/৪২)
কুফাবসীদের ইমামঃ- ইবরাহীম নাখয়ী (রহঃ) বলেন
মহিলারা বসা অবস্থায় এক পক্ষ হয়ে বসবে । (সহীহ)
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা খঃ১/৪৩)
মক্কা বাসীদের ইমাম আতা ইবনে আবী রাবাহ (রহঃ)
বর্ণনা করেন মহিলা যখন রুকুতে যাবে অত্যান্ত সংকোচিত
ভাবে যাবে এবং হাতদ্বয় পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে।
(সহীহ)
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৩/১৩৭)
খালেদ ইবনে লাজ্জাজ সিরিয়া বাসীদের ইমাম , তিনি বলেন
মহিলাদের আদেশ করা হত, তারা যেন নামাযে দুই পা ডান দিক
দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে। পুরুষদের মত না বসে ।
আবরনযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায়
মহিলাদেরকে এমনটি করতে হয়। (হাসান)
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০৫)
মোট কথা তাবেয়ী-যুগে যারা ইমাম
এবং ইসলামি বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনুসরনীয় তাদের
মতামত থেকে প্রমানিত হল যে, মহিলা ও পুরুষদের নামাযের
পদ্ধতি অভিন্ন মনে করা সম্পুর্ন ভুল । সাহাবী ও তাবেয়ীদের
মতামতের সাথে এই ধারনার কোনই মিল নেই।
চার ইমামের ফিক্বহের আলোকেঃ-
ফিক্বহে হানাফীঃ- ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর অন্যতম
শাগরেদ ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন আমাদের নিকট মহিলাদের
নামাযে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা এক
পাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত এক পা দাঁড়
করিয়ে রাখবে না। (কিতাবুল আসার ১/৬০৯)
(আরো দ্রষ্টব্যঃ- হিদায়াঃ ১/১০০-১১০-১১১-
ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫০৪- ফাতওয়ায়ে আলমগীরি-১/৭৩-)।
ফিক্বহে শাফেয়ীঃ ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন ’’ আল্লাহ পাক
মহিলাদের কে পুরো পুরি পর্দায় থাকার শিক্ষা দিয়েছেন ।
এবং রাসুল ( স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )
ওঅনুরুপ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আমার নিকট
পছন্দনীয় হল, সিজদা অবস্থায় মহিলারা এক অঙ্গেঁর সাথে অপর
অঙ্গঁকে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরুর
সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং সিজদা এমন
ভাবে করবে যাতে সতরের অধিক হেফাযত হয়।
(যাখীরা, ইমাম কারাফী ২/১৯৩)
ফিক্বহে হাম্বলীঃ- তাকবীরে মহিলাদের হাত উঠানোর
সম্পর্কে ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন হাত তুলনামুলক কম উঠাবে।
( আল মুগনী -২/১৩৯)
এপর্যন্ত হাদীস আসারে সাহাবা, আসারে তাবেয়ীন ও চার
ইমামের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট হল যে,
পুরুষ ও মহিলার নামাযের অভিন্ন পদ্ধতির
পক্ষে কথা বলা আল্লাহ তা’লার মনোনীত ধর্ম ইসলামের
মাঝে নিজেকে সংস্কার পন্থী রুপে আবিস্কার করার
অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝে আমল করার
তাওফীক দান করুন।আমিন।
তথ্যসূত্র:১। আবু দাউদ ১/৩৮৩- ,২। মুসতাদরাকে হাকেম ১/৩২৮
৩। তিরমিজী ২/২১৫
৪। বুখারী শরীফ ।
৫। তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭
৬। আওনুল বারী (১/৫২০)৭। জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) খঃ ১/৪০০
৮। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-খঃ১/২৪২
৯। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
১০। হিদায়াঃ ১/১০০-১১০-১১১-১১। ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫০৪-১২। ফাতওয়ায়ে আলমগীরি-১/৭৩
১৩। যাখীরা
১৪। ইমাম কারাফী ২/১৯৩
১৫। আল মুগনী -২/১৩৯
১৬। বজলুল মাজহুদ -৫/৮৯
১৭। সহীহ ইবনে খুজাইমা – ১/৩১৮

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment