নামাজে “সানা” পড়া।
নামাযের জন্য তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সানা পড়া সুন্নত। “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু…” সানা হিসেবে পড়া সুন্নাত নয়।
তবে যদি কেউ পড়ে, তাহলে তার নামায হয়ে যাবে, কোন সমস্যা নেই।
[সূত্রঃ জগৎ বিখ্যাত ফাতওয়া শামী, সালাত অধ্যায়]।
যে সানা পড়া সুন্নাত সেটি রাসূলصلى الله عليه و آله وسلمএর হাদীসে স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত।
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ « سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলে খোদা صلى الله عليه و آله وسلم যখন রাতে নামাযে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীরে তাহরীমার পরে পড়তেন- “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবারাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গায়রুকা”।
[সূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৭৭৫,৭৭৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/ ৮০৪; সুনানে বায়হাকী কুবরা, হা/ ২১৭৭; সুনানে তিরমিজী, হা/ ২৪২; সুনানে দারা কুতনী, হা/ ৫; সুনানে দারেমী, হা/ ১২৩৯; সুনানে নাসায়ী কুবরা, হা/ ১০৬৮৫; তাহাবী শরীফ, হা/ ১০৭৩; সহীহ ইবনে খুজাইমা, হা/ ৪৭০; কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হা/ ৮৩৮৭; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৭৩৫; মুসনাদে ইসহাক বিন রাহউয়া, হা/ ১০০০; মুসনাদে ইবনুল জি’দ, হা/ ১৮৩; মুসনাদুশ শামীন, হা/ ৫৬৯; মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল, হা/ ১১৬৭৫; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হা/ ২৪০৫; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হা/ ২৫৫৫; মুজামে ইবনে আসাকীর, হা/ ১৫১৮; শুয়াবুল ঈমান, হা/ ৬০৩; আল মুজামুল কাবীর, হা/ ১৫৫; আল মুজামুল আওসাত, হা/ ১০২৬]।
যেহেতু রাসূলে মাকবুল صلى الله عليه و آله وسلمথেকে ‘সানা’ স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত। তাই এছাড়া অন্য কিছু পড়া সুন্নাতের খেলাফ হবে।