হযরত হাছান বসরী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হযরত রাছুলে খোদা (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এরশাদ করেছেন- কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা’আলা কোন কোন বান্দাহদের কাছে এমন ভাবে ওজর পেশ করবেন যে ভাবে তোমরা দুনিয়ায় পরস্পরে ওজরখাহী করে থাক।
আল্লাহ্ তা’আলা এক গরীবকে বলবেন, আমি তোমাকে গরীব রেখেছিলাম, এজন্যে নয় যে, তুমি আমার নজরে ঘৃণিত ছিলে। বরং দুনিয়ার পরিবর্তে তোমাকে আখেরাতে উচ্চ মর্যাদা এবং এক বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা উদ্দেশ্য ছিল।
যাও, জাহান্নামীদের কাতারে অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে যারা তোমাকে দুনিয়ায় সাহার্য করেছিল, তাদের হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাও সুতরাং সে তখন অনেক লোককে কাতার থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবে।
এটাই সেই সম্মান, যা দুনিয়ার দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে গরীবকে দেয়া হবে।
এজন্যেই হুজুর পাক হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এরশাদ করেছেন-গরীবদেরকে খুব বেশী ভালবাস, (কেননা) তাদের কাছে অনেক বড় দৌলত আছে।
সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) আরজ করলেন, সে দৌলত কোনটি? ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- ! এরশাদ করলেন, কিয়ামতের দিন তাদেরকে বলা হবে, যিনি তোমাকে রুটির একটি টুকরা এবং এক ঢোক পানিও দিয়েছিল, তাকে তোমার সাথে জান্নাতে নিয়ে যাও।
সুত্র: তাম্বীহুল গাফেলীন