ইমাম বায়হাকী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন, একদা তিনি নবী করীম (ﷺ) এর নিকট দাঁত ব্যথার কথা বললেন। রসুলেপাক (ﷺ) তখন তাঁর যে গালের দাঁতে ব্যথা ছিলো, সেখানে হাত রেখে সাতবার এই দোয়া পাঠ করেছিলেন।
وَﻓَﺤْﺸَﮫ ﺑِﺪَﻋْﻮَةِ ﻧَﺒِﯿﱢﻚَ اﻟْﻤَﻜِﯿْﻦِ اﻟْﻤُﺒَﺎرَكَ
اَﻟﻠﱠﮭُﻢﱠ اَذْھَﺐْ ﻋَﻨْﮫُ ﻣَﺎﯾَﺠِﺪُ
ﻋِﻨْﺪَكَ –
দোয়া পড়ার পর হাত উঠানোর পূর্বেই আল্লাহ্তায়ালা তাঁর ব্যথা ভালো করে দিলেন। হুমায়দী বললেন, একদা সাইয়্যেদা ফাতেমা (رضي الله عنه) রসুলেপাক (ﷺ) এর নিকট দাঁত ব্যথার অভিযোগ নিয়ে এলেন। রসুলেপাক (ﷺ) ডান হাতের শাহাদত আঙুল তাঁর ওই দাঁতের উপর রাখলেন, যার মধ্যে ব্যথা হয়েছিলো। তারপর এই দোয়া পাঠ করলেন,
ﺑِﺴْﻢِ اﷲِ وَﺑِﺎﷲِ اَﺳْﺌَﻠُﻚَ ﺑِﻌِﺰﱢكَ وَﺟَﻠَﺎﻟِﻚَ وَﻗُﺪْرَﺗِﻚَ ﻋَﻠﻲ ﻛُﻞﱢ ﺷَﺊٍْ
ﻓَﺎِنﱠ ﻣَ ْﺮﯾَﻢَ ﻟَﻢْ ﺗَﻠِﺪْ ﻏَﯿْﺮَ ﻋِﯿْﺴﻲ ﻣِﻦْ رﱡوْﺣِﻚَ وَﻛَﻠِﻤَﺘِﻚَ َانْ ﺗَﻜﺸِﻒَ
ﻣَﺎ ﺗَﻠْﻔِﻲْ ﻓَﺎﻃِﻤَﺔَ ﺑِﻨْﺖِ ﺧَﺪِﯾْﺠَﺔَ ﻣِﻦَ اﻟﻀﱠﺮﱢ ﻣَﻜﱠﺔَ-
এই দোয়া পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে হজরত ফাতেমা (رضي الله عنه) দাঁত ব্যথা থেকে আরাম পেলেন।
মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া থেকে এক বিস্ময়কর আমল সম্পর্কে জানা যায়। মুহিব্বেতিবরী ইমাম খলীল মক্কী (رحمة الله) কে এই আমলটি বিভিন্ন সময়ে করতে দেখা গেছে। কারও দাঁতে ব্যথা হলে তিনি তার মাথার উপর হাত রেখে জিজ্ঞেস করতেন, কয় বৎসরের জন্য দাঁত ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাও। রোগী পাঁচ সাত বা নয় বৎসর যাই বলতো, দেখা যেতো, হাত উঠাতে না উঠাতেই ব্যথা ভালো হয়ে গেছে এবং উক্ত সময়সীমা পর্যন্ত তার আর দাঁত ব্যথা হতো না।
তিনি এই আমলের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো দোয়া পাঠ করতেন না। তবে হতে পারে মনে মনে হয়তো কোনো দোয়া মাছুরা পড়তেন অথবা নিজের কোনো খাস তাওয়াজ্জুহ দ্বারা তাকে সুস্থ করে তুলতেন। আল্লাহ্পাকই ভালো জানেন।
মাওয়ায়েহেবে লাদুন্নিয়ার লেখক বলেন, দাঁত ব্যথার ক্ষেত্রে যে আমলটি অত্যন্ত পরীক্ষিত, তা হচ্ছে ব্যথাযুক্ত গালে হাতের আঙ্গুল দ্বারা লিখে দিতে হবে।
اَﻧْﺸَﺄَﻛُﻢْ وَﺟَﻌَﻞَ ﻟَﻜُﻢُ
ھُﻮَ اﻟﱠﺬِيْ ﻗُﻞْ
ﺑِﺴْﻢِ اﷲِ اﻟﺮﱠﺣْﻤَﺎنِ اﻟﺮﱠﺣِﯿْﻢِ –
اﻟﺴﱠﻤْﻊَ وَاﻟْﺎَﺑْﺼَﺎرَ وَاﻟْﺎَﻓْﺌِﺪَةَ ﻗَﻠِﯿْﻠًﺎ ﻣﱠﺎ ﺗَﺸْﻜُﺮُوْنَ –
এ দোয়াটিও লেখা যেতে পারে
وَﻟَﮫُ ﻣَﺎ ﺳَﻜَﻦَ ﻓِﻲ اﻟﻠﱠﯿْﻞِ وَاﻟﻨﱠﮭَﺎرِ وَھُﻮَ اﻟﺴﱠﻤِﯿْﻊٌ اﻟْﻌَﻠِﯿْﻢٌ –
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]