দস্তবুসি_কদমবুসি_কিংবা_পা_ছুঁয়ে_সম্মান_প্রদর্শন

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

প্রিয় নবী ﷺ বলেনঃ নিশ্চয়ই শুভ্রকেশী (বয়স্ক) মুসলিম, কুরআনের ধারক-বাহক (হাফিয ও আলিম)- যারা কুরআনের ব্যাপারে অতিরঞ্জনকারী নন ও অবজ্ঞাকারী (বিকৃতি-সাধনকারী) নন এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহ’র প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।

[ইমাম বুখারীঃ আল আদাবুল মুফরাদ (অনন্য শিষ্টাচার) ৩৫৯, আবূ দাউদ ৪৮৪৩, মিশকাত ৪৯৭২]

রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না, সৎকাজের নির্দেশ দেয় না এবং অসৎ কাজে বাধা দেয় না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (আমাদের নিয়ম-নীতি ও শিষ্টাচারের অনুসারী নয়)। (সূনান আত তিরমিজী ১৯২১)

শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহঃ বলেন: “পরহেজগার আলেম এর কদমবুসি জায়েয এবং কেউ কেউ বলেন তা মুস্তাহাব। যদি আলেম ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ’র ইলম, ইনসাফ ও দ্বীনের সম্মানার্থে তাদের হাতে চুমু দেয়া হয়, তাতে কোন দোষ নেই। তবে দুনিয়াবী স্বার্থ সিদ্ধীর উদ্দেশ্যে চুম্বন করা মাকরূহ। হাদীস শরীফে সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক রসূলে পাক ﷺ কে কদমবুসি করার বর্ণনা এসেছে।” [আশিয়াতুল লুময়াত: ৪/৩৩ পৃষ্ঠা, মুযাহিরুল হক্ব: ৪/৬০ পৃষ্ঠা]

মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ বলেন: ইমাম নববী রহঃ বলেন: “হাত চুম্বন যদি ব্যক্তির জ্ঞানগত মার্যাদা, খোদা ভীরুতা ও ধামির্কতা ইত্যাদি কারণে হয় তাহলে মাকরুহ তো হবে না; বরং মুস্তাহাব বা উত্তম আমল হিসেবে বিবেচিত হবে। চুমু দেয়া মাকরুহ হবেনা যখন তা কোন পরহেজগারিতা, ইলম বা জ্ঞান ও বয়োজ্যেষ্ঠের কারণে হবে। [মিরকাতুল মাফাতিহ: ৯ম খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা]

শায়খুল ইসলাম ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ বলেন, “হাদিস শরীফ দ্বারা হাতবুসি ও কদমবুসির বৈধতা ও অনুমোদন প্রমাণিত। তবে ইমাম মালেক ও ইমাম আবহারী এগুলিকে মাকরুহ বলেছেন যদি বড়ত্ব-অহমিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হয়। কিন্তু যদি আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্যবান বান্দা বা জ্ঞানগত সম্মান ও মর্যাদার কারণে হয় তাহলে উহা নিঃসন্দেহে জায়েয।”

[ফতহুল বারী শরহে বুখারী: ১১তম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা]

ইমাম বুখারী রহঃ তাঁর “আল আদাবুল মুফরাদ (অনন্য শিষ্টাচার)” এ “কদমবুসি” এবং “দস্তবুসি”র আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন। তাতে রয়েছে,

হযরত ওয়াযি’ ইবনে আমের রঃ বলেন, আমি একদা রসূল ﷺ এঁর দরবারে গিয়ে হাযির হলাম, আমাকে বলা হল ইনিই হলেন আল্লাহ’র রসূল ﷺ। আমরা তখন তাঁর হাত ও পা যুগল ধরে চুমু খেলাম। (আল আদাবুল মুফরাদ, অনুচ্ছেদ ৪৪৬: কদমবুসি বা পদচুম্বন, হাদিস নং ৯৮৭)

হযরত যাকওয়ান রঃ হযরত ছুহাইব রঃ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রঃ কে (তাঁর চাচা) হযরত আব্বাস রঃ এঁর হাত ও পা যুগল চুম্বন করতে দেখেছি। (আল আদাবুল মুফরাদঃ ৯৮৮)

শুধু ইমাম বুখারী রহঃ এঁর আল আদাবুল মুফরাদ নয়, সিহাহ সিত্তার কিতাবেই দস্তবুসি এবং কদমবুসির কথা এসেছে।

হযরত যারি (রঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি আবদুল কায়স গোত্রের অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন, তিনি বলেনঃ যখন আমরা মদীনায় আসি, তখন আমরা আমাদের উট থেকে দ্রুত নেমে রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর হাত ও পা মুবারকে চুম্বন করি। (মিশকাত ৪৬৮৮, সূনান আবূ দাউদ ৫২২৫, ইফাঃ ৫১৩৫, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩৯৭১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৬৬)

সূনান আবূ দাউদ শরীফে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় আরো রয়েছে, “অন্যদিকে মুনযির আশাজ রঃ কিছুটা বিলম্ব করেন। কেননা, তিনি তার (কাপড়ের) গাট্‌রী থেকে কাপড় বের করে, তা পরিধান করে নবী করীম ﷺ এঁর কাছে আসেন। নবী ﷺ তাকে বললেনঃ তোমার মধ্যে দু’টি উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেনঃ ধৈর্য্য ও ধীর স্থিরতা (শান্ত ভাব)। তিনি বললেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ ﷺ! আমি কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি না আল্লাহ আমাকে এ দু’টি অভ্যাসের উপর সৃষ্টি করেছেন? রসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ আল্লাহ’ই তোমাকে এ দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বললেনঃ কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সেই আল্লাহ’র যিনি আমাকে এমন দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।” (সূনান আবূ দাউদ ৫২২৫)

মিশকাতের এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আহলে হাদিসদের এপ ও ওয়েবসাইটে রয়েছে,

“হাফিয আবূ বকর ইস্পাহানী মাকরী (রহিমাহুল্লাহ) হাতে চুম্বন করা জায়িযের ব্যাপারে একটি খন্ড রচনা করেন। সেখানে তিনি ইবনু ‘উমার, ইবনু ‘আব্বাস, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, বুরয়দাহ্ ইবনু হাসিব, সফওয়ান ইবনু ‘আসসাল, বুরয়দাহ্ আল ‘আবদী, যারি‘ ইবনু ‘আমির ‘আবদী প্রমুখদের হাদীস উল্লে­খ করেন। তিনি সেখানে আরো সাহাবী ও তাবি‘ঈদের সহীহ আসার তুলে ধরেছেন।

কেউ কেউ বলেন, মালিক (রহিমাহুল্লাহ) উপরোক্ত মতকে এবং এ বিষয়ের হাদীস মানেননি। তবে অন্যরা এটাকে জায়িয বলেছেন।

আবহুরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মূলত ইমাম মালিক এটাকে অপছন্দ করেছেন যখন চুম্বন অহংকারবশতঃ ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য হয়। অতএব যখন তা গোপনাঙ্গ ব্যতীত কারো হাত, মুখমণ্ডলে বা শরীরের অন্য কোন অঙ্গ চুম্বন করা, তার ‘ইলম, দীন, মর্যাদার কারণে আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের জন্য হয়ে থাকে তখন জায়িয। আল্লাহর রসূলের হাতে চুম্বন করা আল্লাহ’র নৈকট্য হাসিলের সহায়ক। আর যা কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে অথবা কোন নেতার উদ্দেশে বা অনুরূপ কোন অহংকারবশতঃ হয়ে থাকে তবে তা নাজায়িয। (আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২১৪)”

এছাড়াও সিহাহ সিত্তায় আরো রয়েছে,

আম্মাজান আয়েশা (রঃ) বলেনঃ আমি ফাতেমা (রঃ)-এঁর চাইতে আর কাউকে কথা-বার্তায় ও চাল-চলনে রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাথে অধিক মিল দেখিনি। যখন তিনি রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর কাছে যেতেন, তখন রসূলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে তার হাতে চুমু দিতেন এবং নিজ স্থানে বসাতেন। একইভাবে রসূলুল্লাহ ﷺ যখন ফাতেমা (রঃ) এঁর ঘরে তাশরীফ নিয়ে আসতেন তখন তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর হাত মুবারকে চুম্বন করে নিজের জায়গায় বসাতেন। (ইমাম বুখারীঃ আল আদাবুল মুফরাদ ৯৮৩, সূনান আবূ দাউদ ৫২১৭, আল মুসতাদরেক হাকিম ৪৭৫৩)

প্রিয় নবী ﷺ যখন হযরত জা‘ফর ইবনে আবূ ত্বালিব (রঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তখন তাঁর সাথে আলিঙ্গন করলেন এবং তাঁর দু’ চোখের মধ্যখানে (কপালে) চুম্বন করলেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ ৪৬৮৬, সূনান আবূ দাঊদ ৫২২০)

সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রঃ) বলেনঃ কোন এক সময় দুই ইহুদির একজন অপরজনকে বলল, চল আমরা এই নবীর কাছে গিয়ে তাঁকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বলিও না। কেননা সে যদি এটা শুনে ফেলে যে, তুমি (ইহুদিরাও) তাঁকে নবী বলছ, তার চার চোখ হয়ে যাবে। তারা উভয়ে তাঁর নিকটে এসে তাঁকে আল্লাহ’র নিম্নোক্ত বাণী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেঃ “আমি মূসাকে নয়টি নিদর্শন দান করেছিলাম” (সূরা বনী ইসরাঈল ১০১)। (তখন) রসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ সেই নয়টি নিদর্শন (নির্দেশ) হচ্ছেঃ

(১) তোমরা আল্লাহ’র সাথে কোন কিছু অংশীদার করো না, (২) যেনা-ব্যভিচার করো না, (৩) যাকে হত্যা করা আল্লাহ তাআ’লা নিষিদ্ধ করেছেন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া তার জীবন সংহার করো না, (৪) চুরি করো না, (৫) যাদুটোনা করো না, (৬) কোন নিরপরাধ লোককে সরকারের কাছে অপরাধী বানিয়ে খুন করতে নিয়ে যেও না, (৭) সুদ খেও না, (৮) কোন সতী-সাধ্বী মহিলার বিরুদ্ধে যেনার মিথ্যা অপবাদ দিও না এবং (৯) যুদ্ধক্ষেত্র হতে পালিয়ে যেও না। হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! বিশেষ করে তোমরা শনিবারের বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করো না।

তারপর তারা দু’জন তাঁর (রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর) হাত ও পা মুবারক চুম্বন করে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিঃসন্দেহে আপনি নবী। তিনি ﷺ বললেনঃ তাহলে তোমাদের দু’জনকে ইসলাম গ্রহণে কিসে বাধা দিচ্ছে?/ তাহলে আমার অনুসরণ করতে তোমাদের বাধা কিসের? তারা উভয়ে বললঃ হযরত দাউদ আ’লাইহিস সালাম আল্লাহ’র নিকটে দু’আ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর বংশধরদের মধ্য হতেই নবী পাঠান। অনন্তর আমাদের আশংকা হচ্ছে, আমরা যদি ইসলাম কবুল করি তাহলে ইয়াহুদীরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে। (সূনান আত তিরমিজী ৩১৪৪, ২৭৩৩, সূনান ইবনে মাজাহ ৩৭০৫, ইমাম আবূ ঈসা তিরমিজি রহঃ হাসান সহিহ বলেছেন, কিন্তু ভন্ড আহলে হাদিসরা এই হাদিসগুলোকে যঈফ বানিয়ে দিয়েছে, কারণ এসব হাদিসে নবীজিকে সম্মান জানানো হয়েছে, এসব হাদিস তাদের ফতোয়ার বিপরীত)

আল্লাহ পাক বলেন,

“আর সম্মান তো আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং মু’মিনদের জন্যই, কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না।”

(সূরা মুনাফিকুনঃ ৮)

“মুনাফিকদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে,

তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।”

(সূরা নিসাঃ ১৩৮)

ফোকহায়ে কেরামের মত হচ্ছে, বুজুর্গানে দ্বীন ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে দস্তবুসি এবং কদমবুসি করা জায়েজ বরং মুস্তাহাব। উল্লেখ্য যে, কদমবুসি আর তাজিমী সিজদাকে এক করে ফেলার সুযোগ নেই। আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ব্রেলভী রহঃ তাজিমী সিজদা নিয়ে একটি বই লিখেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে, আমাদের শরীয়তে তাজিম বা সম্মানের নিয়তে কোন ব্যক্তি কিংবা মাজারকে সিজদা করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আর ইবাদতের নিয়তে অাল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা করলে কুফরী (তাজিম বা সম্মানের নিয়তে কোন ব্যক্তি বা মাজারকে সিজদা করলে সে গুনাহগার হবে, কাফের নয়; কিন্তু ইবাদতের নিয়তে করলে কাফের)।

ফিতনা এড়ানোর জন্য অনেকেই পায়ে চুমু খাওয়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র পা ছুঁয়ে সম্মান-শ্রদ্ধা জানায় (এবং মুখে সালাম দেয়)। হাদিসে পাকে সম্মানিত ব্যক্তিকে কদমবুসি করার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে কিন্তু আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা করতে নিষেধ রয়েছে। সুতরাং দুটিকে মিলিয়ে ফেলার কোন সুযোগ নেই এবং কু-যুক্তি দিয়ে কদমবুসিকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। কিছু জাহেল-মূর্খ, তথাকথিত ষায়েখদের অন্ধভক্ত নিম্নোক্ত হাদিসকে কপি-পেস্ট করে দস্তবুসি ও কদমবুসির বিপক্ষে দলিল বলে উপস্থাপন করতে চায়-

৩১. মুসাফাহার (করমর্দন) বর্ণনা

২৭২৮। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন একসময় জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কোন ব্যক্তি তার #ভাই_কিংবা_বন্ধুর সাথে দেখা করলে সে কি তার সামনে ঝুঁকে (নত) যাবে? তিনি বললেনঃ না। সে আবার প্রশ্ন করল, তাহলে কি সে গলাগলি করে তাকে চুমু খাবে? তিনি বললেনঃ না। সে এবার বলল, তাহলে সে তার হাত ধরে মুসাফাহা (করমর্দন) করবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭০২)। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি #হাসান। (সূনান আত তিরমিজী ২৭২৮)

ঐসব কপি-পেস্ট-ওয়ালাদের জন্য জবাব হবে-

আমরা কি বলছি যে- বন্ধু-বান্ধবী, ভাই-বোন সবাইরে ধরে ধরে দস্তবুসি ও কদমবুসি করতে…??? ফোকাহায়ে কেরাম স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন- সম্মানিত, বুজুর্গ, বয়স্কদেরকে দস্তবুসি ও কদমবুসি করা যাবে। তবুও কেউ যদি এই হাদিসকে সকলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চায় তাহলে আরো বলা যায় যে, উক্ত হাদিসের সনদ সহীহ নয় এবং এটা দস্তবুসি ও কদমবুসির পক্ষের এতগুলো হাসান ও সহীহ হাদিসের বিপক্ষে দলিল হিসেবে উপস্থাপনের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে সম্মান করার এবং ফিতনাবাজদের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুক। প্রিয় নবী ﷺ বলেনঃ

যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দেরকে সম্মান করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (আমাদের নিয়ম-নীতি ও শিষ্টাচারের অনুসারী নয়)। (ইমাম বুখারীঃ আল আদাবুল মুফরাদ ৩৫৫-৩৫৮, সূনান আবূ দাউদ ৪৯৪৩)

আল্লাহ সুবহা’নাহু ওয়াতাআ’লা বলেন,

“যদি তারা তোমাদের সাথে বের হত, তবে তোমাদের মধ্যে ফ্যাসাদই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করত, তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে।” (সূরা তাওবাহঃ ৪৭)

“আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী।” (সূরা বাকারাহঃ ১১)

“এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুনঃ ১)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment