১. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি (রোজা অবস্থায়) মিথ্যা কথা ও মন্দকর্ম পরিহার করেনা, আল্লাহ তা’আলার নিকট তার পানাহার পরিহার (রোজার) করার কোন গুরুত্ব নেই।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯০০।
২. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি রমযান মাসে শরীয়তের অনুমতি ছাড়া এবং রোগের কারণ ছাড়া একদিন রোজা রাখেনা, সে যদিও গোটা জীবন রোজা রাখে, তবু সে সেটার ক্বাযা করলো না (রমজানের রোজার বরাবর হবে না)।
সূত্র- আহমদ, তিরমিযী, আকূ দাউদ, ইবনে মাযাহ, দারেমী। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৯১৪।
৩. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রমযানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি রমযানে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রাতগুলোতে ইবাদত (তারাবীহ, তাহাজ্জুদ) করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৬০।
৪. হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- মানুষের সমস্ত নেক কাজের সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। মহান রব ইরশাদ ফরমাচ্ছেন- রোজা ব্যতীত ; কারণ রোজা তো আমার জন্য এবং আমিই সেটার সাওয়াব দেবো। সে আমার জন্য তার কুপ্রবৃত্তি ও নিজের আহার ত্যাগ করে। রোজাদারের জন্য দু’টি খুশী- একটি খুশী ইফতারের সময়, আর দ্বিতীয়টি আপন রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের চেয়েও উত্তম। আর রোজা হচ্ছে ঢাল এবং যখন তোমাদের মধ্যে কারো রোজার দিন হয়, তবে সে না মন্দকথা বলবে, না শোর-চিৎকার করবে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা লড়াই করতে আসে, তবে তাকে বলে দেবে- আমি রোজাদার।
সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-১৮৬১।