হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আলাইহি) থেকে বর্ণিত, হুজুর পূরনুর [ﷺ] এর মহান বাণী, তিন ব্যাক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়না।
(১) রোজাদারের-(ইফতারের সময়)
(২) ন্যায় বিচারক বাদশার
(৩) মাজলুমের
এই তিন জনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা মেঘ থেকেও অনেক উচুঁ তুলে নেন এবং আসমানের দরজা তার জন্য খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন আমি আমার সম্মানের শফথ করছি। আমি অবশ্যই তোমার সাহায্য করবো, যদিও কিছু দেরিতে হয়।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, খন্ড-০২, পেজ-৩৪৯, হাদিস নং-১৭৫২)
রাসূলে পাকঁ ছাহেবে লাওলাক~[সাল্লাল্লাহু তায়ালা ওয়ালা আলিকা ওয়াছ হাবীকা ওয়াচ্ছাল্লাম]~বলেন, দোয়া হচ্ছে ইবাদতের মগজ।-(তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-৩৩৮২)
(রোজা ও দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাবার)
হযরত আবু সায়্যিদ খুদরী~{রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আলাইহী}~থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী ছরকারে কায়েনাত~[সাল্লাল্লাহু তায়ালা ওয়ালা আলিকা ওয়াছ হাবীকা ওয়াচ্ছাল্লাম]~ইরশাদ করেছেন। যে ব্যাক্তি রমজানের রোজা রেখেছে সেটার সীমা-রেখা চিনেছে এবং যা থেকে বিরত-বেচেঁ থাকা চাই, তা থেকে বিরত-বেচেঁ থেকেছে। তবে সে-(যেসব গুনাহ)-ইতিপূর্বে করেছে, সেগুলোর কাফফারা হয়ে গেলো।-(আল ইহসান বী’তারতীবে সহিহ ইবনে হিব্বান, খন্ড-০৫, পেজ-১৮৩, হাদিস নং-৩৪২৪)
হাদিস শরীফে রয়েছে দুই ফেরেস্তার নিকট, এর চেয়ে বেশি কঠিন কোন বস্তু নাই যে, তারা নিজ সাথী কে নামায পড়তে দেখে যে অবস্থায় তার দাঁতের ভিতর খাদ্যর অংশ থাকে।-(তাবরানী, মুযামুল কবির)
………..মাসয়ালা…….
অনেকে আছে, যারা রমজানের প্রথম কয়েকদিন তারাবীহ এর নামায পড়েছিলো! কিন্তু রমজানের মধ্যেবর্তি সময় আর তারাবীহ পড়েনা!! আবার অনেকে এমন আছে যে, যারা ০৬-১০-১৫ বা-২০ রমজান, তারাবীহ নামাযে কোরান খতম হওয়ার পর, আর তারাবীহ পড়েনা। মনে রাখবেন, সম্পূর্ণ রমজানে ২০-রাকাত তারাবীহ পড়া প্রত্যেক বিবেকবান-ও-বালেগ ইসলামি ভাই-ও-বোনদের জন্য, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। শরয়ি কোন উযর ব্যাথিত, এই নামায ছেড়ে দেয়া-কিংবা ২০-রাকাতের কম পড়া নাযায়েয-ও-গুনাহ।
প্রিয় নবী~[সাল্লাল্লাহু তায়ালা ওয়ালা আলিকা ওয়াছ হাবীকা ওয়াচ্ছাল্লাম]~ইরশাদ করেছেন। যদি বান্দাহগন জানতো যে-রমজান কি? তাহলে আমার উম্মত আশা করতো, আ’হা!! গোটা বছরই যদি রমজান হতো।-(সহিহ ইবনে খুযাইমা, খন্ড-০৩, পেজ-১৯০, হাদিস নং-১৮৮৬)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর হাবীব [ﷺ] ইরশাদ করেন,
যে ব্যাক্তি রমজানের এক দিনের রোজা শরিয়তের অনুমতি ও রোগাক্রান্ত হওয়া ছাড়া ভঙ্গ করেছে, তাহলে সমগ্র মহাকাল যাবত রোজা রাখলেও সেটার (কাযা) সম্পন্ন হবে’না। যদিও বা পরবর্তীতে (কাযা হিসেবে) রেখে নেয়।
(সহিহ্ বুখারী, খন্ড-০১, পেজ-৬৩৮, হাদিস নং-১৯৩৪)




Users Today : 247
Users Yesterday : 767
This Month : 14669
This Year : 186540
Total Users : 302403
Views Today : 16065
Total views : 3592808