৩৫ – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ صِفَةِ الْـجُلُوْسِ فِي التَّشَهُّدِ
১১৫ – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ أَضْجَعَ رِجْلَهُ الْيُسْرَىٰ، وَقَعَدَ عَلَيْهَا، وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَىٰ.
বাব নং ৫০. ৩৫. তাশাহহুদে বসার নিয়ম
১১৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আসিম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) নামাযের তাশাহহুদে যখন বসতেন, তখন বাম পা’ বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসতেন এবং ডান পা’ খাড়া রাখতেন।
ব্যাখ্যা: তাশাহহুদের সময় কীভাবে বসতে হবে এ নিয়ে ইমামগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) উভয় তাশাহহুদে বাম পা বিছিয়ে এর উপর বসা এবং ডান পা খাড়া করে রাখা সুন্নত বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) প্রথম তাশাহহুদে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মত এবং দ্বিতীয় তাশাহহুদে তাওয়াররুক তথা নিতম্বের উপর বসা সুন্নত বলেছেন। ইমাম মালিক (رضي الله عنه) উভয় তাশাহহুদে নিতম্বের উপর বসা সুন্নত বলেছেন। ইমাম আহমদ (رحمة الله) এক তাশাহহুদ বিশিষ্ট নামাযে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র সাথে এবং দু’তাশাহহুদ বিশিষ্ট নামাযে ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
ইমাম আবু হানিফা উপরোক্ত হাদিস সহ তিরমিযী শরীফে হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হাদিস দলীল হিসেবে পেশ করেন। ওয়ায়েল (رضي الله عنه) বলেছেন, আমি মদীনায় গমন করার পর নবী (ﷺ) কে নামায আদায় করতে দেখেছি। তিনি তাশাহহুদে বাম পা বিছিয়ে বসতেন এবং বাম হাত বাম রানের উপর রাখতেন, আর ডান পা খাড়া রাখতেন। ইমাম তিরমিযী এই হাদিসকে হাসান বলেছেন এবং অধিকাংশ ওলামায়ে কিরামের এই মত বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র সমর্থনে মুসলিম শরীফে আবুল হাওযার সূত্রে হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন,
كان يفترش رجله اليسرى وينصب رجله اليمنى
“রাসূল (ﷺ) বাম পা বিছিয়ে রাখতেন এবং ডান পা খাড়া রাখতেন।”
➥ ইমাম মুসলিম (رحمة الله), (২৬১ হিঃ), সহীহ মুসলিম, খন্ড ২, পৃষ্ঠাঃ ৫৪, হাদীস নং ১১৩৮, বৈরুত
এছাড়া আহমদ রিফা’ ইবনে রাফি থেকে হাদিস বর্ণনা করেন যে, নবী করিম (ﷺ) জনৈক আরাবীকে বললেন, যখন তুমি নামাযে তাশাহহুদে বসবে তখন বাম পা এর উপর বস। ইমাম নাসাঈ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন-من سنة الصلوة ان ينصب القدم اليمنى ويستقبل باصا بعها القبلة ويجلس على اليسرى“নামাযের সুন্নত হলো, ডান পা খাড়া রেখে এর অঙ্গুলী সমূহ কিবলার দিকে রাখা এবং বাম পা’র উপর বসা।” যে সব হাদিসে নিতম্বের উপর বসার কথা বলা হয়েছে, তা বৃদ্ধাবস্থার সাথে সংযুক্ত হবে।
১১৬ – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، أَنَّهُ سُئِلَ: كَيْفَ كُنَّ النِّسَاءُ يُصَلِّيْنَ عَلَىٰ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ ؟ كُنَّ يَتَرَبَّعْنَ، ثُمَّ أُمِرْنَ أَنْ يَحْتَفِزْنَ.
১১৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা নাফে থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো যে, রাসূল (ﷺ) ’র যুগে মহিলাগণ কীভাবে নামায আদায় করতেন? (অর্থাৎ তাশাহহুদের সময় কীভাবে বসতেন?) উত্তরে তিনি বলেছেন, প্রথমত চার উরুর উপর বসে নামায আদায় করতেন। পরে নিতম্বের উপর বসার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্যাখ্যা: এই হাদিসে মহিলাদের তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটা পর্দার খুবই উপযোগী।