সাইয়্যেদা হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, একদা এক রমণী রসুলেপাক (ﷺ) এর কাছে এসে নিবেদন করলো, আমার স্বামী নিরুদ্দেশ। আমি গর্ভবতী। আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি, আমার ঘরের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে, আর টেরা
চোখবিশিষ্ট একটি সন্তান প্রসব করেছি। রসুল করীম (ﷺ) স্বপ্নের তাবীর বলে দিলেন, তোমার স্বামী নিরাপদে ফিরে আসবে, আর তুমি সুস্থ সুন্দর ও সৎস্বভাবের একটি সন্তান প্রসব করবে।
মেয়েটি আরেকদিন এলো। তখন রসুলেপাক (ﷺ) ঘরে ছিলেন না। হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, আমি বুঝতে পারলাম, মহিলা কোনো স্বপ্নের ব্যাপারে জানতে এসেছে। সে আমার কাছে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বললো। আমি তার স্বপ্নের তাবীর করলাম, তোমার স্বপ্ন যদি সঠিক হয়, তাহলে তোমার স্বামী মারা যাবে এবং তুমি একটি কদাকার বাচ্চা জন্ম দিবে। একথা শুনে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করে দিলো।
এমন সময় রসুলেপাক (ﷺ) এলেন এবং আমাকে বললেন, আয়েশা এরকম করা ঠিক নয়, তুমি যখন কোনো মুসলমানের স্বপ্নের তাবীর বলবে, তখন তার ভালো দিকটি তুলে ধরবে। ভালো তাবীর করবে। তাবীর যেরকম দেয়া হয়, স্বপ্ন সেরকমই ফলে।
তাবীর সম্পর্কে এও বলা আছে, কোনো তাবীরকারী যখন তাবীর করার ইচ্ছা করবে, তখন খাইরুল্লানাওয়া শাররুল্লিআ দায়িনা অর্থাৎ ভালো আমাদের জন্য, আর মন্দ আমাদের দুশমনদের জন্য- এ দোয়া পড়ে নিয়ে তাবীর করবে। রসুলেপাক (ﷺ) এরকমই করতেন।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]