জিজ্ঞাসা–৯৩৩: তাবলিগ জামাতের কিছু লোক বাড়াবাড়ি করে। তাদের বক্তৃতায় নবীজীর শানে গোস্তাখী ও শিরকী-বিদাতী, বানোয়াট কথাবার্তাও বলে বসেন। যেহেতু এ দলের অধিকাংশই পড়া-লেখা জানে না, তাই এদের সাথে যাওয়া যাবে কি?
জবাব: না যাওয়াই উত্তম। আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত কুরআন, সুন্নাহ ও সফলে সালেহীনগণ (আউলিয়ায়ে কেরাম) এর মতাদর্শ।
যেহেতু অনেক সময় তাবলিগ-জামায়াতের আমীররা আলেম হন না, তাই তাদে্র মুখ থেকে যেন-তেন কথা বের হয়ে পড়ে। অজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা ভুল হওয়া সম্ভব। লক্ষ্য করলে দেখবেন এদের অধিকাংশ অশিক্ষিত আবার অধিকাংশই আলেম নন। তারা হয়ত বুঝে না বুঝে তাব্লিগের কাজে পা দেন। ফলে তারা এটা বুঝতে পারেন না যে, আসলেই এই তাব্লিগ এর উৎপত্তি কোথায়?
তাব্লিগ মানে হল দ্বীনের দাওয়াত। যা হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে চালু ছিল। সেই দাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিধর্মীদের নিকট ইসলামের বাণি পৌঁছে দেয়া।
জেনে রাখা ভাল, বর্তমান তাব্লিগ জামাত এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস। তাই এ তাব্লিগকে ইলিয়াসী তাব্লিগ বলা হয়। কয়েক শত বছর আগে হয়ত এর আবির্ভাব হয়েছে। আর তাদের দাওয়াতের প্রধান টার্গেট হল মুসলমান হয়ে মুসলমানদের নিকট দ্বীন প্রচার।
তাতেও কোন সমস্যা ছিল না। সমস্যা বাঁধে যখন কোন আলেম ছাড়া যেকোন একজন সাধারণ মানুষের মাধ্যমে এই দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে তখন তারা ইমান ও আকাঈদ বিষয়ে কতটুকুই বা জানবে। আমার সাথে এ পর্যন্ত তাব্লিগ জামাতের বেশ বড় বড় দলের সাক্ষাত হয়েছে। যাদের মধ্যে আমির ছিল, ১৫-২০ জন সদস্যও ছিল। কিন্তু নানান প্রশ্ন ও কথার প্রসঙ্গ উঠলে তাদের অজ্ঞতা সামনে প্রকাশ পেয়ে যেত। আবার কেউ জ্ঞানী হলেও কি, অন্যান্যরা তাদের মত ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ ও আকিদা পোষণ করে।
এরূপ পরিস্থিতিতে তাদেরকে ভালোবাসা দিয়ে নরম কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে। যদি এতে কাজ না হয় তাহলে জামায়াতের বড়দের কাছে বিষয়টি পেশ করতে হবে এবং বড়দের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে হবে। (ফাতাওয়া উসমানি ১/২৪৬)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ
মাসুম বিল্লাহ সানি





Users Today : 201
Users Yesterday : 767
This Month : 14623
This Year : 186494
Total Users : 302357
Views Today : 4508
Total views : 3581251