জেহাদ অপেক্ষা অগ্রগণ্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

“মা-বাবার (কথার) জন্যে ‘উফ’ শব্দটিও বলোনা এবং তাদের ধমক দিওনা”- বনী ইসরাইল-

তিনটি কাজ ব্যতীত তিনটি আমল মকবুল নয়
কতিপয় হাযারাত বলেন যে, কুরআনে কারীমে তিনটি আয়াত এমন আছে যে একটি ছাড়া অন্যটির উপর আমল করা গ্রহণ যোগ্য নয়।
১। اَقِيْمُوا الصَّلَواةَ  “নামাজ পড়”
২। وَاَتُوا الزَّكَواةَ “এবং যাকাত দাও”
যাকাত ব্যতীত নামাজ এবং নামাজ ব্যতীত যাকাত মকবুল নয়। (এটা মালদার ব্যক্তিদের জন্যে, যাদের উপর যাকাত ফরজ) অর্থাৎ একটি ব্যতীত অপরটির ছওয়াব ও বরকত থেকে মাহরুম (বঞ্চিত) থাকবে।
২। اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ
“তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার আনুগত্য কর এবং রাসূলের অনুগত হও”।
আল্লাহ্ ব্যতীত রাছূলের অনুগত্য এবং রাছুল ব্যতীত আল্লাহ্’র আনুগত্য মুল্যহীন, গ্রহণ যোগ্য নয়।
৩। اَنِ اشْكُرْ لِىْ وَلِوَ الِدَيْكَ
“আমার এবং তোমার মাতা-পিতার কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর”।
সুতরাং আল্লাহ্ ব্যতীত মাতা-পিতার এবং মাতা-পিতা ব্যতীত আল্লাহ্ তা’আলার কৃতজ্ঞতা গ্রহণ যোগ্য নয়।

فَمَنْ اَرْضَى وَالِدَيْهِ فَقَدْاَرْضَى خَالِقُه‘ فَمَنْ اَسْخَطَ وَالِدَيْهِ فَقَدْ اَسْخَطَ خَالِقُه‘

অতএব যে ব্যক্তি স্বীয় মাতা-পিতাকে সন্তুষ্ট করেছে, সে বস্তুত তার খালেক আল্লাহ্ কে সন্তুষ্ট করেছে, আর যে নিজের পিতা-মাতাকে অসন্তষ্ট করেছে, সে বস্তুত নিজের খালেক কে অসন্তষ্ট করেছে।
হযরত ফারকাদ সানজী (রহঃ) বলেন যে, আমি কোন কিতাবে পড়েছি যে, সন্তানের জন্যে এটা উচিৎ নয় যে, তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে মুখ খুলবে এবং তাদের আগে, বা ডানে-বামে চলবে, বরং তাদের পিছনে চলবে, আর যখন কোন কিছু জানতে চাইবে, তখন জবাব দেবে।

মাতা-পিতার অসন্তুষ্টি অপমৃত্যুর কারণ হয়
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)- বলেন যে, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এ যামানায় ‘আলক্বামা’ নামক এক যুবক ছিল। দ্বীনের জন্যে খুবই চেষ্টা প্রচেষ্টা চালাত, খুবই দানশীল ছিল। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার স্ত্রী এক মহিলার মাধ্যমে হযরত হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত সংবাদটি পৌঁছাল।

হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবস্থা জানার জন্যে হযরত আলী (রাঃ) হযরত বেলাল (রাঃ) হযরত ছালমান ফারসী (রাঃ) ও হযরত আম্মার (রাঃ) কে পাঠালেন। তারা গিয়ে দেখেন যে, তার জান-কান্দনী অবস্থা। তারা তাকে কলেমায়ে তওহীদের তালক্বীন দিলেন, কিন্তু চেষ্টার পরে ও হযরত আলক্বামা (রাঃ) এর মুখ থেকে কলেমা বের হচ্ছিল না।

এই হতভম্ব অবস্থা জানানোর জন্যে হযরত বেলালে হাবশী (রাঃ) কে হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর খেদমতে পাঠানো হলো।

তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – ফরমালেন, তার মাতা-পিতা কি জীবিত আছে? আরজ কররেন, শুধু তার মাতা জীবিত আছেন, যিনি নিতান্তই বৃদ্ধা। হুজর আকরাম হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত বেলাল (রাঃ) কে বৃদ্ধার কাছে পাঠালেন যে, গিয়ে বল, যদি সে আমার কাছে আসতে পারে, তাহলে যেন এসে যায় নতুবা আমি নিজেই আসবো।
হযরত বেলাল (রাঃ) গিয়ে তাই বললেন, বৃদ্ধা বলতে লাগলেন, আমার প্রাণ তাঁর (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – জন্যে কুরবান হোক, আমিই খেদমতে আকদাছে হাজির হচ্ছি। -এই বলে সে লাঠিতে ভর দিতে দিতে খেদমতে আকদাছে এসে পৌছে গেল আর ছালাম দিয়ে বসে গেল। হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালামের জবাব দিয়ে ফরমালেন, আমি যা জানতে চাইবো, সত্য সত্য বলবে, যদি মিথ্যা বলো, তাহলে আমাকে ওহী’র মাধ্যমে জানা হয়ে যাবে।
বল, আলক্বামার কি অবস্থা? বলতে লাগলেন, খুবই বেশী নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, দান-খয়রাতের তো কোন হিসেবই নেই।
ফরমালেন, তোমার ও তার মধ্যে সম্পর্ক কিরূপ? বললেন, আমি তার প্রতি অসন্তুষ্ট! কেন? এজন্যে যে, সে তার স্ত্রীকে প্রাধান্য দেয়, আমার চেয়ে তার কথা বেশী শুনে ও মানে। তিনি (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, মা’র অসন্তুষ্টির কারনে তাঁর কলেমা পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – বেলাল (রাঃ) কে ফরমালেন, বেলাল! লাকড়ী জমা করে আন, আমি আলক্বামাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেবো, বৃদ্ধা ঘাবড়িয়ে গিয়ে বলতে লাগল, হে আল্লাহর রাছুল (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি কি আমার ছেলে, আমার কলিজার টুকরোকে আমার সামনে জ্বালিয়ে দেবেন? আমি এটা কিভাবে বরদাশত করবো?
ফরমালেন, আল্লাহ্’র আজাব তো এত্থেকেও অনেক কঠিন ও স্থায়ী। যদি তুমি চাও যে, আল্লাহ্ তোমার ছেলেকে মাফ করে দেন, তাহলে তুমি তার প্রতি রাজী হয়ে যাও। আল্লাহ্’র কসম! তোমার সন্তুষ্টি ব্যতীরেকে তার নামাজ, রোজা ইত্যাদি কোনই কাজে আসবেনা, বৃদ্ধা তৎক্ষনাৎ হাত উঠিয়ে বলতে লাগল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে, আল্লাহকে এবং সমস্ত হাজেরীনকে স্বাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি আলক্বামার প্রতি রাজী হয়ে গেলাম।
হুজুর আকরাম (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  ফরমালেন, বেলাল! গিয়ে দেখ! আলক্বামা’র জবানে কলেমা জারী হয়েছে কিনা? হতে পারে সে (বৃদ্ধা) আমার সামনে আমার রেয়ায়েতে সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছে কিন্তু মনে-প্রাণে রাজী হয়নি। হযরত বেলাল (রাঃ) দরজায় পৌছতেই শুনতে পেলেন যে, আলক্বামার আওয়াজ ভেসে আসছে যে তিনি জোরে জোরে পড়তেছেন –
لَااِلَهَ اِلَّا اللهُ  ভিতরে প্রবেশ করে তিনি লোকদের বললেন, তার মা’র অসন্তুষ্টিই তার জবান বন্ধ করে দিয়েছিল।
সে দিনেই হযরত আলক্বামা (রাঃ) এর ইন্তেকাল হয়ে গেল।
হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাযাহ’র নামাজ পড়ালেন এবং করবস্থানে গেলেন। সেখানে অত্যান্ত দরদ ভরা বয়ান রাখলেন।
হে মুহাজের ও আনসারের জামাত! শুন! যে ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীকে মার উপর প্রাধান্য ও মর্যাদা দেবে। তার উপর আল্লাহ্’র লানত হবে, তাঁর ফরজ ও নাফল এবাদত কোনটাই কবুল হবেনা।
সন্তানের উপর পিতা-মাতার দশটি হক্ব
১। যদি তাদের খাবার না থাকে, তাহলে খাবারের ব্যবস্থা করবে।
২। অনুরূপ যদি কাপড় না থাকে, তাহলে কাপড় বানিয়ে দেবে।
৩। যদি খেদতের প্রয়োজন হয়, তাহলে খেদমত করবে।
৪। যদি ডাকে, তাহলে সাথে সাথে জবাব দেবে এবং হাজির হবে।
৫। তাদের সাথে বিনয়ী হয়ে কথা বলবে, শক্ত কথা মোটেই বলবে না।
৬। তাদের নাম নিয়ে ডাকবে না, এটা বেআদবী, গোস্তাখী।
৭। তাদের পিছনে চলবে, সামনে বা ডানে-বামে হাঁটবে না।
৮। যা নিজের জন্যে পছন্দ করবে, তা তাদের জন্যেও পছন্দ করবে, এবং যা নিজের জন্যে খারাপ জানবে, তা তাদের জন্যেও খারাপ জানবে।
৯। তাদের জন্যে দোয়া করবে। পিতা-মাতার জন্যে দোয়া না করলে যিন্দেগী সংকীর্ণ হয়ে যায়।
১০। যদি তারা কোন হুকুম দেয়, তাহলে সাথে সাথে কার্যকর করবে, তবে কোন গুনাহর কাজে হুকুম করলে আমল করবে না।
মরণের পরে পিতা-মাতাকে রাজী করার পদ্ধতি
পিতা-মাতার ইনেন্তকাল হয়ে গেলে তাদেরকে নিতটি উপায়ে রাজী করা যায়-
১। সন্তান নিজে নেককার হয়ে যাবে, কারণ ত্রক্ষেত্রে সন্তান ভাল হয়ে যাওযার থেকে অধিক খুশীর বিষয় পিতা-মাতার জন্যে আর কিছুই নেই।
২। পিতা-মাতার আত্নীয় স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সদাচরণ ও সুসম্পর্ক রাখবে।
৩। তাদের জন্যে দোয়া, এস্তেগফার ও দান-খয়রাত করতে থাকবে।
পিতা-মাতার উপর সন্তানের তিনটি হক্ব
হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এরশাদ করেছেন:- পিতা-মাতার উপর সন্তানের তিনটি হক্ব আছে _
১। জন্মের পর তার সুন্দর নামা রাখবে, (যা সুন্দর অর্থবহ হয়।)
২। যখন বুঝবান হবে, তখন কুরআন শরীফ শিখাবে।
৩। বালেগ হয়ে গেলে বিবাহ করিয়ে দেবে।
সন্তানকে আদব না শেখানোর পরিণাম
হযরত আবু হাফস সেকান্দারী (রাহঃ) এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমার ছেলে আমাকে মেরেছে। তিনি বললেন, ছোবহানাল্লাহ্! ছেলে বাপকে মারে? সত্যি মেরেছে? অতঃপর বললেন, ছেলেকে আদব শিখিয়েছিলে কি? জী না! আচ্ছা, তাহলে কুরআন শরীফ পড়িয়েছ কি? জী না! বললেন কুরআনও পড়াও নি, তাহলে সে কী কাজ করে? জী, সে কৃষি কাজ করে। তখন হযরত বললেন, তুমি বুঝতে পারছ যে সে কি জন্যে তোমাকে মেরেছে? না, আমি তো বুঝতে পারিনি।
বললেন, আমার খেয়ালে, সে হয়ত সকাল, সকাল গাধায় সওয়ার হয়ে ক্ষেতের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সামনে হয়ত বলদ পিছনে হয়ত কুত্তা, তুমি যেহেতু তাকে কুরআন পড়াও নি যে, সে চলতে চলতে কুরআন পড়বে। তাই এখন সে হয়ত চলতে চলতে গান গেয়ে চলছে, আর তুমি হয়ত বাঁধা দিয়েছ। এতে সে হয়তঃ তোমাকে বলদ মনে করে মেরে দিয়েছে। আল্লাহ শুকরীয়া আদায় কর যে, সে তোমার মাথা ভেঙ্গে দেয় নি।
যেমন করবে, তেমন ভোগবে
হযরত ছাবেত আল-বান্নানী (রহঃ) বলন যে, কোন ব্যক্তি সংবাদ দিল যে, এক স্থানে এক ব্যক্তি তার বাপকে মারতেছে। তখন এক ব্যক্তি গিয়ে বলল, এটা কি করছ?
বাপ বলল, আপনি এত দখল দেবেন না এবং কিছু বলবেন না! কেননা আমিও এখানে আমার বাপকে মেরেছিলাম। এটা আমাকে ওটার শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে। ছেলের কোন ত্রুটি নেই, তাকে কেউ তিরস্কার করোনা।
পরিপূর্ণ মানবতা
হযরত ফুজাইল ইবনে আয়াজ (রাহঃ) বলেন যে, পরিপূর্ণ মানবতার ব্যক্তিত্ব সেই, যে-
১। পিতা-মাতার আনুগত্য করে।
২। আত্নীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখে।
৩। স্বীয় বন্ধুদের সম্মান করে।
৪। পরিবার-পরিজন, খাদেম ও কর্মচারীদের সাথে সদাচরণ করে।
৫। নিজের দ্বীন রক্ষা করে।
৬। নিজের মাল ঠিকঠাক রাখে এবং প্রয়োজন মত খরচ করে।
৭। জবানকে নিয়ন্ত্রন করে।
৮। অধিকাংশ সময় ঘরে অতিবাহিত করে, বেহুদা কথার বৈঠকে সময় নষ্ট করে না।
নেককারের আলামত চারটি
হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন:- মানুষের নেক হওয়ার লক্ষণ চারটি।
১। তার বিবি নেক হবে।
২। সন্তানাদী ফরমাবরদার ও নেককার হবে।
৩। তার সাথী-সঙ্গীগণ নেককার হবে।
৪। তার রেযিক আপন এলাকা থেকেই হবে।
সাতটি জিনিসের প্রতিদান মরণের পরেও পাওয়া যায়
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রহঃ) বলেন মানুষ সাতটি জিনিসের প্রতিদান মরনের পরেও পেতে থাকবে।
১। কুপ ইত্যাদীর নির্মাণ (যতক্ষণ মানুষ এত্থেকে উপকৃত হতে থাকবে, সে প্রতিদান পেতেই থাকবে)।
২। মসজিদ নির্মাণ (যতক্ষণ এতে নামাজ হতে থাকবে, প্রতিদান সে পেতেই থাকবে)।
৩। কুরআন লেখা (যতক্ষণ তা পড়া হবে, ছওয়াব পেতে থাকবে কুরআন শরীফ খরীদ করে মসজিদে রেখে দিলেও ঐ একই ছওয়াব হবে)।
৪। নদী, প্রস্রবন খনন করা, বাগান তৈরী করা (যতক্ষণ এত্থেকে মানুষ বা জীব-জন্তু উপকৃত হতে থাকবে)।
৫। নেক সন্তান বা ছাত্র রেখে যাওয়া। পিতা এবং উস্তাদ সমান প্রতিদান পেতে থাকবে।
দু’টি হাদীছ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হযরত রাসূলে আকরাম ((সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এরশাদ করেছেন: ঐ ব্যক্তি নিকৃষ্ট অপমানিত, পর্যদস্ত ও ধ্বংস প্রাপ্ত, যার পিতা-মাতাকে বা যে কোন একজনকে বার্ধ্যক্য কালে পেয়েছে, কিন্তু সে (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে পবেশ করতে পারে নাই।- মুছলিম শরীফ।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাছউদ (রাঃ) বলেন যে হযরত নবী-করীম (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে জানতে চাইলাম যে, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচে প্রিয় আমল কোনটি? এরশাদ করলেন, সময় মত নামাজ পড়া, আমি বললাম তারপর কোনটি? এরশাদ করলেন, মাত-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, আমি বললাম তারপর কোনটি?
এরশাদ করলেন, আল্লাহর পথে জেহাদ করা। বুখারীও মুসলিম শরীফ

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment