ইমামে আহলে সুন্নাত,আযিমুল বারকাত,ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী (رحمة الله) বলেছেন,বর্ণিত আছে যে, জুমাবারের রোযার সাথে বৃহস্পতিবার অথবা শনিবারের রোযা মিলিয়ে রাখলে দশ হাজার বছরের রোযার সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে।
(ফতোয়ায়ে রযবীয়্যাহ শরীফ,নতুন সংস্করণ,খন্ড-১০,পৃঃ ৬৫৩)
প্রতি কদমে কদমে ১ বছর নফল নামাজ ও রোযার সাওয়াবঃ
আউস বিন আউস আস সাকাফী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)
জুমার দিন জাহান্নামীদের মুক্তি দানঃ
হুযুর পাক (ﷺ) ইরশাদ মুবারক করেছেন, “জুমার দিনের রাত-দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে এমন কোন ঘন্টা নেই,যার মধ্যে প্রতিনিয়ত ৬ লক্ষ দোযখবাসীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছেনা,যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে।”
(মুসনাদে আবু ইয়ালা,খন্ড-৩,পৃঃ- ২৩৫,হাদীস নং-৩৪৭১)
কবরের আযাব থেকে মুক্তঃ
তাজেদারে মদীনা (ﷺ) ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন কিংবা জুমার রাতে মৃত্যু বরণ করবে,সে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে এবং ক্বিয়ামত দিবসে সে এমনিভাবে উঠবে যে,তার উপর শহীদদের মোহর শোভা পাবে।
(হিলআতুল আউলিয়া,খন্ড-৩,পৃঃ-১৮১,হাদীস নং ৩৬৯)
জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়ঃ
রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, “যে ব্যক্তি জুমার নামায পড়ে,ঐ দিন রোযা রাখে,কোন অসুস্থ্য ব্যক্তির সেবা করে,কোন জানাযায় উপস্থিত হয়,কারো বিয়েতে অংশগ্রহন করে,তবে ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়|
(আল মুজামুল কাবীর,খন্ড-৮ম,পৃঃ-১৯৭,হাদীস নং ৭৪৭৪)
তিন হাজার মাগফিরাতঃ
রহমতে কাওনাইন,হুযুর পাক (ﷺ) ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার দিন স্বীয় পিতামাতা উভয়ের কিংবা একজনের কবর যিয়ারত করে তথায় সূরা ইয়াছিন পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আল্লাহ তাকে সূরা ইয়াছিন শরীফে যতটি অক্ষর আছে ততটি ক্ষমা প্রদর্শন করবেন।
(ইত্তেহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন,খন্ড-১০,পৃঃ-৩৬৩,বৈরুত থেকে প্রকাশিত)
কুরবানীর সওয়াবঃ
আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (ﷺ) বলেছেন,“যে ব্যাক্তি জু’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল,দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসেযায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)