৪০ – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ إِمَامَةِ وَلَدِ الزِّنَا وَالْعَبْدِ وَالْأَعْرَابِيِّ
১৩০ – حَمَّادٌ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، قَالَ: يَؤُمُّ الْقَوْمَ وَلَدُ الزِّنَا وَالْعَبْدُ وَالْأَعْرَابِيُّ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ.
বাব নং ৫৫.৪০. জারজ সন্তান, ক্রীতদাস ও গ্রাম্যলোকের ইমামতির বর্ণনা
১৩০. অনুবাদ: হাম্মাদ তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জারজ সন্তান, ক্রীতদাস এবং গ্রাম্যলোক যদি (শুদ্ধভাবে) কুরআন তিলাওয়াত করতে জানে তবে লোকদের ইমামতি করতে পারবে।
ব্যাখ্যা: এ হাদিসের দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত না জানলে জারজ সন্তান, ক্রীতাদাস ও গ্রাম্য লোকের ইমামত জায়েয নয়। ইমামতের জন্য বিশেষভাবে ইলম, ফযীলত, তাকওয়া ও বুযর্গী অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু এগুলো অধিকাংশই তাদের মধ্যে পাওয়া যায় না। তাই তাদের ইমামত মাকরূহ থেকে মুক্ত নয়। তবে তারা যদি শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করে তবে বংশগত দুর্বলতা দূরীভূত হয়ে যাবে। কেননা, পবিত্র কুরআনে আছে ولاتزر وازرة وزر اُخرى এর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকেই নিজের কৃত পাপের জন্য নিজেই দায়ী থাকবে। অন্যের পাপের বোঝা তার কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হবে না। মোটকথা যোগ্যতা থাকলে ওদের ইমামত জায়েয।