একটু সচেতন হলেই আল্লাহ চায়তো জাদু থেকে বাচা সম্ভব। কি কি করতে হবে?
১. ফরজ আমল করতে হবে। সালাত, পর্দা ইত্যাদি হল ফরজ আমল।
২. মাসনুন আমল করতে হবে। এটা পিরিয়ড হলেও মাফ নেই। সারাজীবন করবেন। দরকার হলে ঘুম থেকে উঠে করে আবার ঘুমাবেন। এই লিংকে বিস্তারিত – https://ruqyahbd.org/blog/387/
৩. গুনাহ থেকে যথাসম্ভব বেচে থাকবেন।
৪. ভন্ড কবিরাজ/হুজুর/রাক্বি থেকে দূরে থাকবেন। অনেক কেস আছে সুস্থ মানুষ কবিরাজের কাছে গিয়েছিল, তাকে জাদু করে অবর্ণনীয় হয়রানি করেছে।
৫. ব্যবহার করা জিনিস যেন চুরি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। কাজের লোকদের দিয়ে অনেকে চুরি করায়। চুল, নখ, হায়েজের কাপড় ইত্যাদি সতর্কতার সাথে ডাম্প (বা নষ্ট) করবেন।
৬. ব্যবহার করা জিনিস কাউকে না দেয়াই সাবধানতা। ব্যবহার করা জিনিস বলতে চুল, রুমাল, জামা, গহনা ইত্যাদি। দরকার হলে নতুন কিনে উপহার দিন। (পুরনো কাপড় চোপড় দান করার আগে ভাল ভাবে ধুয়ে শুকিয়ে দেয়াই সতর্কতা।)
৭. বাইরে কাপড় শুকাতে দিলে পাহারা দিয়ে রাখবেন যেন কেউ কেটে নিয়ে যেতে না পারে। প্রসঙ্গত মেয়েদের কাপড় বাইরে না মেলানোই নিরাপদ।
৮. মায়ের নাম বলবেন না। যথাসম্ভব এভয়েড করার চেষ্টা করবেন।
৯. খাবারে কাউকে সন্দেহজনক কিছু মিশাতে দেখলে ভুলেও সেটা খাবেন না। এতে যত অশান্তিই হোক না কেন।
১০. ঘরে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে সাথে সাথে নিয়ম অনুযায়ী নষ্ট করবেন। ঘরে কাউকে সন্দেহজনক কাজ করতে দেখলে ভাল করে খুজে দেখবেন কিছু রেখে গেল কিনা। জাদুর জিনিস বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়ম – https://ruqyahbd.org/blog/2168
১১. কাউকে আপনাদের উঠোনে/ঘরের প্রবেশদ্বারে/রাস্তা কোনো কিছু ছিটাতে দেখলে তাকে পর্যায়ক্রমে দাওয়াহ, সতর্কবার্তা, ধমকি দিবেন। ওই যায়গায় দোয়া-কালাম পড়া পানি ছিটাবেন।
১২. চলাচলের রাস্তায় বা দরজার কাছে কাউকে কিছু পুতে রাখতে দেখলেও একই কথা। সেখান থেকে খুঁজে বের করে নষ্ট করবেন, আর ওই লোককে সতর্ক করবেন।
সর্বপরি, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখবেন। একমাত্র আল্লাহই পারেন আপনাকে হেফাজত করতে।