*জওয়া‘হিরুল কুর’আন (পর্ব-১৫২)*

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

[ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আবূল ক্বা’সেম কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও টীকা-টিপ্পনীসহ]

*সূরাহ নমল হতে এগারোটি আয়াত (ومن سورة النَّمل إحدَى عَشْرَةَ آية):

আল্লাহতায়ালা ফরমান:

طسۤ تِلْكَ آيَاتُ ٱلْقُرْآنِ وَكِتَابٍ مُّبِينٍ، هُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ، ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ ٱلزَّكَاةَ وَهُم بِٱلآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ، إِنَّ ٱلَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِٱلآخِرَةِ زَيَّنَّا لَهُمْ أَعْمَالَهُمْ فَهُمْ يَعْمَهُونَ، أُوْلَـٰئِكَ ٱلَّذِينَ لَهُمْ سُوۤءُ ٱلْعَذَابِ وَهُمْ فِي ٱلآخِرَةِ هُمُ ٱلأَخْسَرُونَ، وَإِنَّكَ لَتُلَقَّى ٱلْقُرْآنَ مِن لَّدُنْ حَكِيمٍ عَلِيمٍ.

অর্থ: তোয়া-সী—-ন। এগুলো আয়াত কুর’আন ও উজ্জ্বল কিতাবের; হিদায়াত ও সুসংবাদ ঈমানদারদের জন্যে। ওই সব মানুষ যারা নামায কায়েম রাখে ও যাকাত প্রদান করে এবং যারা আখিরাতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। ওই সব লোক যারা পরকালের উপর ঈমান আনে না, আমি তাদের কৃতকর্মকে তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করে দেখিয়েছি, ফলে তারা বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা তারাই, যাদের জন্যে মন্দ শাস্তি রয়েছে এবং এরাই আখিরাতে সর্বাপেক্ষা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত। এবং নিশ্চয় আপনাকে (হে রাসূল) কুর’আন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানীর নিকট থেকে। [কুর’আন, ২৭/১-৬; নূরুল ইরফান]

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

مَن جَآءَ بِٱلْحَسَنَةِ فَلَهُ خَيْرٌ مِّنْهَا وَهُمْ مِّن فَزَعٍ يَوْمَئِذٍ آمِنُونَ، وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَكُبَّتْ وُجُوهُهُمْ فِي ٱلنَّارِ هَلْ تُجْزَوْنَ إِلاَّ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ، إِنَّمَآ أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ رَبَّ هَذِهِ ٱلْبَلْدَةِ ٱلَّذِي حَرَّمَهَا وَلَهُ كُلُّ شَيءٍ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ، وَأَنْ أَتْلُوَاْ ٱلْقُرْآنَ فَمَنِ ٱهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ وَمَن ضَلَّ فَقُلْ إِنَّمَآ أَنَاْ مِنَ ٱلْمُنذِرِينَ، وَقُلِ ٱلْحَمْدُ للَّهِ سَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ فَتَعْرِفُونَهَا وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ.

অর্থ: যে ব্যক্তি সৎকর্ম নিয়ে আসবে তার জন্যে তদপেক্ষা উত্তম প্রতিদান রয়েছে; এবং তাদের জন্যে ওই দিনের ভয় থেকে নিরাপত্তা রয়েছে। এবং যারা অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তবে তাদেরকে অধোমুখ করে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। ‘তোমরা কী প্রতিফল পাবে? কিন্তু ওই কাজের জন্যে যা তোমরা করছিলে।’ আমাকে তো এ-ই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেনো আমি ইবাদত করি এ শহরের রবের, যিনি সেটাকে সম্মানিত করেছেন এবং সবকিছু তাঁরই। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেনো আমি অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত হই। এবং এরও (নির্দেশ দেয়া হয়েছে) যেনো কুর’আন পাঠ করি। সুতরাং যে সঠিক পথ পেয়েছে সে নিজের মঙ্গলের জন্যে সৎপথ পেয়েছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, তবে আপনি বলে দিন, ‘আমি তো এ-ই সতর্ককারী হই।’ এবং বলুন, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে; অবিলম্বে তিনি আপনাকে আপন নিদর্শনসমূহ দেখাবেন, তখন তোমরা সেগুলোকে চিনতে পারবে। এবং হে মাহবূব, আপনার রব অনবহিত নন, হে লোকেরা, তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে। [কুর’আন, ২৭/৮৯-৯৩; নূরুল ইরফান তাফসীরগ্রন্থ]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment