ঘরের যাকাত হল যিয়াফত

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ইমাম আবুল কাশেম হামজা ইবনে ইউছুফ যুরযানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে বর্ণনা করেন,

أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَد بْن عدي الْحَافِظُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ شُرَيْحٍ أَبُو سَعِيدٍ بِجُرْجَانَ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدِ الدَّامَغَانِيُّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ زَكَاةً وَزَكَاةُ الدَّارِ بَيْتُ الضِّيَافَةِ

-“হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ‎‎) বলেছেন: প্রত্যেক কিছুর যাকাত আছে আর প্রত্যেক ঘরের যাকাত হল যিয়াফত।”  89৮৯,  ইমাম যুরযানী: তারিখে যুরযান, ৬৮৯ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, হাদিস নং ৫৫১৪; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৯৮৩৪; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪১৫০৪;

এই হাদিসের আরেকটি সূত্র রয়েছে যা ইমাম রাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম হুছাইন ইবনে ইব্রাহিম যুরকানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৫৪৩ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,

أَخْبَرَنَا ثَابِتُ بْنُ طَاهِرٍ السَّجْزِيُّ، قَدِمَ عَلَيْنَا، أَخْبَرَتْنَا أُمُّ الْفَضْلِ بِيبِي بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ الْهَرْثَمِيَّةُ، قَالَتْ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْحَسَنِ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ نَصْرٍ النَّهْرَوَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ الْكَرْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ:…

(আবাতিল ওয়াল মানাকিরু ওয়াছ ছিহাহ্ ওয়াল মাশাহির, ২য় খন্ড, ৮৩ পৃ: হাদিস নং ৪৫০)

ইহার আরেকটি সূত্র ইমাম হুছাইন ইবনে ইব্রাহিম যুরকানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৫৪৩ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,

أَخْبَرَنَا أَبُو الْفَضْلِ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ أَحْمَدَ الْحَافِظُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ الْقُسْطَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْخٌ قَبْلَ ثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ:…

(আবাতিল ওয়াল মানাকিরু ওয়াছ ছিহাহ্ ওয়াল মাশাহির, ২য় খন্ড, ৮৩ পৃ: হাদিস নং ৪৫২)

একাধিক সূত্র থাকায় হাদিসটি শক্তিশালী হবে। তবে ইমাম রাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর রেওয়ায়েত সম্পর্কে আল্লামা মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: 

وَهُوَ حَدِيث مُنكر -“এই হাদিস মুনকার।”  90৯০,  আল্লামা মানাভী: আত তাইছির বি;শরহে জামেইছি ছাগীর, ২য় খন্ড, ২৯৭ পৃ:;

সর্বোপরি এরূপ হাদিস ফজিলত বর্ণনার ক্ষেত্রে বয়ান করা অবশ্যই জায়েয এবং আমলের বেলায় মুস্তাহাব সাব্যস্থ হবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment