হুযুর গাউসুল আযম কেন স্বীয় মর্যাদায় অদ্বিতীয়?
এখানে ৩টা বিষয় আলোচিত হবে:
➤আউলিয়াদের মর্যাদা উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে
➤সমমর্যাদায় পৌঁছা এবং সমমর্যাদা সম্পন্ন হওয়া এক বিষয় নয়
➤শায়খুল ইসলাম ইমাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির গিলানি উনার মর্যাদায় অদ্বিতীয় এবং অনন্য।
সুরা মুজদালাহতে (আয়াত ১১) আল্লাহ ইরশাদ করেন,
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ
—❝আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ঈমানদারদের এবং যাদেরকে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে তাদেরই মর্যাদা সমুন্নত করবেন।❞
[অনুবাদ কানযুল ঈমান হতে,কৃত:আলা হযরত]
এখানে يَرْفَعِ/ইয়ারফা’ঈ বা ‘সমুন্নত করবেন বা করেন’ এর হুকুম হয় Present Continuous Tense এর মতো।মানে আল্লাহ যাদেরকে ইলম দিয়ে রহমত করেছেন,তারা তা পরিপূর্ণ কাজে লাগালে আল্লাহ তাদের মর্যাদা উত্তরোত্তর বাড়াতেই থাকেন।
সুতরাং,বুঝা গেলো গাউসে আযম মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির কুদ্দিসাল্লাহু সিররুহু সহ সকল বরহক্ব আলিমের মর্যাদা আল্লাহর ইচ্ছায় বৃদ্ধি হতে থাকে।
কিন্তু অন্য সবার সাথে হুযুর গাউসে আযমের পার্থক্য স্পষ্ট এখানে যে,গাউসুল আযম দস্তগির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
دَرَسْتُ الْعِلْمَ حَتَّى صِرْتُ قُطْباً
—❝আমি ইলম অর্জন করতে লাগলাম-করতে লাগলাম,এমনকি আমি ‘ক্বুতব’ হয়ে গেলাম।❞
এটার একটা ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে,❝ক্বুতব হওয়া পর্যন্ত ইলম তালাশ করতেই লাগলাম।❞ আরেকটা ব্যাখ্যা হতে পারে যে,❝আমি ক্বুতব হয়ে গেলাম,তথাপি আমি ইলম অন্বেষণ হতে বিমুখ হইনি।❞
ক্বুতব হল হাদিস শরিফে বর্ণিত আউলিয়া কেরামের মর্যাদার সর্বোচ্চ একটা স্তর,এ স্তরে উন্নিত আউলিয়ার ক্বালবের ক্ষমতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি সাইয়্যেদুনা ইসরাফিল عليه السلام এর ক্বালবের ক্ষমতার সমান। ‘ক্বুতবিয়ত’ এর মর্যাদায় উন্নীত হতে হলে একজন বান্দাকে কঠোর ইবাদত-রিয়াযত এবং শরয়ি ইলমের পাশাপাশি ইলমে লাদুন্নি অর্জন করতে হয়।এবং ‘ক্বুতব’ হবার পরেও উনার মর্যাদা বাড়তেই থাকে।
হাদিস শরিফে কুতুব,নুকবা,নুজাবা ও আবদাল এ শব্দগুলো উল্লেখ আছে।এগুলো আউলিয়ায়ে কিরামের মর্যাদার একেকটা স্তর।একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যের বিচারে আরো কাছে যান।এ নৈকট্যের সর্বোচ্চ মর্যাদা হল ‘মাকামে ক্বাবা কাওসাইনে আও-আদনা’র, যেটা নবি ﷺ ব্যতীত আর কারোই হাসিল হবেনা। কিন্তু এতদ্ব্যতীত ‘ক্বুতবিয়তে’র মর্যাদার পর যথাক্রমে ‘গাউসিয়ত’, ‘ফারদানিয়ত’ বা ‘মাহবুবিয়ত’ এগুলোর কথাও আউলিয়াগণ বলেছেন।
এখন,ইমামুল আউলিয়া হুযুর নিযামউদ্দিন আউলিয়া গাউসিয়ত,কুতুবিয়ত ও ফারদানিয়তের মর্যাদা অতিক্রম করে ‘মাহবুবিয়ত’ এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন।আবার গাউসে আযম রা. এর একটা লক্বব/উপাধি হল ‘মাহবুব-ই-সুবহানি’ তাহলে এই দুই ‘মাহবুবিয়ত’ দ্বারা কি সাব্যস্ত হয় যে উনারা দুজন সমান মর্যাদার?
আবার গাউসুল আযম এর ব্যাপারে শায়খুল ইসলাম ইমাম সাইয়্যদ আহমাদ আর-রিফায়ি গাউসুল কাবির সম্পর্কে কুতুবে রাব্বানি ইমাম শা’রানি বলেন,
هو الغوث الأكبر والقطب الأشهر أحد أركان الطريق وأئمة العارفين
—❝তিনি হলেন গাউসুল আকবর,প্রসিদ্ধ ক্বুতব,অন্যতম প্রধান একটি ত্বরিকার মুখপাত্র এবং আরিফদের ইমাম।❞
[আল্লামা ইউনুস সামিরায়ি, কিতাব:আহমদ রিফায়ি,৯৮পৃষ্ঠা,১৯৮০ সালে বাগদাদ হতে প্রকাশিত]
তাহলে এই গাউসে পাক এবং গাউসে রিফায়ি এর মর্যাদা কি সমকক্ষীয়?
এভাবে আল্লামা আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরি মকবুলে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি লিখেন,গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সৈয়্যদ আহমদ উল্লাহ কেবলা কাবা হলেন ‘ফারদুল্লাহিল আকরম’ বা অতিমর্যাদা সম্পন্ন ওলি যিনি আল্লাহর দেয়া ক্ষমতায় ফারদানিয়তের মর্যাদায় উত্তীর্ণ।তাই বলে কি উনার সাথে হুযুর গাউসে পাকের মর্যাদা সমান?
নাহ এমনটা নয়।বরং ‘গাউসুল আযম’ এটাকে যদি একটা সীমারেখা ধরা হয় তাহলে বলা যায়,হুযুর গাউসে পাক এবং গাউস রিফায়ী বা গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সে সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। কিন্তু গাউসে আযম এদের সবাইকে টপকিয়ে আরো অনন্ত যোজন এগিয়ে গেছেন,ফলে উনার গাউসিয়ত বিশেষত্ব পেয়েছে এবং ইমাম মাহদির আগ পর্যন্ত উনার সমান কেউ হতে পারবেনা,এটাই উম্মতে মুহাম্মদির ইজমা।
আবার ‘মাহবুবিয়ত’ এটাকে যদি একটা সীমারেখা ধরা হয় তাহলে বলা যায়,হুযুর গাউসে পাক এবং মাহবুবে ইলাহি বা গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সে সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। কিন্তু গাউসে আযম এদের সবাইকে টপকিয়ে আরো অনন্ত যোজন এগিয়ে গেছেন, ফলে উনার মাহবুবিয়ত বিশেষত্ব পেয়েছে এবং ইমাম মাহদির আগ পর্যন্ত উনার সমান কেউ হতে পারবেনা,এটাই উম্মতে মুহাম্মদির ইজমা।একইভাবে ফরদানিয়ত।
এখন যদি বলেন যে,একই নামে ভিন্ন মর্যাদা হওয়া সম্ভব কেমনে,তখন বলব ‘ইয়ারফাইল্লাহ’ দেখুন।আর যদি বলেন,একই হুকুম সবার জন্যই প্রযোজ্য,তখন বলব অবশ্যই,সবার জন্য প্রযোজ্য হলেও গাউসে পাকের ক্ষেত্র আলাদা।এবং এই আলাদা মানতে না পারলে আপনি Wrong Track এ আছেন।
ইমাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির নিজ যবানে একথা ঘোষণা করেছেন,
بيني وبينكم وبين الخلق كلهم بعد ما بين السماء والأرض فلا تقيسوني على أحد ولا تقيسوا أحدا علي
—❝আমার এবং তোমাদের মাঝে আসমান-যমিনের ফারাক্ব।আমাকে কারো সাথে তুলনা করোনা, আর কাউকে আমার সাথেও তুলনা করতে এসো না।❞
[➤ইমাম আব্দুল ক্বাদির ফতহুর রাব্বানি ওয়া ফাইযুর রাহমানি,৩২৩পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ।
➤আল্লামা সাইয়্যেদ মি’আদ শারফুদ্দিন জিলানি হাফিযাহুল্লাহ,’ফুতুহুল গায়ব’ হতে নক্বল করেন,কিতাব:ত্বরিকায়ে ক্বাদেরিয়াহ, ১৮৫পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]
সুতরাং,এমন কোনো বক্তব্য প্রদান অনুচিত যেটা ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ হয় এবং তাতে করে আমাদের রূহ ফয়েজবঞ্চিত হয়ে পড়ে।
এবার আসি মূল আলোচনায়। আরবিতে একখানা কথা আছে,’মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল’, যার এক অর্থ হতে পারে,যে খোদা তাআলাকে রাজি করলো সমগ্র সৃষ্টি তার অনুগত হয়ে গেল।এর একটা জলন্ত প্রমাণ দেখি ইমাম আব্দিল ক্বাদির এবং আল্লামা ইবন তায়মিয়ার মাঝে।
সূফিয়ায়ে কেরামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কারি,বহু মাস’আলায় ইজমায়ে উম্মতের বিরোধিতাকারি এবং বিদ’আতি আক্বিদা পোষণকারি আল্লামা ইবনে তায়মিয়ার লেখনীতে দেখা গেছে যখনই উনার সামনে সমগ্র সৃষ্টিজগৎের গাউস মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির এর নাম আসে তখন যেন তিনি একটু দূর্বল হয়ে পড়েন।আল্লামা ইবনে তায়মিয়াহ গাউসুল আযম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির জিলানি কুদ্দিসাল্লহু সিররুহুর প্রতি সদা মস্তকাবনত ছিলেন।
এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, উনি শায়খ আব্দিল ক্বাদির এর ‘ফুতুহুল গায়ব’ বা ‘মাফাতিহুল গায়ব’ এর ব্যাখ্যা লিখেছেন।ফুতুহুল গায়ব এর অর্থ অদৃশ্যের সংবাদ সমূহের উদঘাটন।আজ-কালকার মোল্লা হলে ফতোয়া লাগিয়ে দিতো,এই নামটাই কুফুরি আকিদা সম্পন্ন।আর অন্যদিকে হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম ‘মাদারিজুস সালিকিন’ এ উল্লেখ এটাও উল্লেখ করেন যে,আল্লামা ইবনে তায়মিয়া লওহে মাহফুজ দেখে ভবিষ্যতে ঘটবে এমন সংবাদ বলে দিতে পারতেন।
আউলিয়া কিরামদের দোয়ার বরকতে আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে থাকেন।এ কনসেপ্টের ব্যাখ্যায় ইবনে তায়মিয়া যা উল্লেখ করেছেন তা অন্য কেউ বললে তারা কাফের-মুশরিক বানিয়ে দিতেন।ইবন তায়মিয়া লিখেন—
كَثِيرٌ مِنْ الرِّجَالِ إذَا وَصَلُوا إلَى الْقَضَاءِ وَالْقَدَرِ أَمْسَكُوا وَأَنَا انْفَتَحَتْ لِي فِيهِ رَوْزَنَةٌ فَنَازَعْتُ أَقْدَارَ الْحَقِّ بِالْحَقِّ لِلْحَقِّ وَالرَّجُلُ مَنْ يَكُونُ مُنَازِعًا لِقَدَرِ لَا مُوَافِقًا لَهُ وَهُوَ – رضي الله عنه – كَانَ يُعَظِّمُ الْأَمْرَ وَالنَّهْيَ وَيُوصِي بِاتِّبَاعِ ذَلِكَ وَيَنْهَى عَنْ الِاحْتِجَاجِ بِالْقَدَرِ
❝আশ-শাইখ আব্দিল ক্বাদির বলেন,’স্পষ্টতই কিছু যুবক (তাসাউফ চর্চা করতে করতে) অদৃশ্যের সংবাদ এবং ভাগ্যলিপি (দেখার) দেখার মর্যাদা পেয়ে যায়।কিন্তু তারা চুপ থাকে।কিন্তু,আমি বাদে (মানে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই)।কিন্তু ভাগ্যলিপি এবং আমার মাঝে একটা বাতায়ন রয়েছে,এর দ্বারা আমি হক্বের উপর দাঁড়িয়ে হক্বের জন্য ভাগ্যলিপির সাথে প্রতিযোগিতা করতে থাকি (অর্থাৎ লোকেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য)।আমি সে ব্যক্তি যে (মানুষের উপকারের জন্য) ভাগ্যলিপির সহিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত,ভাগ্যের পরিণতি অনুসারে চুপ হয়ে মেনে নেয়ার পাত্র আমি নই!'[আল্লাহু আকবর]❞
ইবনে তায়মিয়াহ বলেন,
والذي ذكره الشيخ رحمه الله هو الذي أمر الله به ورسوله
—❝এখানে শায়খ আব্দিল ক্বাদির যা বলেছেন তা মূলত: আল্লাহর হুকুমে এবং তার ﷻ রাসুলের হুকুমেই ﷺ বলেছেন।❞
রেফারেন্স:
➤ফতোয়ায়ে কুবরা,৫/১৬১-১৬২পৃ.,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ হতে প্রকাশিত।
➤কিতাবুল উবুদিয়াত,৯পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ
➤মাজমুআ ফাতাওয়া,৬/৮৯,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ
‘আল ইস্তিক্বামাহ’ এর ৮৬পৃষ্ঠায় ইবন তায়মিয়া গাউসে পাক কে ‘ক্বুতবুল আরিফিন’ উপাধিতে সম্বোধন করে একটা ঘটনা উল্লেখ করেন যেখানে উনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, ❝হে সাইয়্যিদি!ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রা. এর আক্বিদার ওপর অটল ব্যতীত কেউ কি আউলিয়া হতে পারে?❞ উনি নঞার্থক জবাব দিলেন!
ইমামের আক্বিদাগুলোকে গ্রন্থিত করেছেন হুযুর গাউসুল আযমেরই শাগরিদ শায়খুল ইসলাম মুওয়াফফাক্ব উদ্দিন ইবনু ক্বুদামা আল-মাক্বদিসি আল-হাম্বলি (৬২০হি.)।আর আল্লামা ইবন তায়মিয়ার বিভিন্ন বক্তব্য প্রমাণ করে,উনি নিজেই বিভিন্ন বিষয়ে ইমাম আহমদের আক্বিদা হতে সরে গিয়েছেন।
হুযুর গাউসুল আজমের কাশফ সম্পর্কে ইবন তায়মিয়া একটা ঘটনা উল্লেখ করেন।একবার ইমাম শায়খ শিহাবউদ্দিন সোহরাওয়ার্দী উনার মামার সাথে হুযুর গাউসুল আযম রা. এর পবিত্র বারগাহে উপস্থিত হলেন।ইমাম সোহরাওয়ার্দী বলেন,”আমি ‘কালাম’ শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভের জন্য কি অধ্যয়ন করবো,ইমামুল হারামাইনের ‘ইরশাদ’ নাকি ইমাম শিহরিস্তানির ‘নিহায়াতুল ইক্বদাম’,নাকি উনার নিকটই বসে কিছু লিখবো,তা শায়খুল ইসলাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির এর নিকট জানতে চাওয়ার মানসিকতা নিয়ে উপস্থিত হলাম।উনি আমাকে দেখেই বলে উঠলেন,❝বৎস উমর!ক্ববরে এগুলা কি কাজে আসবে?ক্ববরে এগুলা কি কাজে আসবে?❞এটা বলে উনি আমার ক্বালবের উপর অন্তঃর্দৃষ্টি/কাশফ নিক্ষেপ করলেন।আমার সমস্ত জ্ঞান আমি ভুলে গেলাম।”
[আল ইস্তিক্বামাহ লি ইবনু তায়মিয়া,১/৭৮]
‘আর ফুরকান বাইনাল আওলিয়াইর রাহমানি ওয়াশ শাইত্বান’ এ স্থানে স্থানে উনি গাউসুল আযম কে কামিল ওলি হিসেবে ঘোষণা করেন আর উনার কারামাত সমূহকে মুতাওয়াতির বলে ঘোষণা দেন।
ইবন তায়মিয়া কাদেরিয়া ত্বরিকার মুরিদ ছিলেন।‘বাদউল উলক্বা বিলাবসিল খিরক্বাহ‘ নামক ছোট পুস্তিকায় আল্লামা জামালউদ্দিন আব্দুল হাদি আল-হাম্বলি রহ. একটা সিলসিলার কথা উল্লেখ করেন,এটা নিম্নরূপ:
মহান গাউসুল আযম আবু মুহাম্মাদ আব্দিল ক্বাদির
↓
শাইখ আবু উমর ইবন ক্বুদামা
↓
শায়খুল ইসলাম মুওয়াফফাক উদ্দিন ইবনু ক্বুদামা
↓
ইবন আলি ইবন ক্বুদামা
↓
আল্লামা হাফিয ইবন তায়মিয়াহ!
মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল।