খারেজী/কওমী/হেফাজতীরা
ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ও মীলাদ-কিয়ামকে অস্বীকার করতে পারেন না কারণ তাদের সবার ওস্তাদ ভারত বর্ষের প্রথম মুহাদ্দিস, যিনি মদীনা শরীফে ইলমের চর্চা করেছেন এবং প্রায়ই হুজুর পাক (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর যিয়ারত লাভ করতেন, সেই ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী (রহ ১৫৫১-১৬৪২ খৃ) শুধু মীলাদ-কিয়াম করতেন না তিনি ঈদে মীলাদুন্নাবী এবং মীলাদ-কিয়ামকে তাঁর একমাত্র ওসীলা মনে করতেন। দেখুন তিনি কী বলেন>
“হে আল্লাহ! আমার এমন কোন আমল নেই যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত এবং মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে- পবিত্র মীলাদুন্নবী(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) অর্থাৎ হুজুর পাক(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর মজলিস করি এবং এ মজলিসে দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি। আর একান্ত আজীজী, ইনকিসারী, মুহব্বত, ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর প্রতি সালাত-সালাম পাঠ করি।
হে আল্লাহ পাক! এমন কোন স্থান আছে কি যেখানে মীলাদ মুবারকের চেয়ে অধিক খায়ের বরকত নাজিল হয়?
হে আরহামুর রাহিমীন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এ আমল কখনো বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে এবং যে কেউ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছালাত-সালাম পাঠ করবে এবং একে উসিলা করে দোয়া করবে সে কখনো মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ তা অবশ্যই কবুলযোগ্য!” [আখবারুল আখইয়ার ৬২৪ পৃষ্ঠা]