বোখারী শরীফে হজরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে- একবার আমরা রসুলেপাক (ﷺ) এর সঙ্গে খানা খাচ্ছিলাম। খানা থেকে তসবীহ পাঠের আওয়াজ বেরোচ্ছিলো, আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম। ইমাম জাফর ইবনে মোহাম্মদ বাকের (رحمة الله) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) একদা অসুস্থ হয়ে পড়লে হজরত জিব্রাইল (عليه السلام) একটি পাত্রভর্তি আঙ্গুর ও আনার নিয়ে এলেন। রসুলেপাক (ﷺ) যখন ফলগুলো মুখে তুলছিলেন, তখন তারা তসবীহ পাঠ করতে লাগলো। হজরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, একদিন রসুলেপাক (ﷺ) মিম্বরের উপরে বসে ‘তারা আল্লাহ্তায়ালার কুদরতকে তাঁর শান মুতাবেক জানতে পারেনি’ এই আয়াতখানা পাঠ করলেন। তারপর বললেন, জাব্বার ও কাহহার আল্লাহ্তায়ালা আপন শান সম্পর্কে বলেন আমি পরাক্রমশালী, আমি শ্রেষ্ঠ, অতি উন্নত। তখন মিম্বর শরীফ এমনভাবে কাঁপতে লাগলো যে, আমরা আশংকা করছিলাম, না জানি রসুলেপাক (ﷺ) পড়ে যান। হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে- খানায়ে কাবাতে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি ছিলো, যেগুলো শীশা দিয়ে পাথরের উপর বসিয়ে দেয়া হয়েছিলো। মক্কাবিজয়ের দিন রসুলেপাক (ﷺ) যখন মসজিদে হারামে প্রবেশ করছিলেন, তখন তাঁর হাতে ছিলো লাঠি। তিনি লাঠিখানা সেই মূর্তিগুলোর গায়ে লাগাচ্ছিলেন আর বলছিলেন ‘যায়াল হাক্ক ওয়া জাহাকাল বাতিল।’ লাঠি দ্বারা পুরাপুরি ইশারাও করা হয়নি, তবু মূর্তিগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিলো। তাঁর দস্ত মোবারকের তেজস্বীতা ও ক্ষমতার কাছে তারা লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়ে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিলো।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]





Users Today : 437
Users Yesterday : 767
This Month : 14859
This Year : 186730
Total Users : 302593
Views Today : 42476
Total views : 3619219