✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (২৩৭)
غزوات তথা যুদ্ধের মধ্যে খেদমতের জন্য ছেলেদেরকে নিয়ে যাওয়া জায়েজ। হযরত ইমাম বুখারী (رحمة الله) এরশাদ করেছেন -من غزا بصبى للخدمة
❏ মাসয়ালা: (২৩৮)
অলী তথা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিত নাবালেগ ছেলেদের দ্বারা খেদমত গ্রহণ করা জায়েজ নাই।
➥ [তাফহীমুল বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ৪৪৫ পৃষ্ঠা]
❏ মাসয়ালা: (২৩৯)
খায়বরের যুদ্ধে রাসূল (ﷺ) খাদেম নির্ধারণ করার লক্ষে হযরত আবু তালহা (رضي الله عنه)কে এরশাদ করেছিলেন যে, এমন কোন ছেলে আছে যেই যুদ্ধের মধ্যে আমার খেদমত করবে, তখন হযরত আবু তালহা (رضي الله عنه) এ সফরের মধ্যে হযরত আনাছ (رضي الله عنه)কে রাসূলের খেদমতের জন্য নিয়োজিত করে দিলেন।
❏ মাসয়ালা: (২৪০)
ছোট বাচ্চা (শিশু) এবং এয়াতিমদের দ্বারা পারিশ্রমিক ব্যতীত খেদমত গ্রহণ করা জায়েজ। কেননা হযরত আনাস (رضي الله عنه) বাচ্চা (শিশু) ও এয়াতিম ছিলেন। তার পিতা মালেক মৃত্যু বরনের পর তার মাতা উম্মে সুলাইমের সাথে আবু তালহার শাদী হয়েছিল এবং তিনি কোন প্রকার পারিশ্রমিকের শর্ত ব্যতীত হযরত সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর খেদমত করেছিলেন। অতএব যদি এয়াতিম বাচ্চার মাতা কিংবা অভিভাবকগণ তাকে খেদমত করার অনুমতি প্রদান করে তবে জায়েজ হবে।
➥ [তাফহীমুল বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ৪৪৫ পৃষ্ঠা]