নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) ক্রুসেড যুদ্ধের বিরুদ্ধে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহতে সূফীদের বড় ভূমিকা ছিল। ক্রুসেড যুদ্ধে মুসলিম সেনাপতি হিসেবে বড় ভূমিকা ছিল। ক্রুসেড যুদ্ধে মুসলিম সেনাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) ইমাম ইবনুল আসীর (রহঃ) বলেন: ‘তিনি তাঁর শায়খেদের সামনে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বসে তাঁদের আলোচনা শুনতেন।
তাঁর শায়েখদের মধ্যে অন্যতম হলেন, শয়খ হায়াত ইবনে কায়েস হারানী (রহঃ) (৫৮৬ হিজরী) তিনি ছিলেন একজন কারামাতপূর্ণ সূফী। তাঁর আরেকজন শায়েখ হলেন, শায়খ ইমাদুদ্দীন আবুল ফাতাহ হামভিয়া (রহঃ) ৫৬৩ হিজরী সনে তিনি দামেস্কে আসেন। ইমাম বগদাদী (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘ইলমে তরীকত ও হাকীকতে তাঁর কোন উপমা নেই। সূফীদের দলে তাঁর অলৌকিকতা, যুবক ও ইসলামের বীর পুরুষদেরকে তরবিয়ত প্রধানে তাঁর বড় ভূমিকা থাকায় নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) তাঁকে সিরিয়ার সূফীদের শায়খ বলে একটি প্রচারপ্রত্র প্রকাশ করেন।’ তাঁর শায়েখদের মধ্যে আরেকজন ছিলেন শায়খ সাবূনী (রহঃ) তিনি দামেস্ক অতিক্রমকালে নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) তাঁকে দামেস্কেতে থেকে যেতে বলেন।
যাতে করে নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন এবং তাঁর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন হয়ে যায়। যেহেতু তিনি ইমাম সাফেয়ী (রহঃ) সাথে সাক্ষাত করতে যাচ্ছিলেন। এ কারণে তিনি দামেস্কেতে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর তিনি বাদশা সালাহুদ্দীন (রহঃ)-এর পিতা নাজমুদ্দীন আয়্যুবী (রহঃ)-কে সাথে নিয়ে মিসরে চলে যান। তাঁর আরেকজন শায়েক হলেন, শায়খ ওমর মোল্লা (রহঃ) ইমাম বগদাদী (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন: ‘তিনি আরেফীনদের ইমাম। তাঁর দরবারে অনেক ওলামা ও সম্রাট তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম)- এর জন্মভূমিতে বড় বড় মাহফিল করতেন।’ সেখানে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম)-এর প্রশংসা সংক্রান্ত কবিতা আবৃত্তি করতেন।’ নূরুদ্দীন মাহমুদ জঙ্গী (রহঃ) তাঁর সাথে পরামর্শ করতেন এবং তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করতেন।