❏ হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: খফি জিকিরের মর্যাদা ৭০ গুন বেশী, ইহা আমলনামা (লেখার) ফেরেস্তারাও বুঝে না।
(বায়হাক্বী শুয়াইবুল ঈমান, ১ম খন্ড,৩৫১ পৃ: মুসনাদে আবী ইয়ালা, ৪৭৮৩/৮: কানজুল উম্মাল,১৭৫০/১: হায়ছামী তার ” মজমুয়ায়ে জাওয়ায়েদ ‘” ৮১/১০: তাফছিরে মাজহারী,৩য় খন্ড, ৩৮৬ পৃ:)।
➡এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, খফি জিকির আমল নামার ফেরেস্তারাও বুঝে না, তাহলে সাধারন মানুষ বুঝবে কিভাবে ? এ জন্য দমের জিকিরের সময় যদিও ” হু – হু ” আওয়াজের মত হয়, ইহা দুনিয়ার মানূষ না বুঝলেও তাতে অসুবিধা নেই, কারন প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন : এই জিকির আমল নামার ফেরেস্তারাও বুঝে না, তাহলে সাধারণ মানুষ ও ওহাবি, আহলে হাদিস সালাফিরা বুঝবে কিভাবে ?
❏ অপর হাদীসে নবীজি (ﷺ) বলেছেন,
হাশরের ময়দানে ফেরেস্তারা আসবে ও যা তাঁরা সংরক্ষণ করেছেন তা নিয়ে। আমল নামা দেওয়ার পরে আল্লাহ তাঁদের বলবেন, আরোও নেকী বাকী আছে কি? ফেরেস্তারা আশ্চর্য্য হয়ে বলবে হে রব! আমরা যা যা শুনেছি সবই লেখেছি। তখন আল্লাহ তায়ালা বিশাল বড় সওয়াবের পাহাড় দেখিয়ে বলবেন এগুলো আমার বান্দার নেকী, যা তোমরা জাননা, তোমরা যেন রাখ ইহা খফি জিকির। (মসনাদে আবু আওয়ান শরীফ, তাফছিরে মাজহারী, ৩য় খন্ড, ৩৮৬ পৃ:)।
➡সুতরাং দমে দমে জিকির করতে হবে এতে কেউ বুঝুক আর নাই বুঝুক। কারন এই জিকির একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ বুঝে না। এ জন্য দয়াল নবী রাসূলে পাক (ﷺ) বলেন:-
❏ হজরত আবু ছাইদ খুদরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন : তোমরা এমন ভাবে জিকির কর যেন লোকেরা পাগল বলে।
(মুসনাদে আহম্মদ, কানজুল উম্মল, ১ম খন্ড, ২১৪ পৃ: শুয়াইবুল ঈমান, ১ম খন্ড, ৩৪১ পৃ: মুস্তাদরাকে হাকেম শরীফ, ২য় খন্ড, ৭০২ পৃ: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ১৫০ পৃ সনদ সহি।
➡এই হাদীস দ্বারা প্রমান হয় লোকেরা এমন জিকিরও আছে যে জিকির করলে মানুষ পাগল বলবে। সুতরাং সাধারণ মানুষ,ও ওহাবি আহলে হাদিসরা পাগল বললেও জিকির বাদ দেওয়া যাবে না।
❏ হজরত আবুল জাওযা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন : তোমরা এমন ভাবে জিকির কর যেন মোনাফেকরা বলে যে, তাঁরা দেখানোর জন্য জিকির করছে।
(বায়হাক্বীর শুয়াইবুল ঈমান, ১ম খন্ড, ৩৪১ পৃ: কানজুল উম্মাল, ১ম খন্ড, ২১৩ পৃ: তাবারানী তার কবিরে ১২৭৮৬/১২; আবু নুয়াইম তাঁর ” হুলিয়াতে ” ৮০/৩; হায়ছামী তাঁর মজমুয়ায়ে জাওয়ায়েদ “- এ ৭৬/১০ )।