আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে…
(প্রসঙ্গ কোরান হাদীস মতে উছিলার বৈধতা)
উসিলা আরবি শব্দ
শরীয়তের পরিভাষায় মনোবাসনা পূরণ ও মকসুদ হাসিলের জন্য আল্লাহর দরবারে তাঁর প্রিয় বস্তু বা প্রিয় বান্দাগণ অথবা নেক আমলকে মাধ্যম বানিয়ে ফরিয়াদ করার নাম হল উসিলা।
উসিলা কয়েক প্রকারের হতে পারে: (১)কোন ব্যাক্তিকে উসিলা বানানো (২)নিজের আমলকে উসিলা বানানো ও (৩)কোন বস্তু বা জিনিষকে উসিলা বানানো।
প্রথমত: ব্যক্তিকে উসিলা বানানোর কথা সবাই স্বীকার করে। যেমন:
১। রাসুলের(সা.) সময় উনাকে এবং পরে তার চাচাকে উসিলার কথা উল্লেখ করা।
২। ইবুসুফ নবীর(আ.) ভাইরা তাদের বাবাকে উসিলা করেছিলেন:
قالوا يا ابانا اسـتـغـفر لنا ذنوبنا انا كنا خاطئين
৩। ঈসা নবীর(আ.)অনুসারিরা আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য উনাকে খোদার কাছে উসিলা করতেন ইত্যাদি।
আর আল্লাহর সুন্নতে কোন পরিবর্তন হবেনা। যা ছিল তাই থাকবে। এটা কোরানের কথা।
মৃতের জন্যও এটা প্রযোজ্য কেননা মৃত ব্যক্তি জীবিতর ন্যয় কথা শোনে এবং সালামের জবাব দেয়। আর তাইতো নামাজে আমরা সালাম করে বলি:
السلام عليك ايهاالنبي ورحمة اللّه وبركاته
হে নবী আপনার উপর সালাম ও খোদার রহমত বর্ষিত হোক।
তাছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন: শহীদদের রুহ তাদের জেয়ারতকারীর সালামের জবাব দেয়।
(অবশ্য ইবনে তাইমিয়্যাহ রুহের অস্বিকার করে। যার কারণে কেয়ামতের অস্বিকার করে এবং বলে মারা যাওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া।)
তাই মৃত ব্যক্তিকেও ইতিহাসে আমরা উসিলা করতে দেখি। যেমন:
১। নবীর(সা.) মৃত্যুর পর আলী(রা) নবীকে(সা.) উসিলা করে দোওয়া করতেন আর বলতেন:
بابي انت وامي اذكرنا عند ربك واجعلنا من بالك .
আমার পিতামাতা আপনার উপর কোরবান। খোদার নিকট আমাদের জন্য দোওয়া করুন খোদা যেন আমাদের মনে রাখেন।
২। আলী(র) হতে হাদীসে বর্ণিত যে,রাসুলের(সা.) মৃত্যুর তিনদিন পর একজন আরব এসে নিজেকে নবীর কবরে ফেলে দেয় ও মাথায় কবরের ধুলো মেখে বলে:
يا رسول اللّه قلت فسمعنا قولك , ووعيت عن اللّه سبحانه فوعينا عنك , وكان فيما اءنزل عليك : (ولو انـهـم اذ ظـلـمـوا انـفـسـهـم جـاؤوك ), وقـد ظلمت وجئتك تستغفر لي .
যদি কেউ নিজের উপর জুলুম করে তোমার নিকট আসে। আমিও নিজের উপর জুলুম করেছি এবং তোমার কাছে এসেছি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।
দ্বীতিয়ত: আমলে সালেহ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্টের কথাও আপনি বলেছেন।
তৃতীয়ত:বস্তুকে উসিলা করা। আমরা ইতিহাসের পাতায় এরকম অনেক উসিলার উদাহরণ দেখতে পাই যেমন:
১। গায়ের জামাকে উসিলা করা:হযরত ইউসুফ নবী(আ.) তার নিজের জামাটাকে বাবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তখন ইয়াকুব নবী(আ.) সেটাকে উসিলা করাতে আরগ্য পেয়েছিলেন যা কোরানের কথা।
তাছাড়া আলীর(আ.) মা যখন মৃত্যু বরণ করেন নবী করিম(সা.) কিছুক্ষনের জন্য তার কবরে শুয়ে ছিলেন এবং গায়ের জামা খুলে মৃতের মুখের নিচে দিতে বললেন। কারণ জিজ্ঞেস করাতে বললেন: কবরে শুলাম এ জন্য যে খোদা তার কবরকে প্রশস্ত করুক। আর জামা দেয়ার উদ্দেশ্য হল এই যে,-যদি খোদার ইচ্ছা হয়- জাহন্নামের আগুন যাতে না পৌছায়। (মুসনাদে আহমাদ, ৩’য় খন্ড, ২২৬ পৃষ্ঠা, মদীনার ইতিহাস বইতে)
২। গায়ের ঘামকে উসিলা করা: আনাস ইবনে মালিক হতে রেওয়ায়েত আছে যে, রাসুল(সা.) যখন উম্মে সালিমের গৃহে বিশ্রাম করতেন সে তখন রাসুলের(সা.) গায়ের ঘাম তাবার্রুক ও বাচ্চাদের শেফার(আরগ্য) জন্য জমা করে রাখতেন। নবী করীম(সা.) ঘুম থেকে জেগে বললেন সঠিক কাজটি করেছ। (সহীহ মুসলিম, ৭’ম খন্ড, বাবে কুরবে নবী(সা.) বিন্নাস ওয়া তাবার্রুকেহিম বিহ)
অবশ্য এরূপ ঘটনা অনেক রয়েছে যেমন: ওযুর পানি সংগ্রহ করা, মাথার চুল সংগ্রহ করা, এমনকি হাদীসে রাসুলের(সা.)মলের জন্যও বর্ণনা করা হয়েছে।
৩। কবরকে উসিলা করা: কাসেম ইবনে মোহম্মদ ইবনে আবু বকর(র) হতে বর্ণিত: সাহাবারা রাসুলের(স.) কবর তৈরি করেন এবং প্রথম যে ব্যক্তি রাসুলের(সা.) কবরের মেরামতের কাজ করেছে ওমর ইবনে খাত্তাব ছিলেন।
সাহাবারা রাসুলের(সা.) স্ত্রী উম্মে হাবিবার মাযার তৈরি করেন। যা ওয়াবিদের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার কোরানের আয়াতসমূহের মাধ্যমে উছিলার বৈধতা সার সংক্ষেপ
১। সুরা মায়েদার ৩৫ নম্বর আয়াতে এসেছে:
« يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَ ابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ وَ جاهِدُوا فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ».
হে ! তোমরা যারা ঈমান এনেছ (মুমিনগণ) তাকওয়াধারী হও এবং আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে উসিলা বা মাধ্যম গ্রহণ করো। আর খোদার পথে জিহাদ করো হয়তো তোমরা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারো।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই আয়াতে মুক্তিপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
ক) আল্লাহর তাকওয়া অর্জন;
খ) প্রভুর নৈকট্য অর্জনের জন্য উসিলা নির্ধারণ;
গ) খোদার পথে জিহাদ করা।
অতএব, মানুষ যা কিছুর মাধ্যমে খোদা পর্যন্ত পৌঁছায় এবং তার নৈকট্য হাসিল করে, যেমন: ভাল কাজ বা আমালে সালেহ ও দোয়া ইত্যাদিকে উসিলা বা মাধ্যম বলা হয়ে থাকে। (ফারনাতি, প্রকাশ কাল: ১৪১৬ হিজরী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ২৪১)।
যদিও আহলে সুন্নতের বেশিভাগ মুফাস্সিরগণ উসিলাকে আনুগত্যের কাজ করা (ফেলুত তা’আ) ও পাপ কাজ বর্জন করার প্রতিই বলেছেন অথবা কোন শর্ত ছাড়াই উল্লেখ করেছেন (كلّ ما يتوسّل به…), আর নবী করিমের (সা.) তাওয়াস্সুল করাকে আয়াতে দৃষ্টান্ত হিসেবে না বারণ করেছেন আর নাইবা বৈধতার কথা ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু আয়াতে উসিলা কোন শর্ত ছাড়াই এসেছে, যেভাবে আমালে সালেহ বা ভাল কাজকে শামিল করবে, দোয়া ও আম্বিয়ায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে ইলাহিদেরকে ও কোন পবিত্র স্থানকে মাধ্যম করাকেও শামিল করবে। আর যা কিছু মানুষকে খোদার কাছাকাছি নিয়ে যায় (অর্থাৎ পারিভাষিক অর্থে) তাকেও শামিল করবে। যামাখশারির পূর্বের কথা ও ফাখরে রাযির কথা হচ্ছে এরূপ:
« فالوسيلة هي التي يتوسّل بها الي المقصود ».
প্রত্যেকটি জিনিসই হচ্ছে উসিলা যার মাধ্যমে নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ সব বিষয়কেই শামিল করবে। (ফাখরে রাযি, ১১তম খন্ড, পৃষ্ঠা: ১৮৯)।
যদি আল্লাহর কাছে উসিলা করাটা শিরকের কারণ হত, তাহলে কখনই খোদা সেটাকে মুক্তি ও পরিত্রাণের উপাদান করতো না এবং তার জন্য হুকুম করতো না।
খোদার নৈকট্য হাসিল করার জন্য উসিলার নির্ধারণের হুকুম বিশেষ কোন দলের জন্য নয়, অনেকে নিজেদের পাপের মার্জনার খাতিরে, আবার অনেকে আত্মিক ও বস্তুবাদী প্রয়োজনীয়তার খাতিরে আর কিছু লোকের সফলতার পথ অতিক্রম করার জন্য ও পূর্ণতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে উসিলার প্রয়োজন।
ভুলে গেলে চলবে না যে, উসিলা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের জন্য। আর এটা তখনই সত্য বলে প্রমাণিত হবে যখন স্বয়ং নিজেই আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠ হবে; যদি উসিলা আল্লাহর দরবারে পরিচিত না হয় অথবা তার অপছন্দনীয় হয় এমতাবস্থায় তাওয়াস্সুল অর্জন হবে না।
২। সুরা নেসার ৬৪ নম্বর আয়াতে এসেছে:
« وَ ما أَرْسَلْنا مِنْ رَسُولٍ إِلاَّ لِيُطاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ وَ لَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جاؤُكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَ اسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّاباً رَحِيماً ».
আমরা কোন নবীকেই প্রেরণ করিনি, শুধুমাত্র এই জন্য যে, তার হুকুমে তার আনুগত্যতা করা হোক, আর যদি এই বিরোধী লোকেরা যখন নিজের উপর অত্যচার করছিল তোমার কাছে আসতো এবং খোদার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতো আর নবী করিমও তাদের জন্য ক্ষমা চাইতেন তখন তারা খোদাকে তাওবা গ্রহণকারী ও মেহেরবান পেতো।
এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইবনে কাসির বর্ণনা করে: আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পাপী বান্দাদেরকে ইরশাদ করছেন যে, নবী করিমকে (সা.) যেন তারা খোদার দরবারে উসিলা করে নেন এবং নিজেও ক্ষমা প্রার্থনা করুক এবং নবী করিমকেও (সা.) আল্লাহর দরবারে তাদের জন্য মাগফেরাত চাওয়ার জন্য বলুক। এমতাবস্থায় আল্লাহর রহমতে শামিল হতে পারবে, তাদের তাওবাও কবুল করা হবে। অতঃপর (ইবনে কাসির) উদাহরণস্বরূপ নবীর (সা.) কবরে একজন আরব লোকের তাওয়াস্সুলের ঘটনা ও খোদার ক্ষমার বর্ণনা করে। (ইবনে কাসির, পৃষ্ঠা: ৩২৮ – ৩২৯)।
কুরতুবি হযরত আলী (আ.) হতে অনুরূপ একটি রেওয়ায়েত বর্ণনা করেন:
আবু সাদেক আযদি হযরত আলী (আ.) হতে বর্ণনা করে যে, একজন আরব লোক রাসুলুল্লাহর (সা.) দাফনের তিন দিন পর নিজেক তাঁর কবরের উপর ফেলে দিয়ে তার ধুলো মাটি নিয়ে নিজের মাথায় ঢালছিল আর বলছিল: হে ! আল্লাহর রাসুল (সা.) আপনার বাণী শুনেছি, আমরা আপনার কাছে চাচ্ছি আর আপনি খোদার কাছে চান । যে আয়াত আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে তা হচ্ছে এই যে, “যদি আমার কোন বান্দা নিজের উপর যুলুম অত্যাচার করে, তারা তোমার কাছে আসবে তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও তাদের তাওবা কবুল করবেন”, আমি নিজের উপর যুলুম করেছি, এখন এসেছি যাতে আপনি আমার জন্য খোদার দরবারে মাগফেরাত ও ক্ষমা কামনা করেন; অতঃপর নবী করিমের (সা.) কবর থেকে আওয়াজ এলো যে, তোমার মার্জনা হয়েছে। (কুরতুবি, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ২৬৫)।
এই হাদীস হতে আমরা বুঝতে পারি যে, আরব লোকটি কোরানের আয়াতকে ধারণ করার মাধ্যমে নবী করিমকে (সা.) উসিলা করলো এবং খোদার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলো আর এই তাওয়াস্সুল ফল দিলো এবং সে লোকটিকে আল্লাহ ক্ষমা করলেন।
যখন কোন পাপী ও প্রয়োজনীয় ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের (সা.) দারস্থ হয়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তখন তার বান্দার জন্য তাঁর শাফাআতকে ফিরিয়ে দেন না।
ফাখরে রাযি বর্ণনা করে:
যখন কোন প্রয়োজনীয় ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের (সা.) দারস্থ হয়, এমন লোকের দরজায় এসেছে যে, খোদা নিজেই তাঁকে নবী হিসেবে নির্ধরণ করেন এবং ঐশী বাণীর মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করেছেন এবং নিজের ও বান্দাদের মাঝখানে দূত বানিয়েছে; আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ সকল ব্যক্তিদের শাফাআতকে ফিরিয়ে দেন না।
৩। সুরা বাকারার ৩৭ নম্বর আয়াতে এসেছে:
« فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِماتٍ فَتابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ».
অতঃপর আদম (আ.) নিজের প্রভুর কাছে কিছু শব্দাবলীর শিক্ষা নেন এবং তার মাধ্যমে তাওবা করেন এবং খোদা তার তাওবাকে কবুল করলেন, কেননা আল্লাহ রাব্বুর আলামিন তাওবা গ্রহণকারী ও মেহেরবান।
যখন হযরত আদম (আ.) আল্লাহর ইরশাদি হুকুমের বিরোধীতা করে অনুতপ্ত হলেন এবং আউলিয়ার স্থানে শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, খোদার দরবারে উসিলা করার জন্য কাউকে খুঁজছিলেন, তখন খোদা তাঁকে কিছু শব্দের শিক্ষা দান করলেন, যাতে করে তাকে তাওয়াস্সুল করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারেন। (দ্রষ্টব্য: আল মো’জামুল আকায়েদি, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৮৭)।
পরিশেষে এটুকুই বলতে চায় উছিলা ব্যতীত কোন কিছুই সম্ভব নয় আপনার উচিলায় আমি চলি আমার উচিলায় আপনি চলেন এভাবে সারাবিশ্ব চলছে তাই সম্মানীত পাঠকগণ আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি ওলী আওলিয়াদের উছিলা সিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে চলার তৌফিক কামনা করুন খোদার দরবারে-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূণ্নী খানকা শরীফ