কিসে নামায ভঙ্গ হয় আর কিসে ভঙ্গ হয় না

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

৬২ – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ مَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَمَا لَا يَقْطَعُ

১৬৫ – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيْدَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَمَّا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ، فَقَالَتْ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ! تَزْعُمُوْنَ أَنَّ الْـحِمَارَ وَالْكَلْبَ وَالسِّنَّوْرُ يَقْطَعُوْنَ الصَّلَاةَ، قَرَنْتُمُوْنَا بِهِمْ، اِدْرَأْ مَا اسْتَطَعْتَ، كَانَ النَّبِيُّ  يُصَلِّيْ وَأَنَا نَائِمَةٌ إِلَىٰ جَنْبِهِ، عَلَيْهِ ثَوْبٌ جَانِبُهُ عَلَيَّ.

বাব নং ৭৪. ৬২. কিসে নামায ভঙ্গ হয় আর কিসে ভঙ্গ হয় না

১৬৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ ইবনে ইয়াযিদ থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) কে নামায ভঙ্গকারী বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেন, হে ইরাকবাসী! তোমরা মনে করেছ গাধা, কুকুর ও বিড়াল (নামাযীর) সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। সম্ভবত তোমরা আমাদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দিয়েছ। যতটুকু সম্ভব নামাযের সামনে দিয়ে যাতায়াতকারীকে বাধা প্রদান কর। কেননা নবী করিম (ﷺ)  নামায আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। তাঁর কাপড়ের একাংশ আমার উপর পড়ে থাকত।

ব্যাখ্যা: উপরোক্ত বিষয়ে সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ)  বলেছেন, নামাযীর সামনে যদি সুতরা না থাকে, তাহলে মহিলা, গাধা ও কাল কুকুর সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। এই হাদিসের আলোকে যাহিরীয়াদের মত হলো- এগুলো নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নামায ভঙ্গের কারণ। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মাযহাব হলো এর দ্বারা নামায ভঙ্গ হবে না। ইমাম আহমদ (رحمة الله) মহিলা ও গাধার ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন নি, তবে কুকুরের বেলায় নামায ভঙ্গের পক্ষে মত দিয়েছেন।

হাদিসে নামায ভঙ্গ দ্বারা ইমামগণ নামাযে ভীতি, বিনয় ও একাগ্রতা দূরীভূত হওয়াকে বুঝিয়েছেন, প্রকৃত নামায ভঙ্গ হওয়া নয়। কারণ এতে নামায ভঙ্গ না হওয়ার উপর সিহাহ সিত্তাহ্ এ বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদিস বিদ্যমান।

সুতরা বলা হয় নামাযীর সামনে কোন বস্তু দিয়ে আড়াল করা। এর দ্বারা দু’টি উপকার হয়। এক. নামাযীর দৃষ্টি সুতরার বাইরে যাবে না। দুই. নামাযীর সামনে দিয়ে চলন্ত ব্যক্তি গুনাহ থেকে বাঁচবে। ইমাম নববী (رحمة الله) বলেন, সুতরা দু’হাত লম্বা হওয়া প্রয়োজন। হেদায়া প্রণেতা বলেন এক হাত হলেই হবে এবং অঙ্গুলি পরিমাণ  মোটা হতে হবে। ইমাম আহমদ (رحمة الله)’র মতে খত্ টেনে নিলেও সুতরা হয়ে যাবে। যদি কোন উট কিংবা অন্য কোন জন্তু সামনে থাকে তবে তাও যথেষ্ট হবে। সুতরাকে নাক সোজা না গেঢ়ে একটু ডানে কিংবা বামে করে গাঢ়তে হবে। ইবনে হুম্মাম (رحمة الله) হাদিস বর্ণনা করেন-

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment