বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
প্রিয় দর্শক তিন শ্রেণীর মানুষ এই জায়তুন তেল দ্বারা চুল পড়া ও চুল পাকা বন্ধ করতে পারবে না ।
(১) যারা ৫-১০ ব্যবহার করে ছেড়ে দেয় বা অনেকদিন পর পর ব্যবহার করে অথবা একটি ১০০ গ্রামের জায়তুন তেল ব্যবহার করেই, সব সমস্যার সমাধান করে ফেলব ভাবে, তারা এই তেল ব্যবহার করে কোন লাভ পাবে না ।
(২) যারা অতিরিক্ত রাত্রি জাগে এবং অতিরিক্ত নেশা করে তারা এই তেল ব্যবহার করে চুল পড়া ও চুল পাকা বন্ধ করতে পারবে না ।
(৩) বয়স বেশি হওয়ার কারণে অথবা বংশগত কারণে চুল ওঠা ও চুল পাকার সমস্যা হলে খুব বেশি ভালো ফল পাওয়া যাবে না । তবে আরো অন্যান্য যে উপকার আছে সেগুলো অবশ্যই পাবেন ।
জাইতুন তেল ব্যবহারের পূর্বে কিছু শর্ত মনে রাখতে হবে ।
(১) অতিরিক্ত রাত্রি জাগা বর্জন করতে হবে ।
(২) অরিজিনাল জাইতুন তেল ক্রয় করতে হবে । অরিজিনাল জাইতুন বলে অনেকেই বিভিন্ন কেমিক্যাল বিক্রি করে দেয় আপনাদের কাছে এতে তেমন উপকার পাবেন না।
(৩) অতিরিক্ত শ্যাম্পু, চুলের রং, ইত্যাদি কেমিক্যাল ব্যবহার করা কমাতে হবে ।
(৪) বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।
(৫) অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার কম করতে হবে ।
(৬) কম করে ৫-৬ মাস ধৈর্য সহকারে যায়তুন তেল ব্যবহার করতে হবে ।
(৭) ১ মাস পর থেকেই উপকার পেতে শুরু করবেন তার পরেও ৫-৬ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে কম করে একবার হলেও ব্যবহার করবেন ।
এবার জানবো কিভাবে জায়তুন তেল ব্যবহার করলে অল্প বয়সে চুল পড়া ও চুল পাকা বন্ধ হয় ।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু ও চুলের রং সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার এবং অতিরিক্ত রাত জাগা ও প্রচন্ড গ্যাসের কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় যার ফলে অল্প বয়সে চুল উঠা ও চুল পাকার সমস্যা দেখা যায় ।
বর্তমানে এই সমস্যায় পৃথিবীর ৯০ শতাংশ মানুষ ভুগছেন । চুল ওঠা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু অল্প বয়সে অতিরিক্ত চুল উঠা এবং চুল উঠে গিয়ে আর না গজানো এটা চিন্তার বিষয় ।
আপনি যদি এ সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ইনশাল্লাহ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।
আমি নিজে গবেষণা ও পরীক্ষা করে দেখেছি এবং এখন পর্যন্ত ব্যবহার করছি খুব ভালো উপকার পেয়েছি তাই আপনাদের সঙ্গে এ পদ্ধতি শেয়ার করছি ।
প্রথম পদ্ধতিঃ- ৪-৫টি কাঁচা পিয়াজ নিতে হবে , তারপর পেঁয়াজ গুলো মিক্সচারে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে এবং একটি পাত্রে পেঁয়াজ গুলো রেখে ১০০ গ্রাম মত যায়তুন তেল ঢেলে দিতে হবে । তারপর উনুনে হালকা আচে ৭-৪ মিনিট রাখতে হবে । পেজগুলো হাফ সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিতে হবে । ঠান্ডা হলে একটা বোতলে ভরে রেখে দিতে হবে ।
এছাড়া আপনি শুধুমাত্র জায়তুন তেলই ব্যবহার করতে পারেন কিছু মিক্স না করেই । তবে পিয়াজ মিক্স করে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ভাল ফল পাবেন ।
প্রতিদিন রাত্রে হাতের আঙ্গুলে করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় কম করে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে ।
২য় পদ্ধতিঃ- প্রতিদিন ৮-১০ ফোটা অরিজিনাল জাইতুন তেল খেতে হবে। কোন খাবারের সঙ্গে মিক্স করে খেতে পারেন অথবা এমনিও খালি মুখেও খেতে পারেন ।
এই দুটো পদ্ধতি নিয়মিত পালন করতে হবে ।
প্রথমত কয়েকদিন বেশি পরিমাণে চুল উঠবে কারণ যে সমস্ত চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলো উঠে যাবে তারপর নতুন করে সেখান থেকে শক্তিশালী চুল গজাবে । এ তেল ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ হবে না এখন যেমন চুল উঠছে তেমন উঠতে থাকবে তবে যে চুল উঠে যাবে সেটা আবার নতুন করে বোঝাবে এবং ১মাস পর থেকে চুল পড়ার পরিমাণ কমতে থাকবে । বুঝতে পারবেন আপনি উপকার পেতে শুরু করেছেন ।
শেষে আবারও বলছি এ পদ্ধতি খুব সহজ কিন্তু পূর্বে যে সমস্ত শর্ত গুলো বর্ণনা করলাম সেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন নচেৎ তেমন উপকার পাবেন না ।
অনেকে অনেক রকম দামি দামি ওষধ, দামি দামি শ্যাম্পু, নামিদামি কোম্পানির তেল , ইত্যাদি বহু কিছু ব্যবহার করেছেন কিন্তু চুলকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছেন ।
আপনাদের বলব হাদীসে বর্ণিত সে যাইতুন তেলের ব্যবহার করে দেখুন ইনশাল্লাহ খুব ভালো ফল পাবেন ।