কিতাবঃ সালাফীদের জবাবে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহঃ আব্দুর রহিম সালাফির মনগড়া বক্তব্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আব্দুর রহিম সালাফির মনগড়া বক্তব্য
➖➖➖
সম্মানিত  পাঠকগণ,    এ পর্যায়ে আমি  বর্তমানে বাংলাদেশে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের একজন আহলে  হাদিস নেতা  আব্দুর    রহিম    সালাফির    মিথ্যা,     বানোয়াট,     অজ্ঞতাপ্রসূত বক্তব্যটি  তুলে  ধরতে   চাই।  তার  একটি  ওয়াজের  ভিডিও  সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে। যেখানে তিনি বলেছেন-  কালিমার  বাক্য  ‘লা  ইলাহা  ইল্লাল্লাহ’  এর  সাথে  ‘মুহাম্মাদুর       রাসূলুল্লাহ’         যুক্ত       করে          আমাদের       ঈমান আকিদাকে ধ্বংশ করা  হচ্ছে। এটা নাকি ইহুদি-নাসারাদের চক্রান্তের মাধ্যমে ঢুকিয়ে  দেয়া হয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেনÑ   পৃথিবীর বুকে  যত   কিতাব  আছে তার  কোথাও কেউ এমন কোন নজির দেখাতে পারবে না যে এই কালিমা একসাথে  বর্ণিত   হয়েছে।  নিম্নে  তার  বক্তব্যটি  হুবহু    তুলে ধরা হলো-

‘আমাদের  দেশে  আকিদার  ত্রুটি  ঢুকিয়ে  দিয়েছে  সর্বপ্রথম  ইহুদি    খৃস্টানদের    চক্রান্তের    মাধ্যমে।    ইহুদি    খৃস্টানদের  চক্রান্তের      মাধ্যমে,     সর্বপ্রথম     যেই      জিনিসটির        মাধ্যমে মানুষের     ঈমান    ধ্বংশ    করা    যায়     সেই    জিনিসটি      হইল  কালিমার    বাক্য।    সেই    জিনিসটি    কি?    কালিমার    বাক্য।  তাওহীদের   বাক্য।   বলতে   পারেন   সেটা    কি?    লা   ইলাহা ইল্লাল্লাহ’   তারপর  ‘মুহাম্মাদুর  রাসূলুল্লাহ’’    বলেছেন?   ভুল, ভুল।    এই    জাগায়    যারা    আছেন-    আলেম-উলামা,    হাজী  গাজী, অনেক লোক  আছেন আমার বিশ্বাস। একজন  লোক হাত দেখাইয়া বলেন যে আমার এই চক্ষু দুইটি দিয়ে বুখারি শরীফ,  মুসলিমশরীফ, তিরমিজিশরীফ, আবু    দাউদশরীফ, নাসাঈশরীফ,   ইবনে   মাজাহ     শরীফ,   মুস্তাদরাকে   হাকিম,  সুনানে     কুবরা,      বায়হাকী      তারপরে      মুসনাদে       আহমদ, তারপরে কি বলে?  ফতহুলবারি, তারপরে এই ধরনের যত কিতাব    আছে     মিযানুল    ইতেদাল,    মুহল্লা    মুবনি    ইনায়া,   বিনায়া, নেহায়া, মবসুত, মুহিত, যত কিতাব আছে পৃথিবীর বুকে  একটা   কিতাবের  মধ্যে  লেখা    দেখেছেন    একজাগায় হাদিসে   রাসূল   থেকে    প্রমাণিত    যে,   ‘লা   ইলাহা    ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’  দেখেছেন একজনে হাত   দেখান। কি পরমানিত হল? নাই। অথচ এদেশেরে মাটিতে এই কালিমা পড়ানো   হয়েছে,   শিখানো  হয়েছে,   মক্তব   থেকে   শিখানো  হয়েছে।        কালিমায়ে      তাইয়্যিবাহ      ‘লা      ইলাহা      ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর  রাসূলুল্লাহ’।   রুগি   যখন  সর্বরোগে  আক্রান্ত  হয়ে তখন ডাক্তার হিমশিম খেয়ে যায় কোন রোগের ঔষধ দিয়ে আবার রুগি মাইরা   পালাই। সর্বরোগে আক্রান্ত এই  জাতি। কোন       রোগের     ঔষধটি     দেব?     সর্বপ্রথম      যেই      বাক্যটি মুসলমানদের    জন্য,    সেই    বাক্যটি     আজ     পর্যন্ত    মুসলিম  জাতিকে       সুন্দরভাবে      শিখানো       হয়      নাই।      সঠিকভাবে বিশুদ্ধভাবে শিখানো  হয় নাই।  আজও পর্যন্ত মুসলিম  জাতি ঘোলাটের  মধ্যে রয়েছে। সর্বপ্রথম  ঈমান আনার জন্য যেই বাক্যটি   শিখা   দরকার    সেই     বাক্যটি       শুদ্ধ   করে   এদেশে আলেমরা শিখায় নাই।  এজন্য    দায়ী  হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, নাসারা, মজুসি, ইহুদি নয়।

আওয়ামী   লীগ, বিএনপি,   জাতীয়   পার্টি  তারা নয়। এজন্য আমার মত মৌলভীরা দায়ী।’ (ইউটুব থেকে সংগ্রহীত)

সম্মানিত        পাঠকগণ       এতক্ষণ      আপনারা        আব্দুর      রহিম সালাফির    মস্তিস্ক     প্রসূত    কাল্পনিক      কথাগুলো    শুনলেন। এবার আসুন আমরা কুরআন, হাদিস, তাফসির ও উলামায়ে কেরামদের ফতোয়ার  আলোকে প্রমাণ  করি যে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ ইহাই হল  ঈমানের বাক্য বা কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment