আসহাবে কাহাফ
==========
‘আসহাবে কাহাফ’ নিয়মিত পাঠ করলে ইনছানকে কামিল বানিয়ে দেয়। দুশমনকর্তৃক আক্রান্ত হলে আসহাবে কাহাফের নামসমূহ পাঠ করে দুশমনের উপর ফুঁক দিলে, দুশমনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
প্রথমে ১১বার দরূদশরীফ পাঠ করে আছহাবে কাহাফের নামসমূহ পাঠ করবেন,
اصحاب كهف
اللهم انى اسئلك باسلام يمليخا ورغبته وبايمان مكسلمينا وغربته وتوحيد كشفوطط ووحدته وبعناية كشافت يونس وعونه وبمغرفة ازر فتيونس وفكره واخلاص طبيونس وفراسته ومتابعة يونس بوسن وموافقته وباسم كلبهم قطمير وصحبعه- ان تقضى حاجتى يا قاضى الحاجات يا شافى الامراض يا كافى المهمات وصلى الله تعالى على خير خلقه سيدنا محمد واله اجمعين برحمتك يا ارحم الراحمين-
আয়ূ বৃদ্ধির অজিফা
===========
আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত কৃত ‘আখবারুল আখইয়ার’ নামক কিতাবের ৪/৩০-৩২ পৃষ্ঠায় কাদেরীয়া তরিকার একটি শাখা ‘তরিকায়ে ছাত্তারিয়া’ এর আয়ূ বৃদ্ধির অজিফায় বর্ণিত আছে,
১.ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বপর্যন্ত পাঠ করবেন, يا حى يا قيوم (ইয়া হাইয়ূ ইয়া কাইয়ূ) ১০০০বার।
২.জুহরের নামাযের পর পাঠ করবেন, هو العلى العظيم (হুয়াল আলিউল আজীম) ১০০০বার।
৩.আসরের নামাযের পর পাঠ করবেন, هو الرحمن الرحيم (হুয়ার রাহমানুর রাহিম) ১০০০বার।
৪.মাগরিবের নামাযের পর পাঠ করবেন, هو الغنى الحميد (হুয়াল গানিউল হামীদ) ১০০০বার।
৫.এশার নামাযের পর পাঠ করবেন, هو اللطيف الخبير (হুয়াল লাতীফুল খাবীর) ১০০০বার।
শত্র“কে বন্ধু বানানোর পরিক্ষিত আমল
==================
নিম্নের দোয়া ফজরের নামাযের পর ৪১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে তিনবার নিজে পান করবেন এবং ঘরের সকলকে পান করাবেন। এ আমল ২১দিন পর্যন্ত করবেন। ঘরের সকল লোক পরস্পরে মহব্বত পয়দা হবে। এ দোয়া পাঠ করার প্রারম্ভে ও শেষে ৩ বার করে দরূদশরীফ পাঠ করবেন। এ দরূদশরীফ পাঠ করা উত্তম হবে।
اللهم صل على محمدن النبى الامى وازواجه امهات المؤمنين وذريته واهل بيته كما صليت على ابراهيم انك حميد مجيد-
দোয়া হলো,
اللهم سخرلى اعدا ئى كما سخرت الريح لسليمان بن داؤد عليهما السلام ولينهم كما لينت الحديد لداؤد عليه السلام وذللهم كما ذللت فرعون لموسى عليه السلام وقهرهم كما قهرت اباجهل لمحمد صلى الله عليه وسلم بحق كهيعص وبحق حم عسق صم بكم عمى فهم لايبصرون ط اياك نعبد واياك نستعين ط فسيكفيكهم الله وهو السميع العليم ط والحمد لله رب العلمين-
বিপদ মুক্তির আমল
===========
নিম্নের দোয়া সর্বদা পাঠ করতে থাকলে বিশেষ করে জুমুয়ার নামাযের পর পাঠ করলে দুশমন পরাজয় হবে, ভয়ভীতি থেকে নিরাপদ থাকবে। আল্লাহতা’য়ালা তাকে ধনাঢ্য করবেন। গায়েব থেকে কল্পনাতীত রিজিক আসবে, শান্তির জীবন নসিব হবে। পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহতা’য়ালা তাকে আদায় করার তওফিক দান করবেন। দোয়া হলো,
اللهم انت ربى لا اله الا انت عليك توكلت وانت رب العرش الكريم ما شاء الله كان ولم يشاء لم يكن ولا حول ولا قوة الا بالله العلى العظيم ط الم ان الله على كل شئ قدير ط وان الله قد احط بكل شئ علما- اللهم انى اعوذبك من شر نفسى ومن شر كل دابة انت اخذ بن صيتها ان ربى على صراط مستقيم-
মুকাদ্দামায় জয়ী হওয়ার দোয়া
================
ربنا افتح بيننا وبين قومنا بالحق وانت خير الفاتحين
উচ্চারণ: রাব্বানা ইফতাহ বাইনানা ওয়া বাইনা কাউমিনা বিল হাক্বী ওয়া আনতা খাইরিল ফাতিহীন।
রিযিক বৃদ্ধির দোয়া
===========
اللهم ربنا انزل علينا مائدة من السماء وتكون لنا عيدا الاولنا والاخرنا واية منك وارزقنا وانت خير الرزقين-
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনযিল আলাইনা মাইদান মিনাস সামায়ী ওয়াতাকুনু লানা ঈদাল লিআউয়ালিনা ওয়াল আখিরীনা ওয়া আইয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা ওয়া আনতা খাইরুর রাযিকীন।