মূল: মাহাজ্জা-ডট-কম
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
[Bengali translation of Mahajjah’s article “Unmasking the other villains of Karbala;” translator: Kazi Saifuddin Hossain]
উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ স্রেফ সতেরো জন সৈন্যসহ কুফা শহরে প্রবেশ করেছিলো। তাদের প্রতিজনের মাথায় হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي اللّٰه عنه)’এর হাতে আনুগত্যের অঙ্গীকারকারী সহস্রাধিক কুফাবাসী ছিলো। অথচ তাঁকে রক্ষা করার জন্যে একটি তরবারিও ওঠানো হয়নি। তাঁর হত্যার প্রতিবাদে একটি কণ্ঠস্বরেরও সোচ্চার হওয়ার সৎসাহস হয়নি। আর এরা ওই একই লোক, যারা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’কে বলেছিলো, “আসুন, আমরা আপনার সাথে আছি।”
ইতিপূর্বে হযরত মুসলিম (رضي الله عنه)’এর চিঠি পেয়ে ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) কুফা অভিমুখে যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কুফাবাসীদেরকে তাঁর আসন্ন আগমন সম্পর্কে জানাতে সহসা বার্তাবাহক ক্বায়স্ ইবনে মুস-হির’কে সেখানে প্রেরণ করেন। ওই বার্তাবাহককে উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ আটক করে তাঁকে কেল্লার সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠিয়ে জনসমক্ষে ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) ও তাঁর বাবাকে অভিসম্পাত দানের জন্যে আদেশ করে। কিন্তু তিনি এর পরিবর্তে সাইয়্যেদুনা আলী (كرم اللّٰه وجهه) ও সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কুফাবাসীদেরকে হযরত ইমামের এ অভিমুখী যাত্রার কথা জানিয়ে তাদেরকে নিজেদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে সাহায্য করার জন্যে পরামর্শ দেন। বার্তাবাহক তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণ ইবনে যিয়াদের প্রতি অভিসম্পাতের দ্বারা সমাপ্ত করেন। এমতাবস্থায় ইবনে যিয়াদের আদেশে তাঁকে দুর্গের ওপর থেকে ফেলে দেয়া হয় এবং তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। এই আবেগময় আবেদন সত্ত্বেও কুফাবাসী লোকেরা নির্বিকার ছিলো।
মক্কা নগরীর কিছু সংখ্যক গণ্যমান্য সাহাবা (رضي اللّٰه عنهم) ও তাঁদের সন্তানেরা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’কে কুফায় গমন করা হতে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেছিলেন; আর তাঁরা তাঁকে আপন পিতা (ইমামে আলী-ক:) ও ভ্রাতা (ইমাম হাসান-রা:)’এর প্রতি কুফাবাসীদের চপলতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন। সর্ব-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে উমর, জাবের ইবনে আবদিল্লাহ, আবূ সাঈদ আল-খুদরী, তাঁর আপন ভাই মুহাম্মদ, এবং তাঁর ভায়রা ও কাজিন আবদুল্লাহ ইবনে জা’ফর (رضي الله عنهم) সবাই তাঁকে ইরাক্বে যেতে বারণ করেন। কিন্তু তিনি তাঁর মনস্থির করে ফেলেছিলেন। অতঃপর যিলহ্জ্জ্ব মাসের ৮ তারিখ তিনি হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي اللّٰه عنه)’এর করুণ পরিণতি সম্পর্কে না জেনেই মক্কা হতে (ইরাক্বের উদ্দেশ্যে) যাত্রা আরম্ভ করেন।
প্রায় এক মাসব্যাপী কষ্টকর এক সফরশেষে ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর দল ইরাক্বে পৌঁছেন। সেখানেই তিনি কুফাবাসীদের বিশ্বাসঘাতকতা ও হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي الله عنه)’এর শাহাদাতের খবর প্রথম জানতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তিনি (বার্তাবাহক) ক্বায়স ইবনে মুস-হিরের শাহাদতের খবরও শুনতে পান। বেশ কিছু সংখ্যক মরুভূমির আরবীয় লোক ইত্যবসরে তাঁর দলে যোগ দিয়েছিলো এই ভেবে যে, কুফা বুঝি বাস্তবিকই তাঁর অধীনে চলে এসেছে (এতোদিনে)। ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের শী’আহ (সাহায্যকারী) আমাদেরকে ত্যাগ করেছে। অতএব, যার এখান থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছা হয়, সে এ ব্যাপারে স্বাধীন।” সহসা তাঁকে ছেড়ে সবাই চলে যায়, স্রেফ তাঁর সাথে যারা মক্কা হতে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা ছাড়া।
কুফা নগরীর ওপর ইবনে যিয়াদ কড়া নজরদারি বসিয়েছিলো। যখন ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর আগমনের বার্তা তার কাছে পৌঁছোয়, সে পারস্যের – دیلمیان – দে’লামিয়্যা’ন যোদ্ধাদের সাথে লড়বার জন্যে অগ্রসরমান ৪০০০ সেনার একটি শক্তিশালী দলকে ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর মোকাবিলায় প্রেরণ করে। এই সৈন্যদেরকে উমর ইবনে সা’আদের নেতৃত্বের অধীনে দেয়া হয়। এই বাহিনীর দ্বারা কুফা ত্যাগ কুফাবাসী লোকেরা যে নিজেদের চোখে প্রত্যক্ষ করেছিলো, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর প্রতি আনুগত্যের শপথ, যা তারা হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي الله عنه)’এর হাতে নিয়েছিলো, তার সম্মান রক্ষা করার শেষ সুযোগ হতে পারতো এটাই। এটাই ছিলো প্রিয়নবী (صلى الله عليه وسلم)’এর দৌহিত্রের পাশে দাঁড়ানোর চূড়ান্ত সুযোগ। কেননা তাদেরই আমন্ত্রণ ও সাহায়্যের আশ্বাসে তিনি নিরাপদ মক্কা মোয়াযযমা ত্যাগ করে ইরাক্বের নিরাপত্তাহীন যুদ্ধক্ষেত্রে আসার উৎসাহ পেয়েছিলেন। কিন্তু কুফাবাসীর মধ্যে আরেকবার বিশ্বস্ততা, সৎসাহস ও অঙ্গীকারবদ্ধতায় ঘাটতি দৃশ্যমান হয়। স্রেফ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কারবালায় ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর সাথে যোগ দেন।
অতঃপর ১০ই মুহর্রমের সূর্য যখন অস্তমিত হয়, ততোক্ষণে কুফাবাসী বে-ঈমান শী’আহ’দের প্রায়শ্চিত্ত করার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিলো; কেননা কারবালার বালুকাময় ভূমি ততোক্ষণে সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه) ও তাঁর একাত্তর জন অনুসারীর রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো।
চার বছর পরে কুফাবাসী শী’আহ চক্র হযরত রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم)’এর পরিবার-সদস্যদের পক্ষত্যাগে নিজেদের পাপ মোচনের এক চেষ্টা চালায়। কুফাবাসীদের মধ্য হতে এমন একটি দল আবির্ভূত হয়, যারা নিজেদের ’তাওওয়া’বূন’ (তওবাকারী) নামে অভিহিত করে; এই লোকেরা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর হত্যাকারীদের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করাকে নিজেদের কর্তব্য হিসেবে নেয়। ইবনে যিয়াদের পিছু ধাওয়া করে সিরিয়া যাওয়ার পথে তারা কারবালা অতিক্রম করে, যেখানে ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর পবিত্র মাযার শরীফ অবস্থিত। এখানেই তারা উচ্চস্বরে (মেকি) কান্না জুড়ে দেয় এবং সারা রাত ওই বিয়োগান্ত ঘটনার আহাজারিতে অতিবাহিত করে, যে ঘটনা তারাই চার বছর আগে ঘটতে দিয়েছিলো (নিষ্ক্রিয়তা দ্বারা)। তারা যদি ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে তাঁর জন্যে ওই একই দরদ দেখাতে পারতো, তাহলে ইসলামের ইতিহাস অন্যভাবে রচিত হতো।
কতিপয় নির্দিষ্ট লেখক ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’কে পরিত্যাগের (মানে গাদ্দারির) অপরাধ হতে শী’আহ চক্রকে মুক্তিদানের অপচেষ্টা চালিয়েছেন। কেউ কেউ আবার প্রাদেশিক শাসক ইবনে যিয়াদের কুফা শহর অবরোধ বা ঘেরাওয়ের অজুহাত দেখিয়েছেন। এস,এইচ,এম, জা’ফরী নিজ ‘Origins and Early Developments of Shi’ah Islam’ পুস্তকে লেখেন:
….এটা আবারো লক্ষণীয় যে, কুফা ও তার আশপাশ এলাকায় আসার রাস্তাগুলোতে অবরোধ আরোপের ফলে কুফার শী’আহ যারা লুকিয়ে ছিলো, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের এবং বসরা’র মতো শহরগুলোতে বসবাসকারী শী’আহ লোকদের জন্যে (শহরে প্রবেশ) প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। [১৯৮ পৃষ্ঠা, আনসারিয়ান পাবলিকেশনস্, ক্বুম, এন.ডি.]
কুফাবাসী শী’আহ গোষ্ঠীর দলত্যাগের এই ব্যাখ্যাটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না, যখনই কেউ বিবেচনায় নেন হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي اللّٰه عنه)’এর হাতে বায়’আহ গ্রহণে তাদের বিশাল সংখ্যাটিকে (১৮০০০ লোক)। পক্ষান্তরে, আমরা দেখেছি ইবনে যিয়াদ মাত্র ১৭ জন সেনা নিয়ে কুফায় প্রবেশ করেছিলো। এমন কী সাইয়্যেদুনা হুসাইন (رضي الله عنه)’এর বিরুদ্ধে লড়তে সে যে বাহিনী পাঠিয়েছিলো, তাদের সংখ্যাও ছিলো মাত্র ৪০০০ সৈন্য [নোট: কিছু শিয়া সূত্রে প্রদত্ত এবং সম্প্রতি স্থানীয় রেডিওতে উদ্ধৃত ৮০,০০০ সেনার সংখ্যাটি স্পষ্টতঃ কাল্পনিক। নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক সূত্রগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া ছাড়াও এ দাবির উৎস যে আবেগময় শিয়া অতিশয়োক্তি তা স্বতঃপ্রমাণিত]। অধিকন্তু, ওই বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে কারবালার জন্যে প্রস্তুত করা হয়নি; সেটা কুফা অতিক্রম করছিলো স্রেফ পারসিক দে’লামিয়্যা’ন সেনাদের সাথে লড়বার উদ্দেশ্যে। ইবনে যিয়াদ কুফাবাসীদেরকে এ রকম বাহিনী দ্বারা বশ্যতা স্বীকার করাতে পারবে বলে ধারণা করা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেননা তারা সংখ্যায় ওই বাহিনীর চেয়ে ঢের বেশি ছিলো। না, তাদের নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতা ও চপলতা-ই (মানে গাদ্দারি-ই) ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর পক্ষত্যাগে তাদেরকে পরিচালিত করেছিলো। তারা হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي اللّٰه عنه)’কে যেভাবে ফেলে পালিয়েছিলো, তা থেকে এই বিষয়টি স্পষ্ট পরিদৃষ্ট হয়।
শিয়াপন্থী লেখকদের এমনও দাবি করার প্রবণতা রয়েছে যে, সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর পক্ষ যারা ত্যাগ করেছিলো, তারা শী’আহ নয়। জা’ফরী লেখেন:
….ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’কে যারা কুফায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো এবং তাঁর প্রতিনিধি হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي الله عنه)’এর কাছে যে ১৮,০০০ লোক আনুগত্যের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেছিলো, তাদের সবাই শী’আহ শব্দটির ধর্মীয় পরিভাষাগত অর্থে শী’আহ ছিলো না, বরঞ্চ তারা ছিলো হযরত আলী (كرم الله وجهه)’এর ঘরের মানুষদের (মানে বংশধরদের) রাজনৈতিক আদর্শগত সমর্থক – এই পার্থক্যটুকু মাথায় অবশ্যই রাখতে হবে, যাতে শিয়াবাদী ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস (সহজে) বোঝা যায়। [জা’ফরী, ‘Origins and Early Developments of Shi’ah Islam’, ১৯৫ পৃষ্ঠা]
সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’এর দলত্যাগকারী লোকদেরকে (’রাজনৈতিক’ আদর্শের বিপরীতে) ইমামে আলী (كرم اللّٰه وجهه)’এর বংশের ‘ধার্মিক’ সমর্থকদের কাতার থেকে বাইরে রাখার বেলায় জা’ফরীর (গোপন) উদ্দেশ্য একদম পরিষ্কার। তিনি স্পষ্টতঃ এই বাস্তবতার ব্যাপারে বিব্রত যে, হযরত ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’কে শী’আহ গোষ্ঠী নিজেরাই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবার-সদস্যদেরকে পরিত্যাগ করেছিলো। এই ‘ধর্মীয়’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমর্থকদের কথিত পার্থক্যের ধারণাটি আমরা প্রত্যাখ্যান করি এই বাস্তবতার আলোকে যে, খোদ ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه) একাধিক স্থানে কুফাবাসীদেরকে তাঁর শী’আহ (সাহায্যকারী) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এছাড়াও বহুবার কুফাবাসীদেরকে তাঁর পিতা (হযরত আলী-ক:) ও ভাই (ইমাম হাসান-রা:)’এর অনুসারী (যদিও অনির্ভরযোগ্য অনুসারী) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আমরা যদি ধরেও নেই যে ‘ধর্মীয়’ দিক থেকে তাদের অনেকে, এমন কী বেশির ভাগও শী’আহ ছিলো না, তাহলে পরবর্তী প্রশ্ন দাঁড়ায়: প্রকৃত শী’আহবর্গ কোথায় ছিলো যখন তাদের ইমামের সবচেয়ে বেশি সাহায্যের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিলো? তাঁরা কি ওই হাতে গোনা মানুষগুলো যাঁরা কুফা থেকে (কারবালায়) আবির্ভূত হয়েছিলেন? এটা সত্যি আশ্চর্যজনক যে, শিয়াদের দ্বারা কুফার দলত্যাগকারীদেরকে নিজেদের বলে গ্রহণ করাতে শত অনিচ্ছা ব্যক্ত হলেও তারা তওওয়াবূন (তওবাকারীদের) আন্দোলনের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত বা চিহ্নিত করতে ভীষণ গর্বিত ও আগ্রহান্বিত হন। এই তওওয়াবূন আন্দোলনের গোড়াপত্তনের সময় যে সব ভাষণ দেয়া হয়েছিলো, তাতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে ওরা ওই একই লোক যারা ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’কে দাওয়াত করে এনেছিলো এবং পরে ছেড়ে পালিয়েছিলো [প্রাগুক্ত জা’ফরী, ‘Origins and Early Developments of Shi’ah Islam’, ২২৩ পৃষ্ঠা]। এক্ষেত্রে তাদের নামগুলোই নিজেদের অপরাধের ইঙ্গিতবহ। শী’আহদের দ্বারা এ অপরাধ থেকে নিজেদেরকে দায়মুক্ত করার অপপ্রয়াসটুকু হতাশাব্যঞ্জক ছাড়া আর কিছু নয়।
(চলবে)