কিছু মানুষের অভ্যাসই এমন, তারা খুব উচ্চ আওয়াজে কথা বলে। এটা ছোটবেলা থেকেই নিত্য অভ্যাসে পরিনত হওয়ার করণে পরবর্তীতে চাইলেও এটা ত্যাগ করতে পারে না।
তাই বাচ্চাদেরকেও ছোটবেলা থেকেই নম্র-কোমল আওয়াজে কথা বলার তরবিয়্যত দিন। যেন খুব চিৎকার করে নয় বরং মধ্যম আওয়াজে কথা বলে। আর মিম্বর-মেহরাব এর মুবাল্লিগদেরও এ বিষয়টি বিশেষ করে খেয়াল রাখা উচিত।
যাতে তাদের বয়ান-লেকচার মানুষের কানের ওপর বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। এখন তো প্রয়োজনের অধিক সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারও মানুষের কষ্টের কারণ হয়। কোমল ভাষায় কথা বলা, মনযোগসহকারে কথা শোনা এটা কথা বলার আদবের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত আওয়াজ মানুষ ৪৫ মিনিট এর বেশি শুনতে পারে না৷ তারপরেও যদি আপনার সামনে বসে থাকে তাহলে সেটা তার ওপর বোঝা হচ্ছে। সে কখনো আপনার কথাগুলোকে মনযোগের সাথে নিচ্ছে না। দুনিয়ার বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলোতে লক্ষ টাকা ব্যয় করে লেকচারার আনা হয়। তার মানে এই নয় যে সে ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার দিতে থাকে। তার লেকচারের পিরিয়ড ৩০-৪০ মিনিটই হয়। মানুষের আরামের সাথে শোনার একটা পিরিয়ড আছে।
আর এ সম্পর্কে ওনার চেয়ে ভালো কে বলবে যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলছেন–
‘পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ -সূরা লোকমান, আয়াত: ১৯
শুধু চিৎকার-চেচামেচি করে আওয়াজ করলেই মানুষের মনযোগ পাওয়া যাবে, মানুষ আমার কথায় আন্দোলিত হবে এমন টা নয়। উচ্চ আওয়াজের কারণে কথা মানুষের হৃদয়ে যায় না, যায় দলিল দ্বারা। মাওলানা রুমি আলাইহির রাহমা বলেন– বজ্রপাতের বিকট আওয়াজে তো ফুল ফুটে না; ফুল ফুটে রিমঝিম বৃষ্টির বর্ষণে।
~স্বাধীন আহমেদ আত্তারী





Users Today : 335
Users Yesterday : 759
This Month : 5369
This Year : 177240
Total Users : 293103
Views Today : 5112
Total views : 3460223