44 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ إِذَا حَضَرَ الْعِشَاءُ وَالْعَشَاءُ
136 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «إِذَا نُوْدِيَ بِالْعِشَاءِ، وَأَذَّنَ الْـمُؤَذِّنُ، فَابْدَءُوْا بِالْعَشَاءِ».
বাব নং ৫৯. ৪৪. এশার সময় যখন খাবার উপস্থিত হয়
১৩৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা যুহ্রী থেকে, তিনি আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, যখন এশা নামাযের আযান দেওয়া হয় এবং মুয়াযযিন তাকবীর বলে (এ সময় যদি খাবার উপস্থিত হয়) তখন প্রথমে খাবার খেয়ে নিবে। (তিরমিযী, ২/১৮৪/৩৫৩)
ব্যাখ্যা: নামাযের সময় খাবার উপস্থিত হলে আগে খাবার না নামায? এ বিষয়ে উভয় প্রকারের পক্ষে হাদিসে বর্ণিত আছে। যেমন উপরোক্ত হাদিস আগে খাবার গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে মারফু হাদিস বর্ণিত আছে যে, لاتؤخروا الصلوة ولا بغيره “খাবার বা অন্য কোন কারণে নামায বিলম্ব কর না।” উভয় হাদিসের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যে, (১) নামায বিলম্ব করার অনুমতি ঐ সময় দেওয়া হয়েছে যখন খাবার খাওয়া আরম্ভ করা হয়েছে, (২) অথবা যদি এই আশংকা থাকে যে, এই খাবার পরে পাওয়া যাবে না, (৩) অথবা প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে নামায শুরু করে দিলে মন খাবারের দিকে চলে যাবে। যেমন পায়খানা-পেশাবের যদি প্রচণ্ড চাপ থাকে তখনও নামায বিলম্ব করার অনুমতি আছে। আর যদি এর বিপরীত হয় কিংবা নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা হলে আগে নামায আদায় করে নিতে হবে।