“এক” এর পারদর্শিতা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ইলমুল কুরআন,

ইলমুল হাদীস,

উসুলে হাদীস,

ফিকাহ (হানাফি মাযহাব)

ফিকাহ ( অন্যান্য মাযহাব)

উসুলে ফিকাহ,

তর্কশাস্ত্র,

তাফসিরুল কুরআন,

আকাইদ, যুক্তিনির্ভর ধর্মশাস্ত্র,

বাক্যরীতি,

শব্দের অঙ্গসংস্থানবিদ্যা,

শব্দার্থবিদ্যা,

শব্দের প্রয়োগবিদ্যা,

অলঙ্কারশাস্ত্র, ভাষালঙ্কার,

যুক্তিবিদ্যা,

বিতর্ক,

আল কালাম/দর্শন,

ভগ্নাংশবিদ্যা,

জ্যোতির্বিজ্ঞান,

সংখ্যাতত্ত্ব,

ভূগোল,

তিলাওয়াতে কুরআন,

কুরআনের ধ্বনিবিজ্ঞান,

ইলমে তাসাউফ, সুফিতত্ব,

নীতিশাস্ত্র,

নৈতিকতা ও শিষ্টাচার,

হাদীস বর্ণনাকারীগনের জীবনী,

জীবনী রচনাবিদ্যা,

ইতিহাস,

শব্দবিজ্ঞান ও ব্যুৎপত্তিবিদ্য,

সাহিত্য ও সহযোগীবিদ্যা,

পাটীগণিত,

বীজগণিত,

ষাটভিত্তিক গণনারীতি,

লগারিদম,

কালনিরুপনবিদ্যা, ইবাদতের সময় নিরুপন,

চক্ষুবিজ্ঞান,

গোলক জ্যামিতি,

নক্ষত্রবিদ্যা,

গোলকের ত্রিকোণমিতি,

সমতলের ত্রিকোণমিতি,

আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান,গ্রহবিজ্ঞান, সৃষ্টিতত্ত্ব,

দ্বিগাত সমীকরণ,

ইলমে জাফর,

আরবী কাব্য,

আরবী প্রবন্ধ,

ফার্সি কাব্য,

ফার্সি প্রবন্ধ,

উর্দু কাব্য,

উর্দু প্রবন্ধ,

ক্যালিগ্রাফি : নাসখ,

ক্যালিগ্রাফি : নাসতালিক

ইলমুল তাজবিদ,

ইলমুল ফারাইয।

এতো গুলো বিষয়, এতো এতো দক্ষতা!  

মাথায় ধরে ; হু ইজ হী-? 

তিনি সর্বোত্তম, সবার সেরা,

তিনি সম্মানিত, 

তিনি সর্বোচ্চ সম্মানিত… 

তিনি আ’লা হযরত। 

ইমাম আহমাদ রেযা খান র. 

চার বছর বয়সে আমার ল আ’কার লা শিখতে ৬/৭ দিন লাগছে। 

আর তিনি মাত্র চার বছর বয়সেই সমস্ত কুরআন আয়ত্ব করলেন। পাচ বছর বয়সে এক অনুষ্ঠানের ভরা মজলিশে, তাবড় তাবড় স্কলার, পণ্ডিত, আলেমগনের সম্মুখে টানা দু ঘন্টা বক্তব্য রেখেছেন। অনুষ্ঠান টা ছিলো “ঈদে মিলাদুননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লিম।   

একটু আপনার শৈশবের ফ্লাশব্যাকে যান-তো; 

পাচ বছর বয়সে অপরিচিত কারোর সামনে কথা বলা দূরে থাক,  কাছে ঘেষতেও ভয়ে দুমড়ে থাকতাম। বাসায় মেহমান আসলে কথা বলার ভয়ে পর্দার আড়ালে থাকতাম। 

সুতরাং তিনি শৈশব থেকেই আলাদা।  তাহাকে ছোয়া আর পাওয়া নট টু ইজি। ।  

তিনি ছিলেন সব্যসাচী।  একসাথে দু হাতে লিখতেন। ডান হাতে আমার মদীনাওয়ালার গুনগান, আর বাম হাতে সকল পবিত্র বিষয়, এবং বাতেলদের জবাব দিতেন।  

মহাকাশ এর কোটি কোটি নক্ষত্র, লক্ষ লক্ষ গ্রহ উপগ্রহ ও এসেছে উনার কলমে। হিসেব কষছেন। নোট করছেন। 

একটা ঘটনা ; ইমাম দ্বিতীয় বার হজ্বে গেলেন। এক লোক প্রশ্ন রাখলেন মদীনা মুনীবের এলমে গায়েব নিয়ে। 

যথাযথ কোনো প্রকার বই ছাড়াই ইমাম জবাব লেখতে শুরু করলেন। ৮ ঘন্টায় লিখলেন ১৫০ পৃষ্ঠা।  এক প্রশ্নের জবাবে একটা বই হয়ে গেলো। “অদৃশ্য জ্ঞানে মক্কার সম্পদ” 

ইমাম একটি প্রতিবাদী ধ্বনি।

ইমাম ছিলেন আধুনিকমনা, বিচক্ষণ। ভাবুন তো আমাদের সন্তানরা  দিনের পর দিন অশৃঙ্খল হচ্ছে কেনো? সময় থাকতে ইমামের শিক্ষা দিন।

শিশুদেরকে নিয়ে তিনি মোট ৫২ টি পয়েন্ট আলোচনা করেছেন। বলেছেন – একটি কচি ডালকে যেভাবে ইচ্ছে বাকানো যায়, তাই শিশুর মনকে প্রারম্ভিক অবস্থাতেই আকৃতি দিতে হবে।

সময় থাকতে লালন করুন। 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment